রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১২:৩৪
Home / খোলা জানালা / নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা, লক্ষ্মীপুরের মেয়রকে শোকজ

নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা, লক্ষ্মীপুরের মেয়রকে শোকজ

কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পেয়ে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের। নামাযের সময় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

একই সঙ্গে মঙ্গলবার শোকজের জবাব দাখিল এবং নামাজের সময় দোকান খোলা থাকবে বলে মাইকিং করা হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের নির্দেশে গত রোববার (১৫ অক্টোবর) পৌর শহর এলাকার নামাযের সময় সব দোকানপাট বন্ধের জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।

এ ঘোষণার পর সোমবার নামাযের সময় বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। এ সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও বাধ্য হয়ে নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধ রাখেন। সোমবার আসরের আযানের পর চকবাজার এলাকার বধূয়া বস্ত্রালয় থেকে তিন নারী ক্রেতাকে বের করে দিয়ে অতি উৎসাহী এক যুবক দোকান বন্ধ করে দেন।

এ সময় এই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আরও দুই নারী কেনাকাটা করছিলেন। এতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হোমায়রা বেগম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে মেয়র আবু তাহেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

পরে মঙ্গলবার শোকজের জবাব দাখিল এবং নামাযের সময় দোকান খোলা থাকবে বলে মাইকিং করা হয়। এ সময় মেয়রের বরাত দিয়ে মাইকিংয়ে বলা হয়, নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই। ব্যক্তি উদ্যোগে নামায আদায় করলেই হবে।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান মঙ্গলবার শহরের চকবাজার জামে মসজিদে নামায আদায় করেন। নামাযের একপর্যায়ে তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ একটি ভালো উদ্যোগ ছিল। তবে পৌরসভার মেয়র বলেছেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা নেই।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হোমায়রা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় পৌরসভার মেয়রকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ওই নোটিশের জবাবে মেয়র তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেখানে দোকান খোলা রাখার জন্য মাইকিং করার কথাও উল্লেখ করা হয়।

নোটিশের জবাবে মেয়র জানান, চকবাজার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি কমিটির সদস্যদের অনুরোধে নামাযের সময় দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন। এ ব্যাপারে কাউকে জোর জবরদস্তি করা হয়নি বলেও জবাবে উল্লেখ করা হয়। সূত্র. জাগোনিউজ

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...