৭ শতাংশ হিন্দু বসবাস এই দেশে। আর নব্বই শতাংশ মুসলমান। এই সত্য ব্যাকরণটা পাল্টে যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিলেই।
আজ গিয়েছিলাম ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাওলানা কামাল উদ্দিন আমার চাচা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। মেডিকেলে গিয়ে ভর্তি করিয়ে আসলাম। সেখানেই দেখলাম কাণ্ডটা।
যেই ডাক্তার তার প্রধান চিকিৎসক তিনি শিশির চক্রবর্তি। যেই সিস্টার চাচার শরীরে ইনজেকশন পুশ করছেন তিনিও হিন্দু। জরুরী বিভাগের ডাকাত টাইপের দুইটা ডাক্তার সেগুলোর একজন মনে হয় তাই। ওয়ার্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ নার্সই হিন্দু। ইসিজি রুমের কন্ট্রোলার বেচারাও হিন্দু। ভেতরে ঢুকার সময়কার দারোয়ান বেটাও হিন্দু।
চোখ দুটো জুড়িয়ে যায় হিন্দুদের সমাবেশ দেখলে। মনে হয় প্রাণ খুলে বলি- আমার সোনার বাংলা, আমি ভারতকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি।
সেটা কোনো ব্যাপার না। এই দেশে একটা সরকার হিন্দুদের নিয়ে সরকার গঠন করেছে। সুতরাং হিন্দুদের একটা কোটা অবধারিত।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই জায়গায় নয়; অন্য জায়গায়। সেটা হলো- যে চেয়ারে যে লোকটি বসে আছে দুই-একজন ছাড়া বাকি সকলগুলোই আযোগ্য। শুধু অযোগ্য নয়; বরং এক্কেবারে গণ্ডমুর্খ ও চাড়াল প্রকৃতির। আচার-আচরণ দেখলে বুঝতে পারবেন যে, এই ওসমানি হসপিটাল এরিয়া মনে হয় ভারত শাসিত কাশ্মির। যেখানে আওয়াজ তুলে কথা বলার সাহস কারো নেই। তবে হিন্দু হলেই কোটা তেলেসমাতি।
ওসমানি হাসপাতাল যেতে না পারলে সরকারি ব্যাংকগুলো অথবা বিদ্যুত অফিসগুলোর দিকে নজর দিতে পারেন। অথবা শিক্ষা অফিসগুলো।
দেখে আসলাম নিজ চোখে। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে আপনিও যেতে পারেন!
লেখক : কবি ও চিন্তক