Sunday 24th November 2024
Komashisha familyAdvertisementContact । Time: বিকাল ৪:০৪
Home / অনুসন্ধান / স্বপ্নের দেশ ব্রিটেনে হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় ঘুমান

স্বপ্নের দেশ ব্রিটেনে হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় ঘুমান

UK_komashishaলন্ডন, ১২ অক্টোবর : এশিয়া-আফ্রিকাসহ প্রায় সারা বিশ্বের স্বপ্নের দেশ ইংল্যান্ড। কিন্তু আবাসনের অভাবে সেই ইংল্যান্ডের রাস্তায় ঘুমাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। রাস্তায় ঘুমানো মানুষের এই সংখ্যা সেদেশের সরকারের হিসাবের চেয়ে আটগুণ বেশি বলে জানিয়েছে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

‘সেন্টার পয়েন্ট’ নামের ওই সংগঠনের তথ্যমতে, ২০১৪ সালে আবাসনের অভাবে ১৬-২৪ বছর বয়সী ১ লাখ ৩৬ হাজার তরুণ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের রাস্তায় রাত কাটিয়েছে। তবে ব্রিটিশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা ১৬ হাজার।

তথ্যের স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে ২৭৫টি ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর এই তথ্য জানায় ‘সেন্টার পয়েন্ট’।

২০১৪ সালে ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ মাত্র ৪০ শতাংশ তরুণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বাড়ি পাওয়ার জন্য সুপারিশ করে।একই সময়ে ওয়েলসে এই সংখ্যা মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ।

গত পাঁচ বছরে আবাসন খাতের জরুরি তহবিল ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই সংগঠনের। এর ফলে সামনের দিনগুলোতে আবাসন সংকটের তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ইংল্যান্ডের তরুণরা।

সব মিলিয়ে ব্রিটেনে আবাসন সংকট ব্যাপক হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে আবাসন সংকট ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের তথ্যমতে গত বছর ৫৫ হাজার তরুণের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৭৫০ জন। কিন্তু সেন্টার পয়েন্টের তথ্যমতে এই সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার।

গত জুলাইতে কমিউনিটি সচিব ক্রেগ ক্লার্ক বলেছিলেন, যে সব তরুণ তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে নানা কারণে বিতাড়িত হচ্ছে তাদের যোগ্যতা ও সামর্থ অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত।

সেন্টার পয়েন্টের পরিচালক গার্সিয়া মার্কেস বলেন, আমাদের জরিপে উদ্বেগজনক একটি বিষয় উঠে এসেছে। সেটা হলো তরুণদের ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়ণ করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে ‘সেন্টার পয়েন্টে’র জরিপ প্রতিবেদনের ফলাফল অস্বীকার করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেন্টার পয়েন্টের গবেষণা বিভ্রান্তিকর ও কল্পনাপ্রসূত।

সরকারের বিবৃতির ব্যাপারে সেন্টার পয়েন্টের ডিরেক্টর ম্যাট ডাউনি বলেছন, আমাদের নিজস্ব জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা ডিস্টিক্ট কাউন্সিলগুলোতে সাহায্য চেয়ে তা না পেয়ে রাস্তায় ঘুমাচ্ছে।

আবাসন খাতের জরুরি তহবিল ৪০ শতাংশ কমানো ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্থানীয় আবাসন অ্যাসেসিয়েশনের মুখপাত্র পিটার বক্স বলেন, গত পাঁচ বছরে আবাসন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কমানো থেকে বোঝা যায়, কাউন্সিলগুলো আবাসন সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি।

পলিসি সেল্টারের ডিরেক্টর রজার রিডিং বলেন, একজন তরুণ যেকোনো জায়গায় সাহায্য চেয়ে না পেযে ফিরে আসছে। এটা খুব দুঃখজনক। আর আমাদের আবাসন সংকটটা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়েছে গেছে।

ভুক্তভোগীর বক্তব্য: ২৪ বছর বয়সের ছাত্র কেথ মুয়ারি। সমকামী হওয়ায় দুই বছর আগে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হন তিনি। এরকম ছোটখাটো ঘটনায় আবাসন হারানোর কোনো তথ্য সরকারের রেকর্ড বইতে নেই।

উদাহরণ দিয়ে ওই তরুণ বলেন, ১৮ বছরের আগে কেউ অন্ত্বঃসত্ত্বা হলে, বা কেউ অভ্যন্তরীণ সহিংসতার শিকার হলে সাহায্যের জন্য তাদের স্থানীয় কাউন্সিলে পাঠানো হয়। এরকম সমস্যায় পড়ে কাউন্সিলে গিয়ে তিনিও সাহায্য পাননি। কাউন্সিল থেকে তাকে বলা হয়, আপনার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু করার নেই।

কেথ বলেন, আমি তাদের বলি যে, সামাজিক আবাসনের জন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে আমি রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু তালিকার প্রথম দিকে থাকা সত্ত্বেও আমি কোনো পরামর্শ পাইনি।’

কেথ আরো বলেন, একসময় আমিও বাড়িতে স্থায়ী ছিলাম। কিন্তু আমি তো ইচ্ছে করে বাড়ি ছাড়া হইনি। আমাকে জোর করে তাড়ানো হয়েছে। ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য একটা সুযোগ চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে সেটা দেওয়া হয়নি।

সূত্র : দেশে-বিদেশে

Check Also

নিউইয়র্ক 04

নিউইয়র্কে ভোটে এই প্রথম নির্বাচিত হলেন হিজাবী মুসলিম মহিলা।স্থানীয় মুসলমানরা খুশিতে আত্মহারা।

রশীদ আহমদ, নিউইয়র্ক থেকে :: মিস ক্যারলিন ওয়াকার নিউইয়র্ক সিটির নতুন জজ নির্বাচিত।তিনি হলেন প্রথম ...