Monday 29th April 2024
Komashisha familyAdvertisementContact । Time: দুপুর ১:০৭
Home / English / ড. আফিয়া সিদ্দিকা’র নির্যাতনের করুন কাহিনী (ভিডিও সহ)

ড. আফিয়া সিদ্দিকা’র নির্যাতনের করুন কাহিনী (ভিডিও সহ)

“ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রজিউন””

12191483_930727413673643_3540008160342358806_nআসুন জানি একজন ড. আফিয়া সিদ্দিকা নির্যাতনের করুন কাহিনী :
সভ্যতা কে,কাকে শিখায় ?
ড.আফিয়া সিদ্দিকা
যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন
বিখ্যাত একজন মুসলিম স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং একজন
আলোচিত মহিলা।

তিনি করাচীর সম্ভ্রান্তও উচ্চশিক্ষিত
পরিবারে১৯৭২ সালের ২মার্চ জন্মগ্রহন করেন।
পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই
মহিলাকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা
এফবিআই ২০০৩ সালে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়
আল-কায়েদার সাথে যোগাযোগ
থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে তার
তিন সন্তান সহ গ্রেফতার করে।
পরে প্রচলিত আইনের আওতায়
না এনে পাকিস্তানের কারাগারে
গ্রেফতার না রেখেই তাকে আফগানিস্তানের সামরিক ঘাটিতে
৫ বছর বন্দি করে রাখা হয়।
12187685_930727487006969_3474595437931762478_n
মার্কিন আদালত তাকে ৮৬ বছর কারাদন্ড দেয়।
বন্ধি অবস্তায় তার ওপর ব্যাপক অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ
আছে।

জন্মও শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
জন্মসূত্রে এই উচ্চ শিক্ষিতা
মহিলা পাকিস্তানের নাগরিক।

শিক্ষাজীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের
সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী( পিএইচডি)।
স্বনামধন্য এই স্নায়ুবিজ্ঞানী শিক্ষা জীবনে অসামান্য মেধার
পরিচয় দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডে ইসহার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয় তাকে“নিউরোলজি” বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে।
এ ছাড়াও সম্মানসূচক ও অন্যান্য
ডিগ্রীর ১৪০টিরও বেশি সার্টিফিকেট তিনি অর্জন করেন।
তিনি একজন হাফিজে কোর’আন
ও আলিমা।

শিক্ষা লাভের পর তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন।
সহকর্মীরা তাকে অত্যন্ত ভদ্র,
নম্র ও বিনয়ী হিসেবে পরিচয় দেন।

12193645_930727507006967_8894795905058234089_nগ্রেফতারও অপহরণঃ
পাকিস্তানি এই নাগরিক কে
করাচির রাস্তা থেকে
গ্রফতার করা হয়।
পরে পাকিস্তানে কোনো বিচার
কার্য না করে ই সরাসরি আফগানিস্তানে নিয়ে গেলে পাকিস্তান সরকার ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয় এবং তাকে অপহরনের অভিযোগ
করা হয়।

গ্রেফতারের অভিযোগ ও বন্দী জীবন আল-কায়দার সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে
তাকে গ্রেফতার করা হয়
তিন সন্তান আহমদ, সুলাইমান
ও মারিয়মকে সহ
আফগানিস্তানে বন্দি রাখাকালে
তার ওপর অমানবিক নির্যাতন
করা হয়েছে বলে অভিযোগ
করা হয়।তাকে মানসিক,যৌন ও
শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হত এবং তাকে দিনের মধ্য কয়েকবার করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও
অভিযোগ করা হয়।
বাগরাম কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা অভিযোগ করেছে “নির্যাতনের সময়ে আফিয়ার
আত্ন-চিৎকার অন্য বন্দির পক্ষে
সহ্য করাও কঠিন ছিলো।”
ওই নারীর ওপর নির্যাতন
বন্ধ করার জন্য অন্য বন্দীরা
অনশন পর্যন্ত করেছিলো।
২০০৮ সালে তাকে স্থানান্তর করা হয় নিউইয়র্কের এক গোপন কারাগারে।
বর্তমানে তিনি পুরুষদের
সাথে ওই কারাগারে বন্দি।
কারা বন্দি নম্বর৬৫০।
চলমান নির্যাতন সহ্য করতে
না পেরে তিনি মানসিক ভারসাম্য
হরিয়ে ফেলেন।
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান
দাবি করে বলেন,
তার দু’সন্তান ইতিমধ্যেই মার্কিন নিয়ন্ত্রিত আফগান কারাগারে
মারা গেছে।”
তিনি আরো বলেন,
“পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের মধ্যে
যারা ড. আফিয়া সিদ্দিকাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে তুলে
দিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই
বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।”

৩৮ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীকে
৮৬ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়, আদালতে মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার
চেষ্টার অভিযোগে।
অভিযোগ আছে যে তাকে ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে অজানা রাসায়নিক পদার্থ ও হামলার
পরিকল্পনার নোট সহ গ্রেফতার
করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ৭টা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী
বলেন যে গ্রেফতারের সময়
তার কাছে গুরুত্বপূর্ন স্থানের
মানচিত্র পাওয়া যায়।
ড. আফিয়াকে ৮৬বছর কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করার পর পাকিস্তানের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়।
অনেকেই মনে করেন তিন সন্তানের জননী হার্ভার্ড পিএইচডিধারী আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সন্তাসবিরোধী যুদ্ধের আর একটি নির্দোষ শিকার।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে,
“বিশ্বজুড়ে সব জায়গায়তেই অভিযুক্তরা “বেনেফিট
অব ডাউট” বা সন্দেহাতীত ভাবে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগে পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়।
ফলে সকল সুবিধা পায়।
কিন্তু ড. আফিয়া তা পাননি বরং
নির্যাতনের শিকার হন।”
তারও পর অমানবিক নির্যাতনের বিষয়টি আলোচিত হয়
কারাগার থেকে তার বহুল আলোচিত চিঠিটি লেখার পর।
চিঠিটিতে আফিয়া দাবি করেন
তার ওপর শারীরিক,
পাশবিক নির্যাতনের পাশাপাশি একের পর এক ধর্ষণ করা হয়।
তার একটি কিডনিও বের করে ফেলা হয়েছিলো ফলে তিনি
হাঁটতে পারতেন না।
তিনি আরো দাবি করেন যে
তাকে গুলি করা হয় এবং তার
বুকে গুলির আঘাত ছিলো।12191583_930727453673639_5106024256357462031_n

আল্লাহ বোনটিকে জান্নাতের
উঁচু মাক্বাম দান করুন,আমীন।
কালেক্ট by ইউকিপিডিয়া।

Check Also

wallpapers-40-690x517

What about food?

Although much simpler than the dietary law followed by Jews and the early Christians, the ...