খতীব তাজুল ইসলাম: একটা রাজত্ব আছে পুরো দেশ জুড়ে। ভুখন্ড নিয়ে। রাজা আছেন প্রজা আছেন। পুরো একটি জনপদের নাম ও সেই প্রথম রাজার নামে। অর্থাৎ সৌদ পরিবারের নামে সৌদীএরাবিয়া। হালের বলদ হলেও রাজার ছেলে রাজা হবে।
রাজা গুলো নিজের দেশের নাগরিকদের খুব বেশী শিক্ষীত হতে দেয়না। তাই দেখা যায় সৌদীআরবের খুব কম নাগরিক ডাক্তার ইঞ্জীনিয়ার প্রকৌশল বা বিজ্ঞানী হিসাবে পাবেন। টাকা আছে বিদেশ থেকে লোক ভাড়া করে এনে তারা সকল কাজ সমাধান করে। কেবল মাত্র রাজপরিবারের লোক গুলো উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে দেশের বড় বড় পদে সমাসীন। সাধারণ লাঠীয়াল পুলিশ মেলেটারী আনসার বা ভলান্টিয়ারী কাজেই ওরা পারদর্শী। পুরাতন দাস প্রথার ন্যায় সৌদী নাগরিকরা উম্মাল এবং খাদ্দামা এনে মুনিব গীরী করে। গরীব দেশের এক্বামাধারী শ্রমিক লোকগুলোর হাড় ভাংগা খাটুনীর সারা অর্জন তারা এক্বামা বা ভিসা নবায়নের কথা বলে হড়প করে। যাক সেদিকে যাচ্ছিনা।
সৌদী রাজা যেমন নিজের জাতির উপর ভরসা নেই তেমনি নিজের দেশ রক্ষার জন্যও তারা অপরের উপর নির্ভশীল। তাই আমেরিকাকে এনে দেশের পাহারায় লাগাইছে।
শাদা চামড়ার লোকগুলো কমপক্ষে ১০০ বছরের নীচে কোন প্লানে হাত দেয়না। সাদ্দাম থেকে রক্ষার জন্য খাল কেটে কুমীর আনলেন লাভ হলো কি? পুরো ইরাক এখন শিয়াদের দখলে। শিয়া মুনাফিক আলী আব্দুল্লাহ সালেহ কে সৌদী জামাই আদর করলো। অপরদিকে সে পুরো ইয়ামান তুলে দিলো শিয়াদের হাতে। আল ক্বায়দা বলে সুন্নীদের ধরে ধরে হত্যা করলো সৌদীও দিল সায় এখন খবর কি?
ঠিক তেমনি লিবিয়া ও মিশরে সৌদীআরব পশ্চীমাদের পাতা ফাদে পা দিয়ে আজ নি: সংগ সর্বহারা ??!!
ইরানকে শায়েস্তা করতে সৌদীআরব কত পা ধরলো আমেরিকার !!!
কত মান অভিমান কত রাগ গোস্বা!! মনে হলো আজ ভুর হলেই বিশ্ব দেখবে আমেরিকার যুদ্ধবিমান বৃষ্টির মতো বোমা ফেলছে ইরানে। সৌদীআরব আজ কোণ্ঠাসা। তার বিদেশী নীতি চরম ইসলাম ও মুসলীম বিরুধী। এমনকি তারা তাদের নিজের দেশকেও রক্ষা করার ক্ষমতা রাখেনা। আজ ইরান অপ্রতিদ্বন্ধী। এশিয়ার সুপার পাওয়ার বলতে হবে। ভারত চিন রাশিয়া আফঘানিস্তান সহ সকল দেশের সাথে তার ভাল সম্পর্ক। কেবল সুন্নী রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইরান দাবার গুটি খেলায় মত্ত। আর বেশীদিন নয় ইরান ঘোষনা দিয়ে হারামাইন শরীফাইন দখলে যাবে। পুরো বিশ্ব জাতিসংঘ সহ তাকে সাপোর্ট দিবে। সুন্নী দেশ গুলো আংগুল চুষা ছাড়া করার কিছু থাকবেনা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের কওমী অংগন। না দাড়াতে পারছে নিজের পায়ে না দাড়াতে দেয় কাউকে। এখানে ও চলছে কিংডমী ঐতিহ্য। প্রতিটি প্রতিষ্টান একএকটি কিংডম বা রাজত্ব। রাজা যেমন দেশের মালিক মুহতামীম ও সেই রাজ্যের হর্তা কর্তা। রাজা যেমন নিজের আইনে দেশ চালান তেমনি মুহতামীমগণও নিজের ইচ্ছামাফিক প্রতিষ্টান চালান। রাজার কথাই আইন। মুহতামীম সাহেবের কথাই নিয়ম। সেখানে যেমন চলেনা আল্লাহর আইন এখানেও নেই খোদায়ী বিধান। রাজা যেমন চায়না নাগরীক উচ্চশিক্ষীত হউক তেমনি কওমী মুহতামীমরাও চায়না ওদের চোখ মুখ খুলক।
রাজা যেমন দেশ রক্ষার জন্য আমেরিকার কাছে দ্বায়বদ্ধ তেমনি কওমী হর্তা কর্তাগণ স্যাকুলারদের কাছে দ্বায়বদ্ধ। কারণ তারা চাদা নাদিলে প্রতিষ্টানের রিজিক বন্ধ। রাজা যেমন আজ কোণ্ঠাসা তেমনি স্যাকুলারদের দৌরাত্ম্যে শাইখুল ইসলামও বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, এখন এদেশে আর ঈমান নিয়ে বাচা দ্বায়?
রাজা যেমন আমেরিকার কাছে ধর্না দেন তেমিন কওমী বুজুর্গগণ ইসলাম দুশমনদের কাছে ১৩ দফা ১৪ দফা ২০ দফা পেশ করেন। রাজা যেমন রাগ গোস্বা দেখান আমেরিকার উপর তার বিপরীতে আমেরিকা যেমন ইরানকে স্বীকৃতি দিছে অবরোধ তুলে নিয়েছে তেমনি শাপলায় কওমীগণকে উচিত শিক্ষা দিছে তারপর উনারা বলতে বাধ্য হলেন যে ওরা আমাদের বন্ধু।
রাজা ভয়ে কাপছে ইরান ইরান ইরান আসছে বলে ৱ! আর এখানে আলেম উলামাগণ বলছেন ইসলাম গেল গেল গেল বলে আর ঠিকই স্কুল কলেজে চলছে পুরেদমে হিন্দুয়ানী শিক্ষা। আর মাদ্রাসা গুলোকে রা