“চলো ভাই! আজ বিরিয়ানি হ্যায় গরম গরম খ্যা লো”
দারুল উলূম দেওবন্দ। ছাত্রদের খাবার পরিবেশন করে দু’বেলা। শুধুই রুটি। হ্যা! তবে সকালের রুটির সাথে থাকে ডাল। আর বিকেলের রুটির সাথে মহিষের এক বাটি গোশত। স্বাদে দারুন মজা। আলহামদুলিল্লাহ্! খাবারের উপর সব ছাত্রই সন্তষ্টু। না, শুধু সন্তুষ্টই না; বরং কৃতজ্ঞও বটে।
শুধু এখানেই শেষ না! প্রতি সপ্তাহে দেয় মাথাপিছু এক কেজি বিরিয়ানি। বিরিয়ানি কেমন স্বাদের। আসুন সে ব্যাপারে সরাসরি শুনি হিন্দুস্তানীদের কথা। এ ব্যাপারে হিন্দুস্তানিরা বলে থাকে “দারুল উলূমের বিরিয়ানি পুরা হিন্দুস্তানের সেরা বিরিয়ানি” আরো মজার ব্যাপার হলো, হিন্দের আতিথেয়তার প্রধান খাদ্যই হলো বিরয়ানী। তাদের কাছে বেস্ট খাবার হলো বিরিয়ানি। চাল এখানের সংখ্যায় খুব কম লোকই খায়।
যাক, আসি এবার অনেক মজার কথায়…
আমাদের চারটা দরসই হয় জুহর আগ তক।
চতুর্থ দরস শুরু হয় ১০.৪৫মি. থেকে। দরস প্রদান করেন মুফতি সাঈদ আহমাদ পালনপুরী দা.বা.(হাফিজাহুল্লাহ)
হুজুর ছাত্রদের প্রতি খুবই দরদি। এমনভাবে একেকটা মাসআলা বুঝিয়ে দেন যা আজ বিরল। শায়খুল হাদিস তো দারুল উলূমের।
তাই আর কি বলার……
(আল্লাহ হজরতের হায়তকে দীর্ঘায়ু করুন)
৭.
আজ সেই কাঙ্ক্ষিত বিরিয়ানির দিন। দরস চলছে। সবাই হুজুরের মুখপানে তাকিয়ে মনোযোগ দিয়ে সবক ধরছে। দরসগাহে তিলধারণের কোনো সুযোগ নেই। দরসগাহ কানায় কানায় পূর্ন। ঘড়ির কাটা ১২.২৫মি. ছুঁইছুঁই। কিন্ত হুজুর আজ বিরিয়ানির কথা বোধহয় ভুলেই গেলেন। যদিও হুজুর বিরিয়ানির দিন আসলেই আধঘণ্টা আগেই বলে দেন “চলো ভাই ইহা পে টের যাও।আজ বিরিয়ানি হে”
হঠাৎ তরজুমান ভাই একটা টুকোন দিলেন। হুজুর তো তা দেখে চমকে গেলেন। কিছুক্ষণ মুচকি হাসলেন। বললেন “ময় তো আজ বিরিয়ানি কা ভাত ভুল গেয়া, ঠিক হ্যে চলো ভাই, আজ ময় sorry”।
হাহাহা…সবাই হেসে উঠলো।
আহ! কি মায়া হুজুরের ছাত্রদের প্রতি। ভাবতেও অবাক লাগে। সামান্য দেরী হওয়ায় হুজুর কি বললেন? কি আদর্শ দেখালে? আবারো বলছি এগুলা তো পাবোই আমরা তার কাছ থেকে।
তিনি কে ভাবছেন?
দারুল উলূমের……..।
পুনশ্চ :
শিখবেন?
দারুল উলূমের একটা বালি থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারবেন!
চলবে…
লেখক : শিক্ষার্খী, দারুল উলুম দেওবন্দ