Thursday 21st November 2024
Komashisha familyAdvertisementContact । Time: রাত ৯:১৫
Home / খোলা জানালা / নারীদের প্রতি চরম অবিচার ! বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল থেকে প্রতি বছর বিক্রি হচ্ছে হাজারো ‘যৌনদাসী’

নারীদের প্রতি চরম অবিচার ! বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল থেকে প্রতি বছর বিক্রি হচ্ছে হাজারো ‘যৌনদাসী’

nariকমাশিসা ডেস্ক: বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে প্রতি বছর হাজারো নারীকে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এসব নারীদের স্থান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের ‘দাস-বাজার’ আর ‘যৌন কারাগারে’ নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তারা। পাচারকারী এ চক্রের ট্রানজিট পয়েন্ট হলো নয়াদিল্লি, মুম্বই ও কলকাতা। ভারতের দৈনিক দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ভয়াবহ এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ভয়ঙ্কর এ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এয়ারলাইন্স ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। কয়েক মাস আগে ২৪ বছরের নেপালী যুবতী রিমাকে (ছদ্মনাম) তার পিতা-মাতা এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। তার গন্তব্য হতে চলেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দাস বাজারে। ২৭শে জুলাই রিমা ও আরও ছয় জনকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার সময় আটক করা হয় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দরে। এ ঘটনার পর বিভিন্ন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ডেস্কগুলোকে মানবপাচারের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়। পাচারকারী চক্রও এতে সতর্ক হয়ে নারীদের প্রথমে শ্রিলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মরোক্কো ও ব্যাংকক পাঠাচ্ছে। পরে সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ভিসা নিয়ে পাঠানো হচ্ছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিস্থ সৌদি আরব দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারির বিরুদ্ধে নেপালি দুই মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে অনেক বড় একটি পাচারকারী চক্রের তথ্য উঠে এসেছে। এতে সম্পৃক্ত রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার দুই কর্মকর্তা মনিশ গুপ্ত ও কপিল কুমার। তারা বোর্ডিং পাস ইস্যু করতো। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাই সফররত পাচারের শিকার ৭৬ নেপালী মেয়েকে উদ্ধার করে দিল্লি পুলিশ। এদিকে, ২রা সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা সংস্থা র দিল্লি পুলিশকে সতর্ক বার্তা জানায় যে নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশী মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে। র-এর ওই সতর্কবার্তাং বলা হয়, ‘এয়ার ইন্ডিয়া ভিত্তিক কন্ট্যাক্ট ৩১শে আগস্ট তার বাংলাদেশ ভিত্তিক সহযোগীকে জানিয়েছে যে- সে দিল্লিতে প্রয়োজনীয় যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে পেরেছে যেখান থেকে বাংলাদেশীদের জন্য কুয়েত, সৌদি আরব ও দুবাইয়ের ভিসা নিতে পারবে।’ পাচারকারীদের বড় একটি সক্রিয় চক্র নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো দিল্লি পুলিশ, ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন ও বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, মে মাসে নেপালের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো দেশটির যেসব মেয়ে ও নারীদের সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের কাছে ‘যৌনদাসী’ হিসেবে পাচার করা হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দিয়েছে। নেপালের পুলিশ সংস্থাগুলোর আরও জানিয়েছে যে এসব নারীদের ভারতের মধ্য দিয়ে পাচার করা হচ্ছে; বিশেষ করে দিল্লি দিয়ে। রিমা ঘটনার পর বিস্তারিত তদন্তে আরও উঠে আসে যে দিল্লিতে আরও নেপালী মেয়েদের আনা হয়েছে। তাদের মহিপালপুরে রাখা হয়েছে। পুলিশ ২৫শে জুলাই একটি অভিযান চালিয়ে নেপালী দুই এজেন্ট বিষ্ণু তামাং ও দয়া রামকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় ২১ জন নেপালী মেয়ে ও নারীকে। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। তাদের গন্তব্য ছিল দুবাই। গ্রেপ্তারকৃত এজেন্টরা জানিয়েছে, আগের দুই মাসে তারা ৭ শতাধিক নারীকে পাচার করেছে। আর জনপ্রতি তারা কমিশন পেয়েছে ৫হাজার রুপি।

সুত্র: মানব জমিন

Check Also

atheist

নাস্তিকতার মূলে রয়েছে ইসলাম বিদ্বেষ। (শেষ পর্ব)

মাসুম আহমদ ::  ১ম পর্বের পর : ইসলাম শব্দ থেকেই স্পষ্ট হয় ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ ...