অনলাইন ডেস্ক :: বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) কোন মাত্রায় তৎপরতা চালাচ্ছে বা চালাচ্ছে না, তা বলা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কারবি।
গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কারবি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আইএস বাংলাদেশে ইতালির এক ত্রাণকর্মীকে হত্যাসহ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইএস কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে?
কারবি বলেন, আইএসের দাবির বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো এসব দাবিকে তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে তাঁরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
বাংলাদেশে সত্যিই আইএসের উপস্থিতি আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে কারবি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোন মাত্রায় আইএস তৎপরতা চালাচ্ছে বা চালাচ্ছে না, তা বলা কঠিন। এর সত্যতা নিশ্চিত করার মতো অবস্থানে আমি নেই।’
কারবি উল্লেখ করেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে চায়। দায় নিশ্চিত করার কাজটি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তবে আইএসের দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়াও দূরদর্শিতা হবে, যেমনটা তাঁরা করেন।
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ৩ অক্টোবর একই কায়দায় রংপুরে হত্যা করা হয় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে। সবশেষ গত শুক্রবার গভীর রাতে হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড হামলায় এক কিশোর নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়।
সব হামলার দায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস স্বীকার করেছে বলে জানায় বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারিতে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’।
আইএসের দাবির সত্যতা খুঁজে না পাওয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ।