আব্দুল্লাহিল আমান আযমী :
সালাম রইলো,
আমাকে ‘চ্যালেঞ্জ’ দেয়া আপনার ভিডিও ক্লিপটি যথা সময়েই দেখেছি। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনার চ্যালেঞ্জের জবাবটা দেয়ায় একটু বিলম্ব হওয়ায় এবং ছোট করে উত্তরটা দিতে না পারার জন্য। আমি আপনার মত ‘পন্ডিত’ ব্যক্তি নই; তাই, অল্প কথায় গুছিয়ে আপনার মত বলতে পারিনা। আশা করি কস্ট করে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। একই অনুরোধ সকল পাঠকদের জন্যও রইলো। পাঠকরা ইচ্ছামত শেয়ারও করতে পারেন – আমার অনুমতির প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয়ত, আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আন্তত এই ক্লিপটিতে সংযত ও মার্জিত ভাষা ব্যাবহার করে আপনার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। এছাড়া, আপনার ‘মামা’র বন্ধু হিসেবে আমাকে ‘মামা’ সম্বোধন এর জন্যও ধন্যবাদ, যদিও সেই সূত্রে আমরা কোনদিন পরিচিত হইনি।
আমি বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করছি, আপনি আমাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েই যাচ্ছেন, যার শেষেরটা ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। লাভ নেই – সরি, আমিই সহজেই আপনার মত উত্তেজিত হয়ে ‘গালিগালাজ’ করি না।
আপনি কিসের ভিত্তিতে “বাংলাদেশী মিলিটারী মেজাজ আমার সাথে দেখিয়ে লাভ নেই” বলে গতকাল আমাকে শাষিয়েছেন তা আপনিও নিশ্চয়ই জানেন না! এটা আপনার অনুমান যে, আমি ‘টিপিক্যাল মিলিটারী মেজাজের লোক’ এবং ‘আপনার মত যখন তখন, যাকে তাকে, কারণে অকারণে মেজাজ দেখাই’। সরি, দুটাই ভুল! আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আমার আচার আচরণ “অনুকরণীয়” ছিলনা, এমন কথা যদি এই বিশাল আর্মির একজন লোকও বলে, আমি যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমার ‘গ্যারান্টি’ পরখ করে দেখতে পারেন। যাক, (আপনার মত) আমি নিজের ঢোল পিটাই না – এ কথাটা বললাম কেবল আমার ‘মিলিটারি মেজাজের’ কথা বলেছেন দেখে। আর, আমার ‘মিলিটারি মেজাজ’ থাকলেও তা আপনার উপর দেখাবো, এটাও আপনার অসুস্থ কল্পনার চিন্তা। ‘অনুমান, ধারণা বা কল্পনা নির্ভর কোন কিছু করা/ বলা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন’ মিরাজের ১৪ দফা মূলনীতির একটির মাধ্যমে (সূরা বনী ইসরাঈল- ১৭ঃ৩৬)। এখানে, (১) আমার মিলিটারি মেজাজ আছে; এবং (২) আমি তা আপনার উপর ঝাড়তে পারি – দূটাই অনুমান নির্ভর বা কল্পনাপ্রসূত। তাহলে, এটা প্রমাণিত হলো যে, “ইসলামিস্ট জনাব মুফাসসিল ইসলাম কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর সুস্পস্ট আদেশের পরিপন্থী দুটো কাজ করেছেন”।
যা হোক, জেনে রাখুন – আমার পিতা-মাতা ও পারিবারিক শিক্ষা, ধর্মীয় জ্ঞান এবং সামরিক জীবনের শিক্ষার সমন্বয়ের আলোকে যেই আজকের আমি, সেই আমি সচরাচর কাউকে কখনো কটু কথা তো দূরে থাক, কড়া কথাও বলিনা। তবে, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বা বিশেষ প্রয়োজনে কখনো কড়া বলতে হয়েছে, হয়। উপরন্তু, কাউকে আঘাত করে কথা বলা আমার নীতিবিরুদ্ধ। স্বভাবসুলভভাবেই, আমি এখানে শালীনতা ও শিস্টাচার বজায় রাখবো, যদিও আপনার “চ্যালেঞ্জ” এর শেষাংশে আপনি যা বলেছেন এবং যেভাবে বলেছেন (text and tone), তা অনেকটা ভয় দেখানো বা হুমকির পর্যায়েই পরে। আপনি অনুমান করেছেন (এটাও সূরা বনী ইসরাঈলের উপরোল্লিখিত আয়াতের পরিপন্থী) যে, I may “push” you এবং তাই বলেছেন, “If I am pushed, I will take up the challenge”! আপনার এই বক্তব্য আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও এটা হুমকির ভাষাই। It was utterly uncalled for – এভাবে না বলাটাই শোভনীয় হতো। এছাড়া, গতকালও আমাকে “হুমকির” সুর আরেকটা পোস্ট দিয়েছেন (এরও জবাব দিব)। Please be informed that, আমি হুমকিকে ভয় পাইনা। দয়া করে অযথা এরুপ চেস্টা আর করবেন না।
এবারে আসি আপনার এই ভিডিও ক্লিপের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে।
আপনি আপনার এই ক্লিপ এর মাধ্যমে আপনার পুরাতন একটি পোস্ট’এ আমি যে মন্তব্য করেছিলাম তার সূত্র ধরে আমাকে দু’টো চ্যলেঞ্জ দিয়েছেন। দূঃখজনক হলো, আপনি আমাকে যে দু’টো বিষয়ে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, আমার মন্তব্যে সেই দু’টো প্রসঙ্গে আদৌ কোন বক্তব্য ছিলনা। আমি আপনার বক্তব্যের যেই অংশের বিষয়ে মন্তব্য করেছি, সেই মন্তব্যের সূত্র ধরেই আপনি আমাকে চ্যালেঞ্জ দিলেন, অথচ আমার মন্তব্যের কোন জবাব দিলেন না বা সেই প্রসঙ্গে কোন সুস্পস্ট বক্তব্য দিলেন না, বরং এড়িয়েই গেলেন! এটাকে চতুরতা বা ধুর্ততা বলে, বুদ্ধিমত্তা নয়। আমার মন্তব্যের রেশ ধরে শুরু করে এমন বিষয়ে চ্যালেঞ্জ দিলেন যা আমি বলিইনি! ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? যদি আমার মন্তব্যের রেশ ধরে আপনি এই চ্যালেঞ্জ দিতেন তাহলে একটা কথা হতো।
আপনি আপনার “চ্যালেঞ্জ” প্রদান করা বক্তব্যের ভূমিকায় বলেছেন যে, আমি আপনার বক্তব্যের “স্ট্যান্ডার্ড” নিয়ে “সমালোচনা” করেছি। আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, কোথায় আমি আপনার বক্তব্যের “স্ট্যান্ডার্ড” নিয়ে সমালোচনা করেছি প্রমাণ করুন। এটা অনেকটা “ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি তো কলা খাইনি” ধরণের হয়ে গেল। দ্বিতীয়তঃ আমার বক্তব্যটা কোন “সমালোচনা” ছিলনা। আমি আমার মন্তব্যে বলেছিলামঃ (১) (আপনার প্রদর্শিত রশিদ অনুযায়ী) ঐ ধরনের কোন তহবিল ছিলনা; (২) ওটা ‘ফেইক’ রশিদ; (৩) অধ্যাপক গোলাম আযম এর স্বাক্ষর ইম্পোজ করা; (৪) ঐ রশিদটা বহুল প্রচারিত হলেও (আপনি যতটা ‘বহুল’ বলেছেন সেটা আদৌ ততটা নয়) যেহেতু তার সত্যতা প্রতিস্ঠিত নয়, সেহেতু এটা প্রচার করা (ফেবু এ দেয়া মানেই প্রচার করা) অনৈতিক এবং হাদীস অনুযায়ী মিথ্যার সামিল; এবং (৫) আপনার কাছে এমনটা অনাকাঙ্খিত।
এখানে কোথায় “স্ট্যান্ডার্ড” নিয়ে কথা বলা হয়েছে, আর কোনটাকে আপনি “সমালোচনা” মনে করে আমাকে রীতিমত “চ্যালেঞ্জ” দিয়ে বসলেন, এটা আমার “মোটা” মাথায় বুঝে এলোনা। নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলে, আমার মন্তব্যের সূত্র ধরে অন্য প্রসংগ এনে, অন্য প্রসংগ টেনে এনে আমাকে চ্যালেঞ্জ করাটা একটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে গেছে!
আর হ্যাঁ, আপনি আমার মন্তব্যের এই পাঁচটা পয়েন্ট এড়িয়ে গেলেন কেন বুঝলাম না! এটা কি ‘সচেতনভাবে’ ও ‘সযত্নে’, না বেখেয়াল বশতঃ? এভাবে এড়ানো কোন সত উদ্দেশ্যে হতে পারেনা। এই এড়ানোর মধ্যে কোন ‘কারণ’ থাকাটাই স্বাভাবিক, যা আমি সহ সকলের জানাটা প্রয়োজন। আমি অবশ্য এখানে আপনার মত ‘অনুমান করতে পারি/ পারতাম’, কিন্তু আপনার মত করে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আমি যাব না।
মূল কথায় ফিরে আসি। আমার মন্তব্যের প্রথম তিনটা পয়েন্ট সত্য হলে আপনি ‘নিশ্চিত মিথ্যা’ প্রচার করেছেন। যেহেতু আপনি দাবী করেন নি যে আমি মিথ্যা বলছি বা আমার মন্তব্যের বিপক্ষে কোন ‘অকাট্য প্রমাণ’ দেননি, সেক্ষেত্রে ‘আমি মিথ্যা বলিনি’ এটা প্রতিস্ঠিত। আপনি অবশ্য নিজেই স্বীকার করেছেন যে এটা (টাকা সংগ্রহের রশিদ) অপ্রমাণিত। হাদীস অনুযায়ী ‘নিশ্চিত না হয়ে বলা মিথ্যার সামিল’ – তার মানে ‘আপনি এখানে সুস্পস্ট মিথ্যাচার করেছেন’। এই হাদীসটি নিশ্চয়ই আপনি অস্বীকার করেন না? তাহলে, আপনি আমার মন্তব্যের এই অংশের কোন জবাবই দিলেন না কেন? কোন দূর্বলতা ছিল এক্ষেত্রে? আপনার মত ‘ইসলামের একজন মহান খাদেম’ এর নিকট থেকে কি এ ধরনের ‘মিথ্যাচার’ কাঙ্খিত? আমি তো শালীন শব্দ ব্যাবহার করে “অনাকাঙ্খিত” বলেছি। এটা কি সমালোচনা হয়ে গেল? আর এর জন্য আপনি অপ্রাসংগিকভাবে অন্য বিষয়ে নিয়ে এসে আমাকে “চ্যালেঞ্জ”ই দিয়ে দিলেন। আমি অবশ্য চ্যালেঞ্জে ভয় পাই না, এখানেও পাইনি।
প্রাসঙ্গিকভাবে, দুদিন আগের আপনারই একটি পোস্ট নীচে হুবহু উদ্ধৃত করলামঃ
“যখন কেউ কোনো তথ্য আনে তখন সেই তথ্য যদি আপনার মন:পুত না হয় তবে তথ্য যাচাই করে তার যুক্তি খন্ডান !! তথ্য দাতার উপর রাগ ঝারলেই তথ্য ভুল প্রমানিত হয় না !! – এই সধারণ যুক্তিটি অনেক রাজনীতির আবেগী বোঝে না আর তথ্যদাতাকে অপমান করে তাদের দল আর নিজেদের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে !! – মুফাস্সিল ইসলাম”
আপনার এই বক্তব্যটা কি আপনার উপরেই শতভাগ প্রযোজ্য নয়? কেননাঃ
১। আমার মন্তব্যের ‘রশিদ ভুল’, ‘সই ইম্পোজ করা’ ইত্যাদি তথ্য আপনার মনঃপুত না হওয়ায় আপনি তো “আমার তথ্য যাচাই করে যুক্তি খন্ডান নি”!! বরং, আপনি তা খন্ডানের পরিবর্তে আমাকে ভিন্ন বিষয়ে “চ্যালেঞ্জ” দিয়েছেন। তাহলে, এখানেও আপনি যে কাজটি আপনি নিজে করেন না তা অন্যকে করতে বলে হাদীসবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। এ প্রসংগে, নবীজি (সঃ) এবং মিস্টি পছন্দকারী সেই বালকটির গল্পটি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যেখানে নবীজি (সঃ) নিজে মিস্টি পছন্দ করার কারণে বালকটিকে পর পর কয়েকবার আসতে বলেছিলেন, এবং শেষ পর্যন্ত নিজে মিস্টি খাওয়া কমিয়ে তারপর বালকটিকে মিস্টি কম খেতে বলেছিলেন।
এ যাবত আমরা দেখলাম, আপনি দুটো কোরআন বিরোধী এবং দুটো হাদীসবিরুদ্ধ কাজ করেছেনঃ
(ক) আপনি ‘মিলিটারি মেজাজ’ সংক্রান্ত বক্তব্যে আমাকে নিয়ে দুটো অনুমান নির্ভর কথা বলে সুস্পস্টভাবে আল্লাহর আদেশের পরিপন্থী কাজ করেছেন।
(খ) একটি অপ্রমাণিত বিষয় আপনি প্রচার করছেন, যা হাদীস অনুযায়ী মিথ্যাচার। (গ) আপনি বলছেন একটা, আর করছেন একটা, যা রাসুল (সঃ) এর শিক্ষার পরিপন্থী।
কেমন “ইসলামিস্ট” আপনি? ফেবু এ মনে হচ্ছে ইসলামের জন্য “জেহাদ” করে আপনি জান কোরবান করে দিচ্ছেন, অথচ নিজে নিশ্চিন্তে কোরআন-হাদীসবিরুদ্ধ কাজই কেবল করছেন না, কেউ যখন শালীননভাবে আপনাকে আপনার হাদীসবিরুদ্ধ কাজ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, আপনি তার জবাবে সেই প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে ভিন্ন বিষয়ে হুমকির সুরে তাকে চ্যালেঞ্জ দেন!!
আপনার আরো হাদীসবিরুদ্ধ কাজের উদাহরণ শুনবেন? শুনুন।
আপনি যেভাবে গণহারে সব্বাইকে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন এটা কি ইসলাম সমর্থন করে? আপনার কঠোর ভাষার প্রয়োগ, আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার, আগ্রাসী বাক্য গঠণ এবং সর্বোপরি শ্লেষ মিশানো গলার স্বর ইসলামের শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। রাসুল (সঃ) বা সাহাবীদের জীবনী থেকে একটিও উদাহরণ দিতে পারবেন আপনার এ ধরণের আচরণের স্বপক্ষে? I bet, you can’t। নবীজিকে (সঃ) কাফের, মুশরিকরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে, পাগল বলেছে, আহত করেছে, রক্তাক্ত করেছে। ইতিহাস স্বাক্ষী, এত কিছুর পরও তো নবীজি (সঃ) কোনরুপ পাল্টা ব্যাবস্থা নেন নি! বরং, কাঁটাবিছানো বুড়ী যখন অসুস্থ, তখন তাঁর সেবা করেছেন। সেই মানদন্ডে আপনি কোথায় অবস্থান করছেন? সুস্পস্টভাবে একের পর এক সুন্নতের বরখেলাফ কাজ করে ইসলামের বি-শা-ল “খেদমত” করছেন?
আপনি প্রতি নিয়তঃ কোরআন হাদীস উদ্ধৃত করে থাকেন, দ্বীণের বিষয়ে আপনি পিএইচডি করছেন, আপনি তো দ্বীণ সম্পর্কে অ-নে-ক বিজ্ঞ ব্যাক্তি। আশা করি ঐ হাদীসটিও জানেন যে, “মুনাফেকের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো গালিগালাজ করা”? আপনি যে সে কাজটিও করে যাচ্ছেন তা কি আর প্রমাণ দেয়ার প্রয়োজন আছে? তাহলে দেখুন, আপনারই ২১-৫-১৫ তারিখের একটি পোস্টে আপনি স্বীকার করে বলেছেন, “আমি গালি দেয়ার জন্য আমার দর্শক ও বন্ধুবান্ধবের কাছে ক্ষমা প্রার্থী”! কি সাংঘাতিক ব্যাপার! কি “ভয়ংকর” দ্বীণের খাদেম আপনি!!!
আরও উদাহরণ চান? দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাবো। তবুও শুনুন, যদি আপনার বিবেক জাগ্রত হয়!!
আপনি আল্লাহ’র আদেশ বিরোধী আরও কি কাজও করছেন শুনুন।
আল্লাহ কোরআনে স্পস্ট বলেছেন, “মন্দকে প্রতিহত কর উত্তম দ্বারা” (সূরা হা-মী-ম সাজদাহ-৩৪), যা আপনি অবলীলায় ভংগ করে চলেছেন, নির্দ্বিধায়, নিশ্চিন্তে, নির্বিকারভাবে। ক্ষেত্র বিশেষ আপনি ঠিক তার উল্টোটা করেছেন – “কম মন্দকে বেশী মন্দ দ্বারা প্রতিহত করছেন”, যা আপনার ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারা সুস্পস্টভাবে প্রমাণিত।
এত কিছুর পর, এখন কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে, “আপনি কোন ইসলাম পালন করেন? কোন ইসলাম প্রতিস্ঠার জন্য জেহাদ করছেন”? আপনি কি কোন জবাব দিতে পারবেন? আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) এর আদেশ ও শিক্ষার প্রতি বেপরোয়াভাবে ভ্রুকুটি দেখিয়ে, তাঁদের শিক্ষার পুরো উল্টো কাজ করে আপনি সেই ‘দ্বীণ’ প্রতিস্ঠার জন্য এত হম্বিতম্বি আর লম্ফঝম্প করেছেন? আপনি কি জানেন যে এসব করে আপনি already নিজেকে এক হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলেছেন? Please Mr Islam, have some mercy on yourself and give others some break, will you?
আশা করি আপনি (এবং সকল পাঠক) ধৈর্য্যহারা হয়ে যান নি। গুড, পড়তে থাকুন।
বাই দ্য ওয়ে, নুমান এর সাথে আপনার টেলিকথপোকথনের আপলোড করা তিনটির একটিতে আপনি বলেছেন যে, আমি কেন ব্যক্তিগতভাবে আমার সেই কমেন্টটি আপনাকে না জানিয়ে ওপেনলি ‘কমেন্ট’ করেছি, তাই আপনি আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। এতে একটা বিষয় স্পস্ট যে, আপনি আপনার কথার সমালোচনা করা তো দূরের কথা, আপনার সাথে দ্বিমত পোষণকারীদেরও সহ্য করতে পারেন না! এটা অবশ্য আমার একার কথা নয়। আপনার পোস্ট দেখলেই বুঝা যায় যে আপনি সবার সমালোচনা করে চলেছেন, অথচ অন্য কেউ আপনার সমালোচনা করার সাথে সাথেই আপনি (আপনার ভাষায়) ‘আপদ বিদায়’ এর জেহাদে অবতীর্ণ হচ্ছেন এবং ‘আনফ্রেন্ড’ ও ‘ব্লক’ করে দিচ্ছেন!! গত কয়েকদিনে আমার ইনবক্সেও শ’ শ’ ম্যাসেজ পাচ্ছি যে, আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করায় ‘আনফ্রেন্ড’ বা ‘ব্লক’ করেছেন!!! এভাবে দ্বিমত পোষণকারীকে ‘সহ্য করতে না পেরে’ ‘আনফ্রেন্ড’ বা ‘ব্লক’ করাটা আপনার দূর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ এটাকে ‘কাপূরুষতা’ও বলে থাকে।
আর হ্যাঁ, আমি কেন ‘কনফিডেনসিয়ালি’ আপনাকে আমার মন্তব্য দেইনি জানেন? আপনি পাবলিক ফোরামে আমার বাবাকে নিয়ে “মিথ্যাচার” (হাদীস অনুযায়ী) করে তাঁকে জনসন্মুখে হেয় করার অপচেস্টা করবেন, আর আশা করবেন যে, আমি তাঁর ছেলে হয়ে সেটার জবাব আপনাকে “গোপণে” দিব??!!! “হাইট অব এক্সপেকটেশন”, মিঃ ইসলাম!
এ প্রসংগে জেনে রাখুন যে, আমি মনে করি মানুষ ভুলত্রুটির উর্ধে নয়। মানুষ হিসেবে অধ্যাপক গোলাম আযম এর ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। কিন্তু, একটা মানুষের মধ্যে যত ভাল গুণাবলী থাকতে পারে, সেই মানদন্ডে মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম এর মধ্যে যত ভাল ও বিরল গুণাবলীর এক ব্যতিক্রমধর্মী সমন্বয় ছিল, তা আমি এই পৃ্থিবীর দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির মাঝে দেখিনি। তাই, জনাব ইসলাম, জেনে রাখুন, আমার দৃস্টিতে, আমার দেখা লাখো লাখো মানুষের মধ্যে মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেস্ঠ ব্যাক্তি ছিলেন। উনার কাছাকাছি অবস্থানেও আর কেউ নেই। তিনি কেমন মানুষ ছিলেন, কত মহান ও বড় মাপের ছিলেন তা উনার জানাযা এই ভুখন্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাযা হওয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়ে গেছে। সুতরাং মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম ‘রশিদ দিয়ে টাকা তুলে পোলাও কোর্মা খেয়েছেন কি না’ (আপনার ‘রশিদ সম্বলিত’ যেই পোস্টে আমি প্রথম মন্তব্য করি, সেই পোস্টে আপনি লিখেছিলেন- “ব্যাখ্যা দাবি করছি! এই তহবিল কি পোলাও কোর্মা খাওয়ার জন্য?”) এমন ভাষায় প্রশ্ন কোন শিক্ষিত, ভদ্র, রুচিশীল, মার্জিত ব্যক্তির করার কথা নয়। অন্ধ, সেক্যুলার, দলদাস বা মানসিক রুগী করতে পারে। আপনি কোন ক্যাটাগরীর সেটা আপনিই ভাল জানেন – আমি আপনার মত অনুমান করবো না। আর হ্যাঁ, মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পর্কে প্রশ্ন করার মত যোগ্যতা (ধৃস্টতা শব্দটা বেশী প্রযোজ্য) অর্জন করতে হলে আপনি, মুফাসসিল ইসলাম সাহেবকে আরো ১০০ বছর সাধণা করতে হবে।
আপনি জামায়াত নেতাদের ব্যাপারে আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন! আমি জামায়াত বা কোন রাজনৈতিক দলের কোন পর্যায়েরই সদস্য নই, কোনদিনও কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলাম না, এখনও নেই। আমি কোন দলের মুখপাত্রও নই। কোন দলের কোন নেতার বক্তব্য বা কর্মকান্ড সম্পর্কে আপনি জানতে চাইলে সেই দলের সদস্য বা মুখপাত্রের নিকট জানতে চাইতে পারেন, আমার কাছে কেন? WHY ME?? আপনি জামায়াতের নেতাদের বিষয়ে আমাকে কেন চ্যালেঞ্জ দিলেন তা বোধগম্য নয়। আমি তাদের বক্তব্য বা কর্মকান্ডের ব্যাপারে কেন উত্তর দিতে পারবো বা পারলেও দিতে যাবো বলে আপনার মনে হলো তা আমার বুঝে আসেনি। যার যার কথা বা কাজ এর জবাব সে দিবে বা তার মুখপাত্র দিবে। এ নিয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ দেয়ার কেন ইচ্ছা হলো আপনার তা বিস্ময়কর! আপনার কাছে আমার অনুরোধ, আপনার প্রথম চ্যালেঞ্জটা আপনি ঐ দলের কোন নেতা বা সদস্যকে করুন, আমাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করে নিজেকে আর “বিব্রত” করবেন না।
আপনার দ্বিতীয় চ্যলেঞ্জটা আমার বাবা বিষয়ক। এ বিষয়ে প্রথম কথা হলো, আমার বাবার কোন কথা বা কর্মকান্ডের জন্যও আমি কাউকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই। এ প্রসংগে নবীজির (সঃ) বিদায় হজ্জ্বের বাণী আপনি নিশ্চয়ই আবগত, যেখানে স্পস্ট বলা হয়েছিল ‘একজনের কথা ও কাজের জন্য আরেকজন দায়ী নয়’। সেই দৃস্টিকোণ থেকে, আপনার দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জটিও অগ্রহণযোগ্য। শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয় – এখানেও আপনি চরমভাবে নবীজির (সঃ) আদেশের বিপরীত কাজ করে আপনি কেমন “ইসলামিস্ট” বা “ইসলামের সেবক/ খাদেম” তা দেখিয়ে দিয়েছেন। তবে, আপনি যেহেতু আমার বাবা সম্পর্কিত আমার এক মন্তব্যের জের ধরেই আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, তাই এ প্রসংগে কিছু বলা আমার নৈতিক দায়িত্ব। সুতরাং আমি এ নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছা রাখি। তবে, তার আগে, অন্য সকলের সুবিধার্থ, একটু পেছনে যাওয়া যাক এবং আপনার পোস্ট, আমার কমেন্ট, আপনার কমেন্ট ইত্যাদি দেখে নেয়া যাক যাতে কাউকে কোন “অনুমান” এর উপর নির্ভর করতে না হয়য় এবং কোন ভুল বুঝাবুঝির আশংকা না থাকে।
আপনি প্রথমে একটি পোস্টে আমার বাবার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অর্থ সংগ্রহের রশিদ এর ছবি দিয়ে বলেছিলেন (আপনার স্ট্যাটাস হুবহু নীচে দেয়া হলো) :
“১৯৭১ সালে যেই রাজাকার বাহিনীর মূল লক্ষ্য ছিল (এর আগে পোস্ট করা বিদেশী সংবাদের ভিডিও দেখুন) সকল মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা আর ঠেকানো, যাদের গঠন করা হয়েছিল মুসলিম লীগ আর ছাত্রদের মাঝে যারা মানুষ হত্যা করেছিল আর গ্রামের পর গ্রাম জালিয়ে দিয়েছিল , যেই আল বদর আর আল শামস বাহিনী সকল মুক্তি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল সেই আল বদর আল শামস এর জন্য তহবিল সংগ্রহের ডাক দিয়েছিলেন সেই সময় মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ (প্রমান দেব) – তাহলে ছাত্র সংঘ আল বদর এর সাথে সভা মিটিং করতো (একটু পর প্রমান দেবো) – যেই ছাত্র সংঘ ছিল জামাতের সাথে যুক্ত ! তারা এই সকল কাজ করতো পাকিস্তান রক্ষার নামে তহবিল করে ! যারা জন্ম দেয় তারাই লালন করে ! এই ছবিতে জামাতের তহবিল সংগ্রহের প্রমানে প্রফেসর গোলাম আজমের সই আছে !! ব্যাখ্যা দাবি করছি ! এই তহবিল কি পোলাও কোর্মা খাওয়ার জন্য ? এই টাকা কোথায় ব্যবহৃত হয়েছিল প্রমান চাই ! – মুফাস্সিল ইসলাম”
আমি আমার মন্তব্যে বলেছিলাম (হুবহু দেয়া হলো)ঃ
“এ ধরনের কোন তহবিল ছিল না। থাকলে বিগত এত বছর এগুলোর কোন অস্তিত্ব ছিলনা কেন? এটা একটা বানানো কাগজের উপর অধ্যাপক গোলাম আযম এর সই ইম্পোজ করে বসানো। সব ফেইক! এ ধরনের ভিত্তিহীণ রশিদের ছবি সম্বলিত তথ্য প্রদান অনৈতিক এবং প্রকৃত সত্য নিশ্চিত না হয়ে প্রচার (হাদীস অনুযায়ী) মিথ্যার সামিল। আপনার কাছ থেকে এমনটা অনাকাঙ্খিত জনাব Mufassil Islam.”
(পূর্বেই আমার এই ৫টি পয়েন্ট আলোচনা করেছি)
আপনি আমার মন্তব্যের জবাবে বলেছিলেন (হুবহু দেয়া হলো)ঃ
“Ami byakhya dabi korechhi karon ei chhobiti online e byapok procharito hochche…etar ami somorthok ba ninduk konotai noi. Kintu eta sotyo je tohobil songroho korto Al Badr or Al Shams ebong ei Tohobil collection er bishoye Jamater onek netader somorthin chhilo ….ami jar okatyo proman dite pari…ami eo proman dite pari je Jamater netribrindo Al Badr er senader training oversee korten…jei proman okhondoniyo…I will prove it if I am pushed to which might be too much to handle by many.”
আপনার এই উত্তরে আপনি আমার মন্তব্যের কোন সরাসরি জবাব দেননি। “একটি মিথ্যা হাজার বার বলা হলেও মিথ্যাই থেকে যায়” এটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না। তাহলে, ‘ব্যাপক প্রচারিত’ হলেই কি এই রশিদ সত্য হয়ে গেল? এছাড়া, আমি যে হাদীসের সূত্র ধরে বলেছি, “নিশ্চিত না হয়ে প্রচার করা মিথ্যার সামিল”, আপনি সেই বিষয়টিও এড়িয়ে গেছেন। আসলে, আপনি এই অপ্রমাণিত বিষয়টি, যা হাদীস অনুযায়ী মিথ্যার সামিল, তা প্রচার করার পক্ষে কোন যুক্তি দেখাতে পারবেন না বলেই পুরো প্রসংগটি এড়িয়ে গেছেন? এ প্রসংগে কোরআনের একটি আয়াতও স্মর্তব্য। সূরা যারিয়াত এ (৫১ঃ১০) আল্লাহ বলেন, “যারা অনুমানের ভিত্তিতে ফায়সালা করে, তারা ধংস হয়েছে।“ কেউ কেউ অর্থ করেছেন, “ধংস হোক মিথ্যাচারিরা”। তাহলে তো, একজন ভাল মুসলমান হলে তো, ‘নিশ্চিত না হয়ে ঐ রশিদ প্রচার করে আপনি যে মিথ্যাচার করেছেন’ এবং মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমকে হেয় করার চেস্টা করেছেন, তার জন্য আপনার দূ;খিত ও লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ ছিল। আপনি তা না করে, নিজ দূর্বলতা এড়ানোর চেস্টায় আক্রমণাত্মক হয়ে আমাকে অপ্রাসংগিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন!
যা হোক, আপনার এই জবাবের প্রতি উত্তরে আমি পুনরায় যে জবাব দেই তা ছিল (হবহু)ঃ “I only said about that fake ‘money receipt’ Mr Mufassil Islam. I didn’t say about the rest. A hundred lies don’t make a truth a lie. So, even if it is ‘ব্যাপক প্রচারিত’, to the best of my knowledge, from shariah point of view, posting something unproved without being confirm amounts to a lie. I am sure u r aware about this hadis. I’m also sure you know worldwide media’s role against Islam and Muslims. I believe you are a practicing muslim too. As such, this was not expected from you. Besides, had this been true, be rest assured that the govt would have definitely highlighted this to malign Prof Ghulam Azam, bcoz they tried in all possible ways to defame the late Prof resorting to lies. I hope I made the point clear. Thanks.”
এখানে দেখুন যে, আমার দ্বিতীয় মন্তব্যে আমিঃ
১। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, ‘আমি কেবল ঐ রশিদ নিয়েই মন্তব্য করেছি, অন্য কোন কিছু (জামায়াত, আল বদর, আল শামস, জামায়াতের অন্য নেতৃবৃন্দের ভূমিকা ইত্যাদি) নিয়ে নয়’।
২। ১০০ মিথ্যা একটি সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে পারেনা (বা একটি মিথ্যা ১০০ বার বলা হলেও মিথ্যাই থেকে যায়, সত্য হয়ে যায় না) বলে আপনাকে স্মরণ করিয়েছি।
৩। ‘অপ্রমাণিত’ বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে প্রচার করা মিথ্যার সামিল বলে আবারও আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।
৪। আমি বিশ্ব মিডিয়ার role তুলে ধরে ‘ব্যাপক প্রচারিত’ হলেই সত্য হয়ে যায় না বলেছি।
৫। আমার জানামতে আপনি একজন ভাল মুসলমান বিধায় আপনার কাছে এমনটা আশা করিনি বলে জানিয়েছি।
৬। এই রশিদ সত্য হলে সরকার এই রশিদ নিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেস্টা করতো বলে উল্লেখ করেছি, কেননা উনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে সম্ভাব্য সব উপায়ে চেস্টা করতে সরকার পিছুপা হয় নি (একটি অস্তিত্বহীণ চিঠির সূত্রে উনাকে ৩০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। আর, এই রশিদ এর মত এমন সত্য একটা ডকুমেন্ট নিয়ে কোন কিছু করলোনা?!! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?)।
যা হোক, যখন আপনার রশিদ সম্বলিত (পোলাও কোর্মা সম্পর্কিত!!) স্ট্যাটাস এবং তার উপর আমার-আপনার মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যের পরই আপনি আবার প্রসংগ এড়িয়ে মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আরও একটি স্ট্যাটাস দিলেন, যা হুবহু নীচে দেয়া হলোঃ
“Is this true ? I demand to know !! – Mufassil Islam
_________________ After his meeting with Pakistan’s then president General Yahya Khan on June 19, 1971, Ghulam Azam addressed a press conference in Lahore and told journalists: “The miscreants are still active in East Pakistan. People must be provided with arms to destroy them.” While the 1971 war was still on, Ghulam Azam contested a by-election from Tangail and became a member of Pakistan National Assembly. On November 23, Yahya Khan declared a state of national emergency. Ghulam Azam welcomed it and said at a press conference in Lahore: “The best way to defend ourselves is striking at our enemies.” He said that each patriotic citizen, each member of Al-Badr and Al-Shams must be armed with modern automatic weapons. Link:http://www.thenews.com.pk/Todays-News-2-280663-A-tricky-las… লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আযম (Prof. Ghulam Azam in a conference at Lahore), Daily Sangram, 21 June 1971. http://profilebengal.com/mnnews/page127.html”
ট্রাইব্যুনালে অধ্যাপক গোলাম আযমের ‘বিচার’ ও সাজা প্রদান, এবং নবতিপর এই বৃ্দ্ধের ১০১৬ দিন কারাবাসের পর, কারান্তরীণ অবস্থায় ৯২ বছর বয়সে ইন্তেকালের পর আপনি হঠাত ৪৪ বছর পর কেন উনার বিরুদ্ধে “জেহাদ” এ অবতীর্ণ হলেন তা আমার বোধগম্য হয়নি। শুধু আমার কেন, আপনার স্ট্যাটাসের কমেন্ট দেখলেই দেখা যাবে, আরো অনেকেই এ আতি উতসাহী উদ্দ্যোগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আমি আমার বিস্ময় প্রকাশ করে যে কমেন্ট দেই তা নিম্নরুপঃ
“Why didn’t you ask him while he was alive? Suddenly you’ve started coming up with all these? I’m curious to know what could be your motive?! Mr Mufassil Islam – I understand you’ve been to your relative’s house in his neighbourhood 100s of times. Why didn’t you ask him then? You’ve also had many other opportunities to ask him directly or indirectly through his sons living in same country as you do, who are your acquaintances too. You didn’t do that either. After all these years, what are you trying to get at by seeking clarification publicly like this for actions of a dad man? Do you expect that the late Prof would respond in fb? Certainly, he can’t. Then who are you seeking clarification to? I’m utterly surprised!”
যে কোন সুস্থ বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষই আমার এই মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন বলে আমি মনে করি না। অধ্যাপক গোলাম আযম এর ৪৪ বছর আগের বক্তব্যের জন্য তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করার অ-নে-ক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না করে, পরোক্ষভাবে তাঁর সন্তানদের (যাদের সাথে আপনার ঘনিস্টতার কথা আপনি প্রয়োজনে, অপ্রোয়জনে বার বার বলেন এবং দুস্ট লোকেরা আপনার এহেন প্রচারণা নিয়ে হাসি তামাশা করে) বা তাঁর প্রতিবেশী আপনার মামাদের দ্বারা জানার চেস্টার অ-নে-ক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না করে, তিনি যখন ট্রাইব্যনালের মুখোমুখি তখন সরকার পক্ষের সংশ্লিস্টদের ‘খোরাক’ হিসেবে এসব প্রসঙ্গ উত্থাপন না করে, উনার মৃত্যুর প্রায় ৭ মাস পরে “Is this true ? I demand to know !!” বলে আপনি কার কাছে এই “demand” করছেন এবং কি উদ্দেশ্যে তা করছেন আমি আমার মন্তব্যে আপনার এসব কছে জানতে চাওয়াতেই আমি আপনার বিরাগভাজন হয়েছি। আর, সে কারণেই হয়তো আপনি ‘ক্ষেপে’ গিয়ে আমার উপর ছুঁড়ে দিয়েছেন ঐ চ্যালেঞ্জ!!??? এখন আবার হুমকিও দিচ্ছেন। আপনি হঠাত সম্পুর্ণ অপ্রাসংগিকভাবে আমাকে জামায়াত, জামায়াতের নেতৃবৃন্দ, আল বদর, আল শামস ইত্যাদি বিষয়ে ফেইসবুকে এমন চ্যালেঞ্জ দেয়ার আমি আর কোন কারণ খুঁজে পাইনি! শুধু আপনি জানতে চেয়েই ক্ষ্যান্ত হন নি। আপনি অনেকটা হুমকির শুরেই বলেছেন আপনার নিকট অকাট্য যুক্তি প্রমাণ আছে, এবং আপনি যদি ‘pushed’ হন, তাহলে আপনি প্রকাশ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন, এবং বলেছেন ‘যা অনেকের জন্যই হবে ভয়াবহ’! আমি জামায়াতের কেউ নই, জামায়াতও আমাকে ‘পুছা’র কোন কারণ নেই। তাই, আমার কাছে আপনার এই দাবী, এবং পরবর্তীতে হুঙ্কার, হুমকি ইত্যাদিতে আমি কেবল বিস্মিতই নই, হতভম্বও। আপনার মত এত ‘উঁচু মাপের’ (!) মানুষ আমার মত নগন্যের সাথে এমনটা করাটা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। আপনি জামায়াত, জামায়াতের নেতৃবৃন্দ, আল বদর, আল শামস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিস্টদের (তারা কারা আমার চেয়ে আপনিই ভাল জানার কথা কেননা আপনার এ নিয়ে অনেক গবেষণা আছে, এবং আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আপনার কাছে অনেক তথ্য ও ‘অকাট্য’ প্রমাণও আছে) বাদ দিয়ে আমার কাছে জানার চেস্টা করে ব্যাপারটা কিছুটা হাস্যকরও করে দিয়েছেন বটে। তাই, আমি প্রথমে আপনার চ্যালেঞ্জ এর কোন জবাব না দিয়ে ignore করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, ভেবেচিন্তে এই মনে করে শেষ পর্যন্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম যে, “আপনি বা অন্য কোন পাঠক যেন আমাকে ভীতু মনে না করে”। সৈনিক হিসেবে মৃত্যুর মুখোমুখি হবার অভিজ্ঞতা থাকায় এখন কোন কিছুকেই ভয় পাই না; বরং ‘ভয়’ ব্যাপারটাই উল্টো আমাকে “ভয়” পায়।
লেখাটা অনেক বেশীই বড় হয়ে গেল! আপনি যদি রাগ, ক্ষোভ, বিরক্ত ইত্যাদি হয়ে থাকেন, আমি দুঃখিত। তবে, আরো একটা শেষ কথা বলার লোভ সম্বরন করতে পারছি না।
আপনার ওয়ালে গেলে যে কেউই ভাবতে বাধ্য যে, আলহামদুলিল্লাহ, আপনি ইসলামের একজন বিশাল খাদেম/ সেবক, যদিও আপনি নিশ্চিন্তে ও বেপরোয়াভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স:) এর বাণী, আদেশ, নিষেধ, শিক্ষা ইত্যাদির প্রতি ভ্রুকুটি দেখাচ্ছেন। আপনি আপনার বিদ্যা, বুদ্ধি, মেধা, শ্রম, সময়, অর্থ, স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা, উদ্দ্যেগ, উতসাহ, উদ্দীপনা, দেশপ্রেম ইত্যাদি যা আছে তাঁর সব উজাড় করে দিয়ে দেশ ও দশের সেবা করুন, খুব ভাল কথা। আমরা নগন্য মানুষ হয়তো আপনার মত ‘বড় মাপের’ ইসলামের খেদমতকারী ‘ম-হা-ন নেতা’র জন্য প্রয়োজনে একটু আধটু আমাদের ক্ষুদ্র বিদ্যা-বুদ্ধির দৌড়ে যা করা যায় তা করে আপনার মহান কাজে কিছুটা সহায়তা করার চেস্টা করতাম। কিন্তু, ইসলামের কাজ করতে হলে যে ৪০/৫০ বছর পুরোন ইতিহাসের কাসুন্দী ঘাটতে ঘাটতে জান কোরবান করে দিতে হবে এবং ময়দানে নেমে ৪৪ বছর আগে কে কোন ভুলটি করেছে, কেন করেছে, কেন স্বীকার করেনি ইত্যাদি জানার জন্য রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে তা তো ইসলামে আছে বলে আমার জানা নেই। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝতে পারি, এতে করে ইসলামের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সমগ্র বিশ্বে আজ মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে শতধাবিভক্ত। আপনার এই ‘জেহাদ’ আরো বিভক্তিই সৃস্টি করবে, ইসলামের জন্য কোন সুবাতাস বয়ে আনবে না। আমার মোটা মাথার উর্বর মস্তিস্কে এই সামান্য কথাটা বুঝে আসলেও আপনার মাথায় কেন এটা বুঝে আসেনি/ আসেনা তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
পরিশেষ বলতে চাই, আপনি সমগ্র বিশ্বে পরিচিত আন্তর্জাতিক এক ব্রিটিশ পন্ডিত। আপনার বিশাল ভক্তকুল (আপনার স্ট্যাটাস অনুযায়ী ৫,০০০ বন্ধু এবং ৯০,০০০ ফলোয়ার, যদিও দেখলাম ৮৮,০০০। আপনি দৈনিক ৫০০ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন। সেই হিসেবে তো এদ্দিনে ‘লাখ’ ছাড়িয়ে যাবার কথা!) সমগ্র বিশ্বজুড়ে। আপনার তুলনায় ‘জ্ঞান, পান্ডিত্য এবং বাগ্মিতায় আমি নস্যি’। আপনি রাজনীতিবিদ হবেন তা প্রকাশ্যেই বলেছেন এবং “Bangladesh Conservative Party” নামে দল গঠণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন, যা আপনার ওয়ালেই দেখেছি। দল গঠণের লক্ষ্যে সফর এর উদ্দেশ্যে ভক্তদের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে পোস্টও দিয়েছেন। আমি এর কোন কিছুই না করলেও যেহেতু আমি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মেছি, বড় হয়েছি, তাই রাজনীতি নিয়ে আমার সচেতনতা স্বাভাবিক। কিন্তু, তার মানে এই না যে আমি আপনার সাথে কোন ‘প্রতিদ্বন্দিতায়’ নামছি। আমি একজন দেশপ্রেমিক সাধারণ নাগরিক, এক প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা – এই ই আমার পরিচয়। সুতরাং, আমার উপর ‘ক্ষেপে’ আমাকে আপনার প্রতিদ্বন্দি ভাববেন না। আর, আমি যেহেতু কোনদিনও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই, তাই আমি রাজনীতি বিষয়ে আপনার সাথে কোন বিতর্কেও জড়াতে চাই না। So, please don’t draw me into it. সত্যিকারের দেশ সেবার ব্রত নিয়ে আপনি কাজ করলে মহান আল্লাহ আপনার সহায় হউন, এই দোয়াও রইলো।
পুনশ্চঃ
১। আরেকটা অনুরোধ – আমাকে আবার অন্য কোন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন না! দিলে, জবাব না পাবার সম্ভাবনাই বেশী। অবশ্য, তার মানে এই নয় যে, প্রয়োজন মনে করলে “চূপ” থাকবো। But, I want to avoid wasting time on unnecessary matters/ issues. You’ve already created a situation to force me to ‘waste my time’. No more please! I intend to avoid any further discourse with you. So, please leave me alone.
২। অবশ্য, আমার ছোট ভাই নুমান এর সাথে আপনার টেলিফোন কথপোকথন (যা ফেবু’তে আপলোড করার কারণে আপনি বিশ্বাসভংগের দায়ে আখেরাতের আদালতে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন, কেননা বিশ্বাসভংগ করাও ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থী) প্রসংগে কিছু বক্তব্য আসাটা অত্যন্ত জরুরী। তাই মূলতঃ সেই প্রসংগে ও সংশ্লিস্ট আরো কিছু বিষয় নিয়ে আরো একটা পোস্ট দিব ইনশাআল্লাহ। And that will be it, unless … .
নিউজ অর্গান