ইসলাম ধর্মীয় পোশাক আসলে কী?
ভারতীয় উপমহাদেশে পড়া পাঞ্জাবী পায়জামা ও টুপি?
আরব অঞ্চলে পড়া থোব-ইশমাগ?
ইন্দোনেশীয় মুসলিমদের পড়া ফাতাওয়া – লুঙ্গি – বাহারি টুপি?
মাদ্রাজ-কেরালায় পড়া শার্ট-পেন্ট?
সুদানিদের বিশাল ঢিলা-ঢালা জুব্বা?
ইরিত্রিয়া-নাইজেরীয়দের পড়া বাহারি রঙ্গের জুব্বা – টুপি?
ফিলিপিনো মুসলিমদের মতো জিন্স-টি শার্ট?
আসল কথা হচ্ছে- ইসলামে ধর্মীয় পোশাকের সুনির্দিষ্ট আকৃতি নেই। কিন্তু আছে পোশাকের মূলনীতি! অর্থাৎ Dress Code.
সেই মূলনীতি মেনে আপনি জিন্স টি-শার্ট, লম্বা জোব্বা, শার্ট, লুঙ্গি, কাবলী যাই পড়েন না কেন তা আপনার পোশাক ধর্মীয় পোশাকের অন্তর্ভুক্ত হবে। বাঙ্গালী প্রথাগত টুপি না পড়ে নেপালী বাহারি টুপি পড়লেও আপনার মাথা ঢাকার কাজ হয়ে যাবে!
কাজেই; সুনির্দিষ্ট আকৃতির ভিতরে না ঢুকে বরং মূলনীতির ভিতর ঢুকে পড়ুন।
ইসলামের পোশাকের মূলনীতি বা Dress Code হচ্ছে-
১। পুরুষের সত্বর হচ্ছে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে। মেয়েদের জন্য সমস্ত শরীর ঢাকতে হবে।
২। যে পোশাক পরিধান করবে, সেটাই যেন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষী না হয়।
৩। পোশাকটি যেন এমন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও সত্বর দেখা না যায়।
৪। পোশাক যেন এমন আঁট-সাঁট (টাইটফিট) না হয়, যাতে দেহের উঁচু-নিচু গড়ন ব্যক্ত হয়। এটা পুরোপুরি নগ্নতার চেয়ে আরো বেশি দৃষ্টি-আকর্ষী। পোশাকটি এত আঁট-সাঁট (টাইটফিট) হবে না যাতে উঠতে, বসতে, পেশাব করতে, রুকু, সিজদাহ করতে কষ্ট হয়।
৫। পোশাকটি যেন কোন অবিশ্বাসী/কাফেরদের ধর্মীয় পোশাকের অনুকৃত না হয়।
৬। পোশাকটি যেন বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের অনুরূপ না হয়। বিপরীত লিঙ্গের বেশ-ভূষা ধারন করাও হারাম। যেমনঃ পুরুষ হয়ে মহিলাদের মত লম্বা চুল রাখা, হাতে-পায়ে মেহেদী মাখা, (পুরুষরা চুলে ও দাড়িতে মেহেদী মাখতে পারবে), কানে দুল পরা, হাতে চুড়ি বা এই জাতীয় লেডিস সাজ গ্রহণ করা ইত্যাদি।
৭। পুরুষের জন্য পরিধেয় কাপড় যেন পায়ের টাখনুর নীচে ঝুলানো না হয়।– এটা কঠিনতম পাপ।
পুরুষের জন্য রেশম বা সিল্ক এবং স্বর্ণ পরিধান করা হারাম। — এগুলোও কঠিনতম পাপ।