Thursday 21st November 2024
Komashisha familyAdvertisementContact । Time: বিকাল ৪:৪৫
Home / ফিকহ / এ কেমন অসত্য প্রচার?

এ কেমন অসত্য প্রচার?

Abrarরেজাউল করীম আবরার ::

মিথ্যা কাকে বলে? মিথ্যা কত প্রকারও কি কি? তা আমাদেরকে খুব ভালো করে শিখালেন মুযাফফার বিন মুহসিন। হাদীসের নামে বাটপারী এবং জালিয়াতীর চূড়ান্ত খেলায় তিনি মেতে উঠেছেন! নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে নির্লজ্জ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন! তার পুরোটি বই যেন মিথ্যার দাস্তান!বইটি পড়ছি আর ভাবছি এই শায়খ নামীয় ব্যক্তিগুলো কিভাবে মানুষদের ধোকা দিচ্ছে!

মুযাফফার,তোমরাতো সহীহ হাদীস বলে চেচামেচি কর।সহীহ হাদীসে কি পাওনি মিথ্যা বলা মহাপাপ?রাসূলের নামে হাদীস জালিয়াতিকারীর ঠিকানা জাহান্নামে!বল কোন সাহসে তুমি নিজের কথাকে হাদীস বানিয়ে ফেল।মুহাদ্দিসদের কথার আগ পিছ বাদ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা কর!তোমার অনুসারীদের মানলাম যোগ্যতা নেই তাহকীক করে সত্য মিথ্যা জানার যোগ্যতা নেই,কিন্তু সবাইকে তাদের মত মনে করলে কেন?

ইমাম তিরমিযির নামে তার জালিযাতির সূরত দেখেন।তিনি লিখেন:“রাফউল ইয়াদাইনের গুরুত্বপূর্ণ আমলটি জাল হাদীসের ফাঁদে আটকা পড়ে আছে।আর এর কারখানা ছিল ইরাকের কুফা ও বসরায়।তাই ইমাম তিরমিযী বলেছেন: وهو قول سفيان [ الثوري ] وأهل الكوقة এটা সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসির বক্তব্য।”(জাল হাদীসের কবলে রাসূলুল্লাহর ছালাত,২০৯.আছ ছিরাত প্রকাশনি)

এবার দেখুন ইমাম তিরমিযি পুরো বক্তব্য:

حدثنا هناد حدثنا وكيع عن سفيان عن عاصم بن كليب عن عبد الرحمن بن الأسود عن علقمة قال قال عبد الله [ بن مسعود ] ألا أصلي بكم صلاة رسول الله صلى الله عليه و سلم ؟ فصلى فلم يرفع يديه إلا في أول مرة
[ قال ] وفي الباب عن البراء بن عازب
قال أبو عيسى حديث ابن مسعود حديث حسن
وبه يقول غير واحد من أهل العلم من أصحاب النبي صلى الله عليه و سلم والتابعين
وهو قول سفيان [ الثوري ] وأهل الكوقة .

অর্থ:আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ বলেন:আমি কি তোমাদের কে রাসূলুল্লাহর নামাজ পড়ে দেখাব?এতপর তিনি নামাজ পড়লেন এবং শুধু তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া আর কোথাও হাত তুললেননা।
ইমাম তিরমিযী বলেন: ইবনে মাসউদের হাদীস হল হাসান।ইবনে মাসউদ ছাড়াও আরো অনেক সাহাবী,তাবেয়ীও এ কথ বলেছেন।সুফিয়ান সাওরী এবং কুফাবাসির বক্তব্যও হল এমন। (তিরমিযি,হাদীস নং,২৫৭.আহমদ শাকের রহঃ তাহকীককৃত)

এবার আপনি বলুন,এটা শুধু সুফিয়ান ছাওরীর কথা ?নাকি আরো অনেক সাহাবী এবং তাবেয়ীনদের কথা?তাহলে কূফাতে সাহাবীরা এ জাল আমলটি চালু করেছেন?এ সমস্ত ইরান-তুরানের গল্প লিখার আগে ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হওয়া উচিৎ যে,নিজের হেড অফিস ঠিক আছে কিনা?কি সুকৌশলে ইমাম তিরমিযীর পুরো কথার সবগুলো বাদ দিয়ে শেষেরটুকো উল্লেখ করে নিজের কূমতলব প্রমাণ করতে চেয়েছেন! (চলবে)

লেখক : মুফতি ও মুহাদ্দিস, আবু বকর সিদ্দক রা., ঢাকা।

৭.১.১৪৩৭ হি.

আরও পড়ুন : ২য় পর্ব-  ইবনে হিব্বানের নামে এ কেমন মিথ্যাচার?

Check Also

Abrar

এ কেমন অসত্য প্রচার (৪র্থ পর্ব)

সহীহ হাদীসের নামে মুযাফফর বিন মুহসিনের কারসাজি। রেজাউল করীম আবরার ::  বইয়ের নাম দিয়েছেন “জাল ...