১. যে ব্যক্তি জুমার দিনের ফজরের পুরবে নিম্নের ইস্তিগফার টি ৩ বার পড়বে আল্লাহ্ পাক তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। “আস্তাগফিরুল্লহা ল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়ুল কয়্যিয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। ” (কিতাবুল আজকার )
২. যে ব্যক্তি শুক্রবার সুরা কাহাফ পড়বে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সমস্ত ফেতনা ওবিপদ থেকে সারা সপ্তাহে হেফাজত করবেন। যদিও তা দাজ্জালের ফেতনা হয়।(মেশকাত) সুতরাং এই নিরাপত্তা হিনতার যুগে আমলটি আমরা সবাই করি। আর একটা ফায়দা “কিয়ামতের দিন আকাশ পর্যন্ত তার জন্য একটা নুর হবে। “(মেশকাত, শুয়াবুল ইমান)
৩. যে ব্যক্তি শুক্রবার আসরের ফরজ নামাজের সালাম ফিরায়ে স্থান ত্যগ না করে, উক্ত স্থানে বসে এই দুরুদ শরিফটি “আল্লহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদানিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম তাসলিমা ” ৮০ বার পড়বে আল্লহ পাক তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (গুনাহ না থাকলে বদলা দিবেন)। (কানঝুল উম্মাল)
জুমার সুন্নাত : *যে ব্যাক্তি জুমার দিন ৬টি আমল করবে, আল্লহ তায়ালা তার প্রত্যেক কদমে ১বছর এর রোযা ও ১ বছরের নামাজ পড়ার ছওয়াব দেবেন (মাসজিদে গমনের সময়)
১। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা।
২। উত্তম রুপে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।
৩। তাড়াতাড়ি মাসজিদে যাওয়া।
৪। পায়ে হেটে মাসজিদে যাওয়া।
৫। ইমামের কাছা কাছি বসা।
৬। খূতবা মনোযোগ সহকারে শোনা। ফজিলত এর হাদিসের ভিতর এই হাদিসটির সনদ খুবই উত্তম ওদৃঢ় । (নাসায়ি শরিফ, তিরমিজি শরিফ।)
জুমার দিন বেশি বেশি দুরুদ শরিফ পড়া ও একটা সুন্নাত। (আল কওলুল বাদি ‘) সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারি) জুমুয়ার দিন বেশি বেশি দোয়া করা, এই দিন এমন এক মুহূর্ত আছে, যখন দোয়া করলে অবশ্যই কবুল হয়। অধিকাংশ সাহাবি ও মুহাদ্দিসিনগণের মতে সে সময়টা আছর থেকে মাগরিব। (মেশকাত, মেরকাত।)
শুক্রবার সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (মেশকাত)। আর ঈদের দিনের ন্যায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া শুক্রবার এর একটা মুস্তাহাব সুন্নাত। (মেশকাত)। অনেকে নখ কাটা, চুল ছাটা, বগোলের পশম কাটা, লজ্জা স্থানের পশম কাটা এগুলি কাটার জন্য ৪০দিনের অপেক্ষা করেন। কিন্তু না, সাপ্তাহিক ঈদের দিন, অর্থাৎ প্রতি শুক্রবার এগুলি পরিষ্কার করা মুস্তাহাব সুন্নাত। আল্লাহ্ পাক তাওফিক দেন, আমিন। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)