মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন-
হযরত আবু সাইদ খুদরি (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন , যে ব্যাক্তি কুরআন মজিদ পাঠ শিক্ষা শুরু করে শেষ করার পূর্বেই মারা যায় , কবরে একজন ফেরেশতা তাঁকে কোরআন মজিদ শিক্ষা দেন। আর সে আল্লাহ্ তায়ালার সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যখন সে সম্পূর্ণ কোরআন মজিদের হাফেজ হবে।— শরহে সুদূরযারা এই পার্থিব জীবন পুণ্য ময় কর্মে অতিবাহিত করেন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করেন , এই দুনিয়ার প্রতি তাদের মন আকৃষ্ট হয় না ।তারা ইহকালের চেয়ে পরকালের জীবন কে বেশি প্রাধান্য দেন। আর যারা পার্থিব জীবন কে খারাপ ও অন্যায় কাজে অতিবাহিত করে । তারা মৃত্যুর কথা স্মরণেই ভয় পায়।সলায়মান ইবনে আব্দুল মালেক আবু হাজেম (রঃ) কাছে জিজ্ঞেস করলেন , আমরা মৃত্যু সম্পর্কে কেন ভীত হই বলবেন কি? তিনি বললেন এর কারন হচ্ছে , তোমরা দুনিয়া কে খুব সুন্দর ভাবে আবাদ করো এবং পরকালকে বরবাদ করো । এবং আবাদ কৃত জায়গা হতে বরবাদ কৃত জায়গায় যাওয়া পছন্দ হয় না । সলায়মান বললেন আপনি যথার্থ ই বলেছেন।— ফিকাতুস সাফওয়াহ্, ২য় খণ্ড , ৮৯ পৃষ্ঠাকবর জীবনের প্রতি যে সন্দেহাতিত ভাবে বিশ্বাস রাখে এবং নিজের পুন্নময় কর্মের প্রতিদানে সেখানে ভালো অবস্থায় থাকার আশা পোষণ করে । আর মনে করে যে পার্থিব জগতের ভাই বন্ধু আত্মীয় স্বজন পরিত্যাগ করে চলে যেতে হবে , কবরের জীবনেও ভাই বন্ধু আত্মীয় স্বজন পরিবার বর্গ সাথে দেখা সাক্ষাত লাভ করে । সুতরাং মৃত্যু কে তারা ভয় কেন পাবে? আর এই ক্ষণস্থায়ী জীবন কে কেনই বা কবরের জীবনের ওপরে প্রাধান্য দেবে?রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,মানুষ এই পার্থিব জীবন কে খুব পছন্দ করে ও ভালবাসে । অথচ ম্রিত্তুই হচ্ছে তাঁর জন্য উত্তম ।— বায়হাকি- শোয়া বুল ঈমান ।কোন কোন বর্ননায় আছে রাসুলুল্লাহ (সঃ) মুমিনের জন্য মৃত্যুকে উপঢৌকন বলেছেন ।— বায়হাকি , মেশকাততিনি এও বলেছেন ,যে মানুষ মৃত্যুকে খারাপ জানে ও অপছন্দ করে , অথচ দুনিয়ার ফেতনা – ফাসাদ ও আল্লাহর পরীক্ষায় নিপতিত হবার চেয়ে তাঁর জন্য মৃত্যু উত্তম । মৃত্যু যত তাড়াতাড়ি হবে , তত তাড়াতাড়ি দুনিয়ার ফেতনা ফাসাদ থেকে নিরাপদ হওআ যাবে ।— শরহে সুদূর