কমাশিসা ডেস্ক:
লন্ডন ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার । দুপুর ১২:০৭ মিনিটের সময় জানালেন তিনি আসছেন। খতিব তাজুল ইসলাম অধীর অপেক্ষায় সিলেটের গৌরব সাহিত্য জগতের উজ্জল নক্ষত্র ভাবুক কবি সৈয়দ মবনুকে নিজ বাসভবনে উষ্মসংবর্ধনা জানানোর জন্য। বিকাল ২:৪০ মিনিটে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। এক সাথী বন্ধুকে নিয়ে তিনি উপস্থিত হলেন। একান্তে মিলিত হলেন। গলায় গলায় জড়িয়ে ধরলেন। খতিব তাজুল ইসলাম ও সৈয়দ মবনু একই জগতের দুই লড়াকু সৈনিক। হয়তো তাদের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন, ভিন্ন ভাবে কাজের ফর্মূলা কিন্তু দেশ এবং জাতিকে নিয়ে ভাবনায় তাদের একই বিন্দুতে সহাবস্থান।
খতিব তাজুল ইসলাম গড়েছেন জামেয়া নুরানিয়া ইসলামিয়া ও জামেয়া মাদানিয়া কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুল।চালিয়ে যাচ্ছেন কওমির উন্নতির অাওয়াজ কমাশিসা।
সৈয়দ মবনু গড়েছেন জামেয়া সিদ্দীকিয়া। দীর্ঘ ১৪ বছরে প্রতিষ্টানকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। কারণ কমাশিসা তার শিরা উপশিরায়। কমাশিসা কার্যক্রমের জন্যই আজ মোবারকবাদ দিতে খতিব তাজুল ইসলামের বাসভবনে। স্কুলের পুর্ণাঙ্গ সিলেবাস প্রাইমারিতে এবং পূর্ন আলিয়ার সিলেবাস সেকেন্ডারীতে, সবকটিতে সাথে আছে কওমী কিতাব। নিজস্ব চিন্তা ধারায় সংযোজন করেছেন আরবী বিষয় সমূহ। দারুল মায়ারিফ এবং মাওলানা আবুতাহের মিছবাহ সাহেবর অনুসৃত আরবি শিক্ষা কার্যক্রম ফলো করেছেন নিজ প্রতিষ্টানে।
তিনি বলেছেন আমি আওয়ামীলীগ বিএনপি কিংবা কোন স্যাকুলারদের কাছ হতে তেমন বাধা পাইনি যে বাধা এবং আঘাত পেয়েছি নিজ দ্বীনি ভাইদের কাছ হতে। জামেয়া সিদ্দীকিয়াকে নিয়ে দীর্ঘ পথচলার লোমহর্ষক কিছু কাহিনী বর্ণনা করেছেন যা সময় মতো বলা হবে। তিনি খতিব তাজুল ইসলামকে ধৈর্য্য এবং সহনশীলতার সাথে কাজ চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। কে কি বললো তাতে কান দেবার কোন প্রয়েজন নেই। প্রয়োজন কাজ চালিয়ে যাওয়া। কারণ আমাদের মাঝে নতুন চিন্তা চেতনাকে বুঝা এবং মানার যোগ্যতাই নেই। তাই পাহাড় সম সমস্যাকে ডিংগাতে হলে পাহাড়ের মতো অবিচল থাকতে হবে। খতিব তাজুল ইসলাম এবং সৈয়দ মবনু প্রায় ৩ঘন্টা ব্যাপী গুরুত্ব পুর্ণ মতবিনীময় করেন। নিজ প্রণীত সিলেবাস খতিব তাজুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। খতিব তাজুল ইসলামও কমাশিসা ২য় সংস্করণ তার হাতে তুলে দেন। আগামীতে দেশে সফরে আসলে জামেয়া সিদ্দীকিয়া ভিজিটের আন্ত্রণ জানালে খতিব তাজুল ইসলাম তা সাদরে গ্রহন করেন। অবশ্য তার আগে দুপুরের লাঞ্চ একসাথে সারা হয়। ঐক্যবদ্ধ কওমী বোর্ডের প্রতি সৈয়দ মবনুর অকুণ্ঠ সমর্থন খতিব তাজুল ইসলামকে অনুপ্রাণিত করে। কমাশিসা নতুন ওয়েব সাইটে নিয়মিত লিখতে অনুরোধ জানালে সৈয়দ মবনু লিখবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। পরিশেষে কওমি অংগনের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করে দুই দিকপালের মিলন মেলার ইতি ঘটে হয়ে গেল ফিরতির পালা। আবারো দেখা হবে তাহলে চলূন…!!!
Komashisha