আমলকী ভেষজ ওষুধ হিসেবে অনেক রোগেরও কাজ করে। আমলকীর এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই এই ফলটিকে অমৃতফল হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। হাতের নাগালের এই ফলটি ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর।
আমলকী নিরাময় বৈশিষ্ট্য:
১। পেটের গোলযোগ, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং মুখের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।
২। প্রতিদিন ১টেবিল চামচ আমলকীর রসের সঙ্গে সমপরিমান মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালচে দাগ দূর হয়। আমলকীতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৩।এটি রক্তের লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।
৪। আমলকীতে বিদ্যমান ফাইটো-কেমিক্যাল চোখ জ্বালাপোড়া, পানিপরা, চুলকানিসহ চোখের সব সমস্যা দূর করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
৫। মানসিক চাপ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। পেশীকে মজবুত করে তোলে।
৬। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট দূর করে, হার্ট সুস্থ রাখে এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
৭। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্যও উপকারি। দীর্ঘদিনের সর্দি-কাশি ও অন্যান্য রোগব্যাধি দূর করে।
৮। এছাড়া যাদের নিশ্বাসে দুর্গন্ধ বের হয় তারা নিয়মিত আমলকী খেলে
এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
৯। পেশি শক্ত ও নমনীয় করতেও সাহায্য করে।
১০। আমলকী বয়সের বলিরেখা পড়তে দেয় না।
১১।ক্যানসার প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক এই আমলকী।
১২।এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
১৩।গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।
১৪।দাঁতের বিভিন্ন অসুখ দূর করতেও আমলকী কাজ করে।
* আমলকীর সবচেয়ে বড় অবদান চুলের জন্য।
ক] অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকী খেলে টাক মাথায় নতুন করে চুল গজায়।
খ] এটি চুল পাকা, চুল পড়া রোধ করে।
গ] এবং চুলে চকচকে ভাব নিয়ে আসে।
সুত্র: পাপড়ি হোমিও হল