ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর হক (৬)পর্ব
স্ত্রীরপ্রতি স্বামীর কর্তব্য,
৩. স্ত্রীর প্রতি স্নেহশীল ও দয়া-পরবশ থাকা : স্ত্রীর প্রতি রূঢ় আচরণ না করা। তার সহনীয় ভুলচুকে ধৈর্যধারণ করা। স্বামী হিসেবে সকলের জানা উচিত, নারীরা মর্যাদার সম্ভাব্য সবকটি আসনে অধিষ্ঠিত হলেও, পরিপূর্ণ রূপে সংশোধিত হওয়া সম্ভব নয়। রাসূল সা:বলেন : “তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী। কারণ, তারা পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্ট। পাঁজরের উপরের হাড়টি সবচে’ বেশি বাঁকা। (যে হাড় দিয়ে নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে) তুমি একে সোজা করতে চাইলে, ভেঙে ফেলবে। আবার এ অবস্থায় রেখে দিলে, বাঁকা হয়েই থাকবে। তাই তোমরা তাদের কল্যাণকামী হও, এবং তাদের ব্যাপারে সৎ-উপদেশ গ্রহণ কর।(বুখারি) সোজা করার অর্থ হল, তাদের কোন আচরণই নিজের (স্বামীর) মনের খেলাপ হতে না দেয়া। কেননা এ ব্যপারে চেষ্টা করা নিরর্থক। আর যদি এ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কর, তাহলে তালাক প্রদানের স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এজন্য সাধারণ বিষয়ে স্ত্রীর সাথে উদারতা প্রদর্শন করা উচিত। তাছাড়া অতিরিক্ত কঠোরতা ও রুক্ষ আচরণের ফলে শয়তান মহিলাদের অন্তরে দ্বীন ও শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন কল্পনা ও কুচিন্তা সৃষ্টি করে।……চলবে….
Check Also
বাবার কাছে বিবাহযোগ্য কন্যার অবাক করা খোলা চিঠি!
প্রিয় বাবা, কেমন আছো? আশা করি ভাল আছো। তুমি ভালো করে জানো তোমার মেয়ে নাবালিকা ...