কমাশিসা ডেস্ক:
আপনি হয়তো গ্রামে থাকেন বা আপনার বাবা একজন কৃষক, তবে এই পোস্টটি আপনার অনেক বেশী কাজে দিবে। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সেচ মৌসুমে গ্রামের কৃষকের কতোই না কষ্ট করে তাদের জমিতে পানি দেয়ার জন্য। অনেকে তো আবার টাকার অভাবে নিজের কাধে করে পানি নিয়ে তার জমিতে সরবরাহ করে।
এই পোস্ট টি দেখার পর আপানর সে আদিম যুগের ধারনা বদলে যাবে। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো এমন একটি পানির পাম্পের সাথে যেটি একবার স্থাপন করার পর নিজে থেকেই সেচ কার্য পরিচালনা করবে। কোনরকম ইঞ্জিন বা ইলেকট্রিক্যাল মোটর ব্যতীত যেটা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।
আবার আপনারা মনে কইরেন না যে, এই সেচ যন্ত্রটি আজকে বা কিছুদিন আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি প্রথম তৈরি করে এইচ এ উইটয্ যেটা ১৭৪৬ সালের ঘটনা। এবং তখনও সেটি সেচ কাজের জন্যই ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে নতুন নতুন সব সেচ জন্ত্র বাজারে আসার ফলে এটি ধিরে ধিরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
তবে গ্রামে গঞ্জে বা যেখানে আধুনিক জন্ত্রপাতি নেই সেখানে এখনো এই যন্ত্রের বেশ চাহিদা, এবং এটি সুধু ফসলি জমিতে না আরও অন্যান্য কাজে ব্যবহার হতে পারে। যেমন ধরুন আপনি মাছ চাষ করবেন। তো সেটি করতে সবার আগে প্রয়োজন নিয়মিত পানির সরবরাহ। যেটা গ্রীষ্ম কালে বেশ কষ্টসাধ্য ব্যপার।
আপানর পুকুরটি যদি কোন নদী বা ক্যানালের পাসে অবস্থিত হয় তবে খুব সহজেই এই সেচ যন্ত্রটি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা করতে পারবেন।
আবার ঠিক একইভাবে নিজে বাড়ি থেকে শুরু করে আশেপাশের বাড়িতেও গোসলের পানি সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি সরবরাহ করতে পারবেন। এবং সেটা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ।
আরও মজার বিষয় হচ্ছে এই সেচ যন্ত্রটি তৈরি করতে খুব বেশী অর্থের প্রয়োজন নেই। মোটামুটি ব্যয় এবং সম্পূর্ণ দেশী প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি এটি তৈরি করে নিতে পারবেন।
আপনাদের সাথে একটি ভিডিও শেয়ার করছি, যেটা দেখলে এই পাম্প সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারনা পাবেন। একই সাথে এটি কিভাবে তৈরি করবেন সেটিও জানতে পারবেন।
সুত্র: অনলাইন পত্রিকা