শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:২৪
Home / আকাবির-আসলাফ / ‘‘জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কোরআনের কথা বলে যেতে চাই’’ -নিউইয়র্কে আনসারী

‘‘জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কোরআনের কথা বলে যেতে চাই’’ -নিউইয়র্কে আনসারী

Ansariরশীদ জামীল, নিউইয়র্ক, আমেরিকা :: আওয়াজ শুনে বুঝবার উপায় ছিল না মুখে একটি মেজর অপারেশেন করিয়ে এসছেন বছর ঘুরেনি এখনো। দারুল উলুম আসসাফা নিউইয়র্ক এর মাহফিলে যারা জানেন না, তাদেরকে বলে বিশ্বাস করানো যেতো না কতবড় অসুস্থতার ভেতর দিকে তাকে মাহফিলে মাহফিলে কথা বলে যেতে হচ্ছে। ডাক্তার তাকে বছরখানেক মাইক্রোফোন থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। থাকা হয়নি। তিনি চাইলেই তো আর হবে না, ভক্তদেরও তো চাইতে হবে। খ্যাতির বিড়ম্বনা বলে কথা।
তাকে যদি বলা হয় কেনো যান মাহফিলে? কী হয় বছরখানেক ওয়াজে না গেলে? তিনি বলেন, আমি যাইনা তো, আমাকে নিয়ে যায়। না করতে পারি না। করলেও কাজ হয় না।
গেল সপ্তাহে নিউইয়র্কের ডাক্তার বললেন, আপনার তো লং টাইম রেস্টে থাকবার কথা। কিছুদিন বক্তৃতা না করলে কী হয়। তিনি কিছু বললেন না। হয়তো মনে মনে বললেন, আমার খুব কিছু হয় না কিন্তু ভালোবাসার মানুষগুলোর মনেহয় অনেক কিছুই হয়। আমার ক্ষমতা থাকে না অগ্রাহ্য করার।

মাওলানা আনসারীর আবেগঘন বক্তৃতা সিক্ত করলো হাজারো নারী/পুরুষের অন্তর। কথা বলছিলেন আযমতে কোরআন সাবজেক্টে। কোরআনের যারা বন্ধু হবে, কোরআন যাদের বন্ধু বলে কাছে টেনে নেবে, তাদের আর টেনশন নেই। আল্লাহর কালাম তার বন্ধুকে সাথে না নিয়ে জান্নাতে যাবে না। তিনি বললেন, আমি যুবায়ের আহমদ আনসারী আমার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কোরআনের কথা বলে যেতে চাই।
আজ ছিল উনার এই সফরের শেষ প্রোগ্রাম। আগামী কাল ছিল রিটার্ন টিকেট। টিকেট ক্যান্সেল করিয়ে নেয়া হয়েছে। দারুল উলুম আসসাফার প্রিন্সিপাল মাওলানা রফিক আহমদ রেফাহী এবং আসসাফার ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ মাহবুব-এর উদ্যোগে আনসারীর আমেরিকান হামদর্দগণ উনাকে বাধ্য করেছেন অন্তত মাস দুয়েক নিউইয়র্কে রেস্ট করে যেতে। ডাক্তারদের পরামর্শও তাই। গেল একমাস নিউইয়র্ক ছাড়াও জর্জিয়া, মিশিগান, পেন্সিলভেনিয়া, ফিলোডেলফিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে তিনি যেখানেই মাহফিলে গেছেন, দেখা গেছে উনার বয়ানের পর উনাকে মহব্বত করেন; এমন এক’ দু’জন ডাক্তার এসে উলটো উনাকে খুসুসী বয়ান করছেন। শরীরের খোজ-খবর নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ড. আব্দুল মালিক এবং ড. হুমায়ুন কবিরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাদের পরামর্শ হল, স্থায়ী সুস্থতার জন্য অবশ্যই মাস দু’য়েক কমপ্লিট রেস্টে থাকা দরকার।
উনার নিমরাজি হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
শুধু বললেন, আমার দেশের বিভিন্ন মাহফিলে আমি যে দাওয়াত রেখেছি, এখন সেগুলোর কী হবে? উনাকে বোঝানো হল আল্লাহ চাইলে তাদের আরো অনেক মাহফিলে উপস্থিত হতে পারবেন, কিন্তু শারীরিক ঝুঁকিমুক্ত না হয়ে গেলে তো ঠিকমত বয়ানও করা হবে না।
তিনি বললেন, তাহলে আমি এখন তাদেরকে কীভাবে জানাবো?
আমরা বললাম, আমরা জানানোর ব্যবস্থা করছি।

আগামী দুই/তিনমাস বাংলাদেশের যে মাহফিলগুলোয় যুবায়ের আহমদ আনসারী‘র উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোয় উপস্থিত হতে পারছেন না বলে খুবই মর্মাহত হয়ে উনি সংশ্লিষ্টদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। স্থায়ী সুস্থতার জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...