শিক্ষা একটি শিশুর মৌলিক অধিকার – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শিশুরা যাতে স্কুলে আসতে আগ্রহী হয় সেজন্য আরো পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে অভিভাবকরা মনে করেন এটা তাদের কর্তব্য; সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষাকে মূল ভিত্তি হিসেবে ধরেই শিক্ষা কাঠামোকে এগিয়ে নেয়ার ওপরও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এমন কোনো পাঠ্যসূচি নেয়া ঠিক হবে না, যা শিশুদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করে। একটা শিশু স্কুলে যেতেই পারল না, তার ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হলো। পড়ার বোঝা হোম ওয়ার্কের বোঝা। এতে ভীতি এসে যায়।’
‘বইয়ের বোঝা’ চাপিয়ে দিলে পড়াশোনার প্রতি ‘অনীহা সৃষ্টি হয়’ মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলাসহ অন্য যেভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সে ধরনের উদ্যোগ তাদের জন্য নিতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকায় ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালডুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব মেজবাহ উল আলম। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক রুহুল আমীন সরকার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্ব্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে_ ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূল কথা’।
সুত্র:যায়যায়দিন রিপোর্ট