গোলাম মোর্তেজা
পাঁচ ছয় হাজার সন্ত্রাসীর হাতে লাইসেন্স করা অস্ত্র। কারও সন্তান মাতাল হয়ে মাঝ রাতে গুলি প্র্যাকটিস করে দিনমজুর হত্যা করে।
মাতাল অস্ত্র কিনেছে, গুলি করা প্র্যাকটিস করতে হবে না! এলাকায় তো আর বিরোধীদল নেই, গুলি করবে কাকে? চাচা ভয়ে দৌঁড় দেয়ায়, ভাতিজাকে গুলি করেছে। গুলি পায়ে করেছে, বুকে বা মাথায় নয়। তার মহানুভবতার প্রশংসা করতেই হবে!
উন্নয়নের জন্যে জনগণকে ত্যাগ শিকার করতে হয়। গুলি প্র্যাকটিসের জন্যে শিশুর পা বেছে নেয়ার মধ্যে অন্যায়ের কি আছে! গণমাধ্যম আবার পুরনো গুলির প্রসঙ্গগুলো টেনে এনে অত্যন্ত বাজে রকমের বাড়াবাড়ি করছে।
কারও সন্তানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ, আর অন্যায়ের প্রতিবাদকারী অনেকের সন্তানকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে শিরদাড়া ভেঙ্গে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করছে পুলিশ।
প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য। এই বাণিজ্যের পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা যে নৈতিক দায়িত্ব, তা বোকা জনগণ বোঝে না। তারা বাণিজ্য বিষয়টিই বোঝে না।
বাণিজ্যের পরিবেশ না থাকলে উন্নয়ন হবে কি করে! বাণিজ্যের পরিবেশ ঠিক রাখার বৃহত্তর স্বার্থে, ইউজিসির একজন কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের শিকার হলে, কয়েক জন ছাত্রের শিরদাড়া ভেঙ্গে দিলে, ছাত্রীর শরীরে পুরুষ পুলিশ হাত দিলে -কি এমন ক্ষতি ! বৃহত্তর স্বার্থের জন্যে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগের মহান বাণী কি আমরা মনে রাখব না!!
ইতালি, জাপানের নাগরিক হত্যাকান্ডের শিকার হলো কি হলো না -এসব দেখার সময় কোথায়!
অস্ট্রেলিয়া আসলো কি আসলো না, এটা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপার -আমাদের কী!