ইলিয়াস মশহুদ ::
সৃষ্টি যন্ত্রণার রক্তচিহৃও একদিন মুছে যায়, যা কিনা নাড়ি ছেঁড়া যন্ত্রণা! বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও স্নেহের বিচ্ছেদে ভাষা রুদ্ধ, চোখ টলমলে। তখন নোনাজলই একমাত্র ভরসা। তবুও কালের আবর্তে সূর্যোদয় ও তার অস্ত; এ যে নিয়তিরই পরম খেলা! অতএব, সাবধান!!
সময়ের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্চি আমি ও আমরা। হারিয়ে যাচ্ছি শূন্য আকাশে। নিক্ষিপ্ত হচ্ছি ইতিহাসের আস্থাকুড়ে। প্রজন্ম আমাদের মুখভরে গালি দেবে। কথায় কথায় অভিসম্পাত করবে।
আমরা আছি, কিন্তু পূর্ববর্তীদের মতো পরবর্তীতে থাকব না। থাকার কথাও না। আমরা হলাম সমাজের বোঝা। সমাজ, দেশ ও জাতির বর্জ (…তাদের ভাষায়।) হকিকতও তো তাই বলে। তবে ইল্লা…।
আমরা সমাজ, দেশ ও জাতিকে নিয়ে ভাবি না। এ আমাদের দোষ! আমাদের সময়টা কই? …তারা ভাবে। আমাদের বিনাশে তারা দিবানিশি সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে।
আমাদের নিয়ে, ক্বওমিঅলাদের নিয়ে তাদের যত মাথাব্যথা। যত পেরেশানী।
আর আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই। একটিবার জাগারও চেষ্টা করি না। বরঞ্চ ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি খেলাফত কায়েমের! দেখতে ভালো লাগে বলে। কখনো সখনো চিৎকার দিয়ে উঠি; জয় খেলাফত। ইসলামি হুকুমত। আমরা মঞ্চে উঠি। ফুলের মালা দেই। সম্বর্ধনা গ্রহণ করি। আর কয়দিন! এই তো! সংসদে দাঁড়িয়ে আমরা পাঠ করব- আমি শপথ করিয়া বলিতেছি যে…।
অত:পর মাননীয় স্পিকার!
স্পিকার!!
স্পিকার!!!