(ষড়যন্ত্রে আছে সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, এদেশে রাজা দেবাশিস চাকমার কাপেং ফান্ডেশনসহ অসংখ্য দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রী মহল)
বাংলাদেশের সরকার, সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙালিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, শান্তিচুক্তি না মানা ইত্যাদি অভিযোগে ইন্টারনেট ও মিডিয়ায় সুপরিকল্পিত ঘৃনোদ্দীপক ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। [২০১৫ সালে শুধুমাত্র ০১ জানুয়ারি ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০দিনে জাতীয় পত্রিকাগুলো উপজাতিদের পক্ষে ৬১টি নিউজ করেছে। সূত্র- সিএইচটি কমিশনের ওয়েবসাইট]
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাজেক ইউনিয়ন। নৈসর্গিক সৌন্দর্য মণ্ডিত এই উপত্যকায় পৌঁছতে খাগড়াছড়ি বা রাঙ্গামাটি শহর থেকে দু’দিন লাগে। এই ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে খেয়াং, বম, পাংখু, লুসাই উপজাতির ১০ হাজার মানুষের বাস। ২০ বছর আগেও এখানে খ্রিষ্ট ধর্মের নামগন্ধ ছিল না। উপজাতীয়দের ভাষা, সংস্কৃতি সবই ছিল। আজ কিছুই নেই। শুধু ইংরেজিতে কথা বলাই নয়, সেখানকার অধিবাসীরা গিটার বাজিয়ে ইংরেজি গান গায়, মেয়েরা পরে প্যান্ট-শার্ট স্কার্ট। তাদের দেখে মনে হয় যেন বাংলার বুকে “একখণ্ড ইউরোপ!!!” দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় খ্রিষ্টানেরা অনেক কৌশল ও টাকা ব্যয়ে ধর্মান্তরিত করে চলেছে। পাংখু উপজাতি পুরোপুরি খ্রিষ্টান হয়ে গেছে, বদলে গেছে তাদের ভাষা, এমনকি হরফও ইংরেজি। এনজিওর নাম ধারণ করে খ্রিষ্টানেরা এই দুর্গম এলাকায় হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, গির্জা ইত্যাদি গড়ে তুলেছে। এত কথা কেন?
► পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদান যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও সুদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দুটি দেশ থেকে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া হয়েছে। কিভাবে?
► তিমুরবাসীর দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে পাশ্চাত্যের এনজিওরা দ্বীপটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে, দ্বীপবাসীকে খ্রিস্টান বানিয়েছে এবং সবশেষে দাবি তুলেছে স্বাধীনতার। এর সমর্থনে ছুটে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। সঙ্গে থেকেছে জাতিসংঘ।
► মুসলিম রাষ্ট্র সুদানের দক্ষিণাঞ্চলেও পাশ্চাত্যের দেশগুলো দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে একই ধরনের তত্পরতা চালিয়েছে। দরিদ্র মুসলমানদের তারা খ্রিস্টান বানিয়েছে। এই ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানরা স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছে। সেখানেও জাতিসংঘই সামনে থেকেছে।কিন্তু, কাশ্মির, মিন্দানাও, আরাকান, আচেহ, চেচনিয়া, দাঘেস্তান, ফিলিস্তিন ও জিনজিয়াং অঞ্চলের মুক্তিকামী জনতা আদৌ জাতিসংঘের অধীনে স্বাধীনতা পাবে কি না, সন্দেহ।
► সেভেন সিস্টার নামে খ্যাত মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রভৃতি ভারতীয় রাজ্যের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান।
► জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ইউরোপীয় দাতাগোষ্ঠী ও এনজিওরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। প্রায় দু’বছর স্থগিত থাকার পর ইউএনডিপি এই বছর রাঙ্গামাটি, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও থানচিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
► শিশুদেরও খ্রিষ্টান করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন পাদ্রিরা। তারা আটটি জেলায় কমপক্ষে ৩০-৪০টি নার্সারি স্কুল খুলেছেন। ক্লাসরুমে যিশুর প্রতিকৃতিসহ খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতির ছবি ও অনুষঙ্গ রাখা হয়। এগুলো দেখিয়ে শিশুদের খ্রিষ্টান ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হয়।
► পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অস্ত্র ও মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
► তবে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া আর সুদানের স্বৈরশাসনও কম দায়ী ছিল না। তারা এমন শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল, তার ফলে শান্তিকামী, সমঝোতাকামী মানুষেরাও এগিয়ে আসতে পারেনি। অনেকটা তাই হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।যুদ্ধ হয়েছিল এই দেশের জন্য, একেকটা মাটির কনা ধরে রাখার জন্য। পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদানের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ও হয়তোবা এভাবে হয়ে যাবে স্বাধীন রাষ্ট্র!! সৃষ্টি হবে নতুন ইসরাইল!… ।। (ওয়েলকাম জুয়েলকে ধন্যবাদ! লেখাটির জন্য) জুম্মল্যান্ডের প্রচারকদের প্রচারণা লক্ষ্য করুন “Nikhil Chakma Blog পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ, খ্রিস্টান-বিশ্ব ও স্বাধীন জুম্মল্যান্ড Comments Feed Nikhil Chakma Blog Comments Feed Nikhil Chakma Blog Feed Feeds Feeds ← ধর্ম ও সভ্যতা Comment on UPDF’s Press Release Clarifying Its Stand on “World Indigenous Peoples Day” → Nikhil Chakma Blog Nikhil, Chakma, Blog Menu MARCH 13, 2015 BY NIKHILCHT পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ, খ্রিস্টান-বিশ্ব ও স্বাধীন জুম্মল্যান্ড July 28, 2013 at 9:43pm পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ, খ্রিস্টান-বিশ্ব ও স্বাধীন জুম্মল্যান্ড আমাদের নিজস্ব অস্তিত্ব (আমাদের দেশ, ইতিহাস, জায়গা-জমি, সম্পত্তি, ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি–এই অস্তিত্বের এক একটা অংশ) আছে। আমারা আমাদের অস্তিত্বকে সংরক্ষণ ও বিকাশ করতে চাই। কিন্তু আজ তা মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের শিকার, অবলুপ্তির পথে এবং অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী। শুধু সময়ের ব্যাপার। এই সত্য–এই বিপদ– আমরা তখনি সম্যকভাবে উপলব্দধি করতে পারব যখন আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদ (পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামীকরণ নীতি–মুসলিম অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়া) এবং এর নৃতাত্ত্বিক, রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিণতি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবো। আমরা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে বাঁচতে চাই।
প্রশ্ন: আমরা কি আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: তাহলে কি আমরা মুসলিম হয়ে যাবো নাকি বাঁচার বিকল্প উপায় খুঁজবো?
উত্তর: মুসলিম হতে পারবোনা।
প্রশ্ন: তাহলে আমাদের বাঁচার বিকল্প উপায়গুলো কি কি হতে পারে?
উত্তর: সংগ্রাম।
প্রশ্ন: আমরা কি নিজের শক্তিতে বাংলাদেশের মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সফল হবো?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: তাহলে?
উত্তর: তাহলে আমাদের এই সংগ্রামকে সফল করার জন্য বাইরের শক্তির সাহায্য দরকার।
প্রশ্ন: সেই শক্তি কি কি হতে পারে বা কারা কারা হতে পারে?
উত্তর: বৌদ্ধ-বিশ্ব এই সব নিয়ে প্রায় মাথা ঘামায় না। সুতরাং তাদের কাছ থেকে খুব বেশী সাহায্য আশা করা যায় না।
প্রশ্ন: তাহলে?
উত্তর: খ্রিস্টান-বিশ্ব আমাদের সাহায্য করতে পারে। কারণ তাদের সঙ্গে মুসলিম- বিশ্বের ঐতিহাসিকভাবে একটা দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শত্রুর শত্রু আমাদের কৌশলগত বন্ধু হতে পারে। তবে তারা তাদের স্বার্থ (অর্থনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক) না থাকলে আমাদের সমর্থন করবেনা। তাদের কাছ থেকে কিছু সাহায্য পেতে হলে আমাদের কিছু ছাড় দিতে হবে।
প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের এমন কি স্বার্থ আছে যার কারনে তারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে?
উত্তর: পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান- বিশ্বের অর্থনৈতিক স্বার্থ নেই বললেই চলে। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে খুব বেশী প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। তবে চট্টগ্রাম বন্দর যদি স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় তাহলে তা তাদের আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থের কারণ হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রাম ও কক্স বাজার জুম্মদের ছিল। তাই এইসব এলাকা স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবীর মধ্যে যুক্তি আছে। এই দাবী ছেড়ে দিলেও খ্রিস্টান-বিশ্বের পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ আছে। তাই আমরা যদি রাজনৈতিক কারনে খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করি তাহলে তারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে। তবে আমরা বিনাশর্তে কখনও খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করবোনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন করে দিলে তবেই আমরা খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করবো। তাহলে এখানে আমরা বাঁচার জন্য একটা বিকল্প পাচ্ছি। এই বিকল্পটা মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের শাসন- শোষণ থেকে আমাদেরকে মুক্ত করে বা আমাদেরকে জুম্মল্যান্ড নামে একটা স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম ও কক্স বাজার বাদে, সহ যদি সম্ভব হয়) প্রদান করে এবং আমাদেরকে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের নিশ্চয়তা দেয়। বিঃদ্রঃ স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মতো একটা ধর্মনিরপেক্ষ বহুজাতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। এখানে ১১ টা জুম্মজাতি (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি) এবং অন্যান্য স্থায়ী বাসিন্দারা (বড়ুয়া, হিন্দু, মুসলিম ইত্যাদি) তাদের স্ব স্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি স্বাধীনভাবে পালন করবে।
লেখক : কবি ও গবেষক