খতিব তাজুল ইসলাম
আমাকে বলা হলো লিখতে। আমি কি লিখবো কার জন্য লিখবো? মুহাম্মদ আজ দু’বছরে পা রাখলো।জন্মদিনের আহামরি কী আমি কিছুই বুঝিনা। আমি কিভাবে লিখি কাকে রেখে কার কথা বলি? আয়লান কি আমার সন্তান ছিলনা? কিশোর রাজন কি আমার পুত্র ছিলনা? সাগর তীরে উপুড় হয়ে পড়া আয়লানের অবয়বে আমি ছোট্ট আমার মুহাম্মদকে দেখতে পাই। আমি দেখতে পাই হাজার হাজার আহত নিহত শাহাদত বরণকারী প্রতিটি ফিলিস্তিনি আরাকানি আফগানি কশ্মিরি ইরাকি সিরিয়া আর লিবিয়ার শিশু কিশোরদের মাঝে আমার মুহাম্মদের প্রতিচ্ছবি। আমার কলিজার রক্তক্ষরণ কে ঠেকাবে? কে আমার ভেঙ্গেপড়া হৃদয়ের ক্ষতে ভালবাসার প্রলেপ লাগাবে?
সত্যিই কি মুহাম্মদরা আজকাল সুখে আছে? আয়লানের পিতা কি জানতো ফুটফুটে এই শিশুটির করুণ পরিণতির কথা? মা ও পুত্রের সলীল সমাধী লক্ষ লক্ষ বণিআদমের কান্নার রুল আমাকে বিচলিত করে! আমি আমার চোখের আয়নায় সাগরে ভাসছি, একটু আশ্রয়ের জন্য প্রাণ রক্ষার জন্য সোনার পালংক দালানের ঘর ভালবাসার নীড় ফেলে যেন দৌড়াচ্ছি।অকুল দরিয়ার মাঝে মুহাম্মদকে নিয়ে আমার অভিযাত্রা! আমি কি কিনার পাবো? আমাকে কি কেউ আশ্রয় দিবে?
কাটা তারের সীমান্ত পাহারা অতিক্রম করার ক্ষমতা যে আর আমার নেই। ক্লান্ত অবসন্ন যুদ্ধবিধস্থ এই পৃথিবীতে মুহাম্মদদের জন্মদিনের কি মুল্য আছে যদি না থাকে বাচার অধিকার যদি না থাকে মানুষ হিসাবে মানবের মুল্য। বাবা মুহাম্মদ তুমি বেঁচে থেকো লাখো মুহাম্মদদের অধিকারের মিছিলে সুচ্চার হয়ে …!!!