শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৩:০৮
Home / অনুসন্ধান / বামদের দৌড়ঝাপ আলেম উলামাদের শুধু জংগী বিলাপ !

বামদের দৌড়ঝাপ আলেম উলামাদের শুধু জংগী বিলাপ !

কমাশিসা অনুসন্ধান ডেস্ক:

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপনে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পুরো সুন্দরবন!

গুলশানের নৃশংস ঘটনা যেমন আমাদের জাতীয় নিরপত্তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।তেমনি সামপ্রদায়ীক সম্প্রীতিকে করেছে বিতর্কিত।কিন্তু অতি সন্তর্পনে যে দেশের বারটা বেজে যাচ্ছে তা অনুধাবনের শক্তি কি আমাদের ইসলামী বুজুর্গানে দ্বীনের নেই? ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মানব বন্ধনের মহড়া যদি শক্তি ও সামর্থ্যের প্রতীক হয় দেশ ও জাতি দরদী কর্মসুচি হয় তাহলে গোটা দেশের পরিবেশ দোষণকারী, জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন বিনষ্টের মতো এমন ভয়ংকর পরিকল্পনার বিষয়ে কোন সাড়া শব্দ নেই। দয়া করে কথা বলুন। সরকারকে বুঝানো উচিৎ যে তা দেশের জন্য মংগলজনক নয়।

এই ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক খেলা পরিহার করে একত্রে বসে  আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আশু সমাধান জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ মেহেরবানী করে রামপালের বিষয়ে পুণর্বিবেচনা করুন। দেশ ও জাতি বিধংসী এমন কর্মসুচি থেকে বেরিয়ে আসুন।

14192567_1050001558454326_503758296548627294_n‘রামপাল নিয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার!

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপনে অনড় অবস্থানে আছে সরকার এছাড়া রামপাল বিরোধী আন্দোলনের দিকেও গভীর নজর রাখছে সরকার। পরিবেশবাদীরা প্রথম থেকেই রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপনের বিরোধীতা করে আসছেন। দেশের বামপন্থী রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞরাও নানা ধরনের আন্দোলন করেছেন রামপালের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপারসন সংবাদ সম্মেলন করে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ঘোষণা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে রামপালের পক্ষে সরকারের যুক্তি তুলে ধরেন এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দৃঢ় অবস্থান দেখান। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারিদের কঠোর সমালোচনা করেন এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখছে সরকার। একই সঙ্গে ওই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীতে রামপাল বিরোধী যে কোনো আন্দোলন মোকাবেলায় সরকার কঠোর অবস্থান নেবে বলে জানা গেছে।
এরইমধ্যে বাগেরহাটের রামপালে ভারতের কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ১৩শ’ মোগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয় সে দিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। রামপাল আন্দোলনকে বিএনপি যাতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে না পারে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ না পায় সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে সরকার।
রামপালের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। রামপালের ওই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে বলে যু্ক্তি দিয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। এই আন্দোলনে জাতীয় কমিটির সঙ্গে রয়েছে দেশের বামপন্থি রাজনৈতিক দল ও পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।
সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, এই আন্দোলন দীর্ঘ দিন ধরে চলে এলেও সরকার তা দমনে কঠোর অবস্থান নেয়নি। একটা পর্যায়ে এসে সম্প্রতি এই আন্দোলন গতি পাওয়ায় এবং জাতীয় কমিটি আগামী নভেম্বরে মহাসমাবেশ ডাক দেয়ায় সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তবে বিশেষ করে বিএনপি আকস্মিকভাবে রামপালের বিরোধিতা করে এই আন্দোলনের সমর্থনে কথা বলায় সরকার বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, গত বছরের শুরুর দিকে সরকারের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি দীর্ঘদিন কোনো ইস্যু তৈরি করতে পারছে না। তাই রামপাল নিয়ে বামপন্থিদের এই আন্দোলনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মাঠে নামার সুযোগ খুঁজছে। সেই সঙ্গে ভারত বিরোধী পুরোনো রাজনীতিকে সামনে এনে একটি সাম্প্রদায়িক মহলকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করতে পারে বলেও ওই নীতিনির্ধারকরা মনে করেন। এ কারণে সরকার এই ইস্যুতে আন্দোলনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলো।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রামপাল প্রকল্প বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় কমিটি। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার আগ্রহের কথাও জানানো হয়েছে।
এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় কমিটি আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে। ২৪ নভেম্বর আন্দোলনকারিরা সারা দেশ থেকে পদযাত্রা করে ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশে অংশ নেবে। এর আগে অক্টোবরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করবে জাতীয় কমিটি।
সরকার সংশ্লিষ্ট ওই সূত্রগুলো জানায়, আন্দোলনকারিদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় সরকার যেতে চায় না। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে সরকার সরে আসতে চায় না। এরপর বিএনপি এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানানোয় সরকার আরও কঠোর অবস্থানে চলে গেছে।’
সুত্র: বাংলাট্রিবিউন অবলম্বনে

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...