লিখেছেন: মনসুর আহমদ
একটি দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তিনটি
জায়গায় আঘাত করতে হয়।
১. সেনাবাহিনীকে দুর্বল
করে দেওয়া।
২. জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়া।
৩. জাতির আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেওয়া।
এই তিনটি ক্ষেত্রেই সফল আওয়ামী লীগ।
সেনাবাহিনী: এখন আমাদের সেনাবাহিনী অন্য দেশে ভাড়া খাটে। যখন ভাড়া খাটে, তখন আর সেনাবাহিনী থাকে না। ভাড়া খাটলে আত্মবিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি, লক্ষ্য, শিক্ষা, সবকিছুই ভাড়াটে হয়ে
যায়। এজন্যই শ্রেণীবিন্যাস বলে একটি কথা আছে। চাইলেও কাজের বুয়ারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। হাসিনার ঔদ্ধত্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বশান্তিতে নিয়োজিত। শান্তিরক্ষা মিশনে তারা ১ম। প্রকৃত সত্য, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশ সেনাবাহিনীকে এভাবে ভাড়া দেয় না। কারণ, প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য আফ্রিকার শান্তিরক্ষা নয় বরং নিজ
দেশের মেরুদন্ড অক্ষত রাখা। আর কতো জাতিকে ধোঁকা দেওয়া?
মেধা: জাতিকে আজ মেধাশূণ্য করে দেওয়া হয়েছে। মেধাওয়ালা বুদ্ধিমান, বিবেকবান লোকদেরকে জেলে পুরে, দণ্ড দিয়ে, গুম করে অথবা অন্য কোনোভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও এ প্লাস বাড়ছে! এর কারণ কী? এর কারণ হলো- পেপার যারা দেখে, তাদের মেধাকেও চাপে ফেলে খেয়ে ফেলা হয়েছে। যার কারণে ফেল করার ছাত্ররা, এমনকি যারা পরীক্ষা দেয় নি,তারাও এ প্লাস পেয়ে যায়! দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের বড়ই অভাব। নজরুলের ভাষায় বলা যায়- ‘গুণতিতে আমরা বাড়িয়া চলেছি গরু ছাগলের মতো!’
আত্মবিশ্বাস: আজ জাতির আত্মবিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা তৃতীয় বিশ্বের মানুষ, তৃতীয় বিশ্বেই রয়ে যাচ্ছি। কিভাবে এগোনো যায়, জাতি তা আজ চিন্তাই করতে পারছে না। আত্মবিশ্বাসে কুলুচ্ছে না। কিভাবে কুলুবে? যাদের দ্বারা কুলানোর কথা ছিলো, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে …।