অনলাইন ডেস্ক :: দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আট লাইনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা ও ইংরেজি মিলে ২২টি বানান ভুল ধরা পড়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস।
রবিবার মেহেদী হাসান পলাশ নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যায়। তিনি ২৫টি বানান ভুল চিহ্নিত করেন। তবে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে দেখা যায় মোট ভুল ২২টি। কারণ, একই ভুল শব্দ একাধিক জায়গায় রয়েছে। পলাশের চিহ্নিত করার বাইরেও বেশ কয়েকটি ভুল শব্দ ধরা পড়েছে।
পলাশ তার ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তিটি আপলোড করে লেখেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস রিলিজে ২৫ টি বানান ভুল!
পোস্টের মন্তব্য: ফাঁস করা প্রশ্ন ও ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকলে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় কি?’।
রাব্বুল ইসলাম খান নামে একজন কমেন্টে লেখেন, ‘যিনি স্বাক্ষর করলেন, তিনিই বা কী করলেন?’।
কাজী শামীম আহসান লেখেন, ‘সব জায়গায় অতিরিক্ত যোগ্য লোকের নিয়োগের উপযুক্ত প্রমাণ। লজ্জাজনক হলো আমাদের মতো অযোগ্যতাসম্পন্ন কম শিক্ষিত লোকেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, নিজের বাড়ির উঠোন এর চাইতে, এই বিশ্ববিদ্যালযের উঠোনকে আজো বেশি ভালোবাসি। কষ্ট শুধু ভালোবাসার কারণে। লজ্জা এই ভেবে, এমনতো হওয়ার কথা ছিল না’।
মহিউদ্দিন আহমেদ নামে আরেকজন ওই পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ভাইজান আরো ভুল আছে। সাধু চলিত ও পদাশ্রিত নির্দেশক শব্দে’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের মাতৃভাষার প্রতি অবহেলার প্রতিফলন। আমরা মাতৃভাষাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। এটার প্রতি আরও যত্নবান হলে এগুলো এড়ানো যায়।’
আট লাইনের ভুলগুলো
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) স্বাক্ষরিত চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর ইস্যুকৃত ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আগামিকাল (সঠিক আগামীকাল), আরেক জায়গায় জরুরী (সঠিক জরুরি), রক্ষনাবেক্ষন (সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ), উন্নয়ন মূলক (সঠিক উন্নয়নমূলক), বিদ্যূৎ (সঠিক বিদ্যুৎ), বন্দ্ধ (সঠিক বন্ধ), এলাকা সমূহ (সঠিক এলাকাসমূহ), কলা ভবন (সঠিক কলাভবন), সামাজিক বিজ্ঞান (সঠিক সামাজিকবিজ্ঞান), study’s (correct studies) ভবন সমূহ (সঠিক ভবনসমূহ), কওয়াটর (সঠিক কোয়ার্টার), জসিমুদ্দিন (সঠিক জসিমউদ্দিন), মাহসিন (সঠিক মহসিন), এক্কাতুর (সঠিক একাত্তর), হউসটিউটর (সঠিক হাউসটিউটর), ইন্সিটিউট (সঠিক ইনস্টিটিউট), কেন্দ্রীও (সঠিক কেন্দ্রীয়), লাইব্যেরী (সঠিক লাইব্রেরি), কারনে (সঠিক কারণে), আসুবিধা (সঠিক অসুবিধা), আমারা (সঠিক আমরা)।