সাইমুম সাদী:
বাংলাদেশে নাস্তিকদের একটা বড় পৃষ্ঠপোষক ও ফান্ডদাতা হচ্ছে জার্মান সরকার। জার্মান সরকারের পরিচালিত রেডিও সংস্থা ‘ডয়েচে ভেলে : http://goo.gl/Yhwv7q‘ এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের কথিত নাস্তিক নামধারী ধর্মবিদ্বেষীদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এদের দিক নিদের্শনায় পরিচালিত হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্লগ সামহোয়্যারইন । সামহোয়্যারইন ব্লগের মালিক হচ্ছে অরিল্ড ক্লোকারহৌগ নামক এক নরওয়ের ব্যক্তি, যে প্রথমে বাংলাদেশে এসে গ্রামীন ফোনে চাকুরী নেয়, বাংলাদেশে এসে বাংলাভাষা শিখে এরপর বাংলাদেশী মেয়েকে বিয়ে করে শিকড় তৈরী করে তার গুপ্তকার্যক্রম শুরু করে। শুরু করে সামহোয়ারইন ব্লগ নামক এক প্ল্যাটফর্ম, তবে এ ব্লগটি মুক্তমনার মত এত উগ্রবাদী নাস্তিক ছিলো না, ছিলো জাফর ইকবালের মত সফট নাস্তিক। মানে গল্পের ছলে-বলে-কৌশলে নাস্তিক্যবাদ তথা ধর্মবিদ্বেষ প্রবেশ করাবে। অবশ্য ২০১২ সালের সেম্টেম্বর মাসে দাড়িপাল্লা ধমাধম নামক এক নিক থেকে মুসলমানদের নবীকে ব্যঙ্গ করে কমিক প্রকাশ করলে মুসলমানাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং সবাই ব্লগটি ত্যাগ করে। সামু ব্লগ থেকেও ডয়েচে ভেলেকে প্রথম পাতায় প্রোমট করা হয়।
এছাড়া জার্মান সরকারের ডয়েচে ভেলে নামক সংস্থা’র সাথে বিডি নিউজ২৪ এরও সম্পর্ক গভীর। এজন্য দেখবেন, সম্প্রতি অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর যে সংবাদ সংস্থাটি চোখ বন্ধ করে অভিজিতের পক্ষে ঝাপিয়ে পড়েছিলো তার নাম বিডি নিউজ২৪। তারাই অভিজিতের বিভিন্ন কলামগুলো তাদের মতামত পাতায় ছাপতো। এরা বিভিন্ন সময় সমকামীতা পক্ষে প্রচার চালায়, বাংলাদেশে কুরবানী ঈদ বন্ধ করার টার্গেট এদের আছে।
ডয়েচে ভেলে’র আরো কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:
১) তারা ব্লগারদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার দেওয়ার নাম করে ব্লগারদের ধরে রাখে এবং নিজেরাই একজনকে পুরষ্কার দিয়ে লাইমলাইটে এনে তাদের মাধ্যমে কার্যসিদ্ধি করে।
২) তারা যে ইস্যু যে দিকে থ্রো করবে, নাস্তিক নামধারী ধর্মবিদ্বেষী গোষ্ঠী এবং তাদের দালালরা সেই দিকেই লাফ দিবে।
৩) ‘মুসলমানরা জঙ্গি’ এটা প্রমাণ করা ডয়েচে ভেলের অন্যতম কাজ।
৪) বাংলাদেশ বিরোধী অনেক কার্যক্রমের সাথে ডয়েচে ভেলে’র দিক নিদের্শনা আছে। যেমন: বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করতে শ্রমিক আন্দোলন উস্কে দেয়া, বাংলাদেশে জঙ্গীদের বড় আস্তানা আছে এমন প্রমান করা, বাংলাদেশে সমকামীতা বৈধ করা, পার্বত্য এলাকায় উপজাতিদের অধিপত্য তৈরী করা ইত্যাদি।
৫) এরা নাস্তিক হলেও বর্তমান আওয়ামী সরকারের সাথে এদের দ্বন্দ্ব চরমে।
৬) এরা বাংলাদেশের উগ্র নাস্তিকদের সহজেই জার্মানিতে নিয়ে যায়। হুমায়ুন আজাদ, আসিফ মহিউদ্দিন তার প্রমাণ। বাংলাদেশের বর্তমানে ছাত্র ইউনিয়নের উপর ভর করেছে ডয়েচে ভেলে। যার কারণে ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেদের জার্মানি যেতে খুব বেগ পেতে হয় না।
৭) নাস্তিক ব্লগারদের সাথে একটা চ্যানেল মেইনটেইনের জন্য কাজ করে বাংলাদেশী দম্পত্তি ওমর ফারুক লুক্স ও তার বউ স্নিগ্ধা। এরা দুইজন জার্মানিতে থেকে পতিতাদের দালালের মত নাস্তিকদের দালাল রুপে কাজ করে।
এছাড়া নাস্তিক ব্লগাররা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রেরিত অর্থ বিভিন্ন এনজিও বা দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে। নাস্তিক ব্লগার বানাতে যুক্তরাজ্য সরকারের দেওয়া অর্থ বাংলাদেশে নিয়ে আসা এরকম একটি এনজিও’র নাম হচ্ছে “আর্টিকেল ১৯”।
আর্টিকেল-১৯ নামক এনজিও’র অনেক দেশেই অফিস আছে। তবে তারা পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে কন্ট্রোল করে ঢাকাস্থ মিরপুর রোডের শ্যামলী অফিস থেকে। ৩০২ শ্যামলী, ঠিকানার বাড়ির 2nd Floor থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘তাহমিনা’ নামক এক মহিলা। (অফিসের টিএনটি নম্বর: 02-9129370)
ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া মোটা অর্থ নিয়ে বাংলাদেশে নাস্তিক ব্লগারদের তৈরী কার্যক্রম চলছে সেই অফিস থেকে। বাংলাদেশে নাস্তিকদের একটা বড় অংশের নিয়মিত যাতায়াত আছে ঐ অফিসে। বিভিন্ন কনফারেন্সের নাম দিয়ে প্রথমে যুবক-ছাত্র সংগ্রহ কর হয়। এরপর মুক্তবুদ্ধি চর্চা, ব্লগার অধিকার ইত্যাদি টার্ম দিয়ে শুরু হয়। প্রাথমিক অবস্থায় আগতদের জন্য শুধু খাবারের ব্যবস্থা থাকে। পরবর্তীতে ‘টার্মস এন্ড কন্ডিশন’ মিলে গেলে শুরু হয় অর্থ আদান-প্রদান। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বিরাট ফান্ডিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা বড় নাস্তিক কমিউনিটি তৈরী করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে আর্টিকেল -১৯ নামক এনজিওটি।
আবারো বলতে হচ্ছে, কথিত মুক্তমনা নামধারী নাস্তিক গোষ্ঠী কখন এমনি এমনি তৈরী হয় না, এদের পেছনে কাজ করে বিভিন্ন এনজিও ও দালাল গোষ্ঠী, যারা বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে মোটা টাকা নিয়ে এসে নিজেও বড় অংশ মেরে খায়, বাকিটা খরচ করে কাজে। এরকম বিভিন্ন এনজিও ও দালাল বিভিন্ন নামে-বেনামে আমদের মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। এদের থেকে আপনার সন্তানকে নিরাপদ রাখাই আপনার দায়িত্ব।
—আর্টিকেল-১৯ এরওয়েব সাইট: http://www.article19.org/
—বাংলাদেশে আর্টিকেল-১৯ থেকে বের হওয়া বইয়ের কয়েকটি পেইজ পিডিএফ আকারে দেওয়া হলো। পিডিএফ’র দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় স্পষ্ট করে বলা আছে, এই বইটি তৈরীতে খরচ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার: https://goo.gl/EoKQHh
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাংলাদেশে ‘ডয়েচে ভেলে’ নামক বিদেশী সংস্থাটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক এবং এদের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে বিচারের আওতায় আনা হোক।