চলে গেলেন আমাদের অভিভাবক, সীরাত গবেষক, ইসলামী রেনেসাঁর পুরোধা ব্যক্তিত্ব হযরত মাওলানা মুহউদ্দিন খান। আজ শনিবার বিকাল ৬ টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার ভাগিনা শাকির এহসানুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, প্রয়াত মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জানাজা আগামীকাল রবিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জোহরের পরে অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সকাল দশটায় তার নিজ গ্রামে গফরগাঁওয়ে জানাজার পর সেখানেই দাফন হবে।সাবেক ৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিকনেতা মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলটির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এই দুজনের উদ্ধৃত করে জানান, বিএনপি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের মৃত্যুতে শোকাগ্রস্ত। তার মতো ইসলামিক মনীষির মৃত্যুতে বাংলাদেশে ইসলামিক সাহিত্য ও রাজনৈতিক ধারায় গভীর শূণ্যতা তৈরি হয়েছে। তারা মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রাবেতা আল ইসলাম-এর সদস্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।মাওলানা মুহিউদ্দীন খান কোরআন শরীফের ঊর্দু থেকে বঙ্গানুবাদ মাআরেফুল কোরআন করে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছিলেন। পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অনেকের অভিযোগ, শেষ দুই সপ্তাহে তার শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তাকে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করা যায়নি।
ইতোমধ্যে তার ইন্তেকালের খবরে সারাদেশের কওমি মাদ্রাসা ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোয় শোক ছড়িয়ে পড়েছে। শোক জানিয়েছেন ধর্মভিত্তিক দলের নেতারা। মুহিউদ্দীন খানের ভাগনে শাকির এহসানুল্লাহ জানান, রাতেই তার মরদেহ বাসায় নেওয়া হবে। এরপর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বলে জানান শাকির।