পঞ্চাশের দশকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নূন কথাটি বলেছিলেন। কথাটি শোনে সবাই ছি ছি বলে প্রতিবাদে সরব চারদিক।
সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী অনেক দিন পর ফিরোজ খান নূনকে কাছে পেয়ে তার এ তথ্যের ভিত্তি কী জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি বলেছিলেন, বিশ্বাস কর! তোমাদের বাঙালি কওমের এক সিএসপি অফিসার আমাকে এ তথ্য দিয়েছে।
একবার এক বিয়ে বাড়িতে এই সিএসপিদের সমবয়সী মামা- নানাদের ঝগড়া থামতে আমার বেহাল দশা। তাও সাক্ষাত বর-কনের সামনে।
কনে সবে বিসিএস ক্যাডারে চাকুরী পেয়েছেন। কৌতুহল বসতঃ বরের মামা প্রশ্ন করেছিলেন, বিসিএস এর সংক্ষেপায়ণ পাকিস্তান এবং তার আগে ভারত আমলে কী ছিল? কনের জবাবের সুযোগ না দিয়ে নাতনীর পক্ষে নানার নাচন যুক্তিযুক্ত কী না সে কথায় না গিয়ে, এটুকু বলতে পারি, নাতনী নানার কদর বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
আমি হলে, বিসিএস, সিএসপি, আইসিএস না বলে, বলতাম এ হলো গোলামীর ভূত। বলতে পারেন, আপনি এত চটে গেলেন কেন? না। আমি চটে যাইনি এই আমলাতন্রের ধারাবাহিকতায় পেট যে পিঠে লেগেছে, তা প্রকাশ করলাম মাত্র।
ব্যাক্তি,পরিবার, সমাজ, দল, রাজনীতি এমন কী দেশও ঐ আমলাতন্রের ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যা ভাবতে গায়ের লোম একদম খাঁড়া হয়।
এরা আম ছালা খাওয়া শেষ করে দেশটার দিকে গ্রোগ্রাসে এগুচ্ছে।
লেখক : সংগঠক ও সম্পাদক, গোলাপকুঁড়ি