খতিব তাজুল ইসলাম:
বাংলা পত্রিকা দেখলে আগে নাক সিটকানো হতো। পড়া দেখলে বলা হতো নষ্ট হয়েগেছে।আলিয়া ও স্কুলের পাশদিয়ে হেটে গেলে মনে করা হতো গোসল ওয়াজিব। দাখিল মেট্টিক দেওয়ার কারণে কতছাত্র বহিষ্কার হয়েছেন তার হিসাব কে রাখে?
এই প্রতিষ্টান গুলো এখন নিয়মিত মাসিক পত্রিকা দেয়ালিখা ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন সাজ সাজ রবে বের করছে।তনুমন দিয়ে হজরতগণ বিলাচ্ছেন বানীর খুশবো।কারণ দেখলেন আর আটকানো যাচ্ছেনা।পাকিস্তান গেছে তো উর্দু থাকবে। এখন উর্দু কে বুঝে কাকে শোনাবে? একপ্রকার পাঠক এবং পাবলিকের ভয়ে বাংলার প্রতি প্রত্যাবর্তন।
দাখিল মেট্টিক দিলে যেখানে লাল কলমে ইখরাজ? মাশাআল্লাহ এখন ছাত্ররা চুপি চুপি নয় প্রকাশ্যেই পরীক্ষা দিচ্ছে।কর্তৃপক্ষ সাপোর্ট দিচ্ছে কুচিংগের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।অনেকে তো বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ান যে আমাদের প্রতিষ্টানে বাংলা অংক ইংরেজী বিজ্ঞান খুব যত্ন সহকারে পড়ানো হয়। মোটামুটি পরিবর্তনের হাওয়া।আমি বলবো ১৯৭১-২০১৫ দীর্ঘ ৪৪ বছরে এসে বুঝেছেন যে এখন আর ছাত্রদের ফিরিয়ে রাখা যাবেনা। বা কেউ ভাবছেন ইহা খুবই দরকারি।কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যে আপনি আর কতবছর নিবেন ১০ম ক্লাস বা মেট্টিক বা দাখিলের পরীক্ষা কওমি মাদরাসা গুলো নিজস্ব ব্যবস্থপনায় কওমি কর্তৃপক্ষের তদারকিতে আয়োজন করতে?
আমি জানি এছাড়া আপনার কোন গতি নেই বা উপায়ও নেই ; প্রশ্ন হলো আর কতো সময় চাই? গেল বছরের কথা । আন্তর্জাতিক মুফাস্সিরে কোরআন তিনি। ২০১৪ পর্যন্ত কেউ ভিডিও করলে ফটো তুললে হারাম কাজ করার অপরাধে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ঊলংগ করে তাড়িয়ে দিতেন।আর তিনিই এখন ২০১৫ এসে বললেন যে ভিডিও ইন্টারনেট ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ঝাপাইয়া পড়া এখন আমাদের ঈমানী কর্তব্য!প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলো যখন শয়তানের হাতে পুরোপুরি চলেগেল তখন ঘুম ভাংলো। ঠিক তেমনি ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে কবে যে ঘুম ভাংবে আল্লাহ-ই ভাল জানেন।