ব্লগার হত্যায় সরকারের পৃষ্টপোষকতা আছে কি-না সেই বিষয়ে বলতে গেলে হ্যাঁসুচক বিশেষণ বলতে হবে।হত্যাকাণ্ড শুরু হয় রাজিব ওরফে (থাবা বাবা) দিয়ে। অনেকের সাথে আলোচনা করলে বুঝা যায়,‘থাবা বাবা’কে চিনেন না। ‘থাবা বাবা’ এই ফেইক নাম দিয়ে ইসলামবিদ্বেষী লেখাগুলো লিখত এই রাজীব। তাই ২০১২ সালে হাইকোর্টে তার নামে রিট পিডিশন করা হয়। আর তাকে দিয়েই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লগার হত্যার সূচনা হয়।
কিন্তু তিনি যেভাবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে সম্মাননা পেয়েছিলেন অন্য কারোর বেলায় সে ভাগ্যটুকু জুটেনি। আর দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় শহীদ বানানোরও প্রয়োজন পড়েনি। এরপর চলতি বছরেই খুন হন মার্কিন প্রবাসী ব্লগার, মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। অভিজিৎ হত্যার এক মাসের মাথায় আবার খুন হন ওয়াশিকুর রাহমান। এই ঘটনার দুমাস পর ঢাকার বাহিরে সিলেটে প্রথম খুন হন ব্যাংকার ব্লগার ‘অনন্ত বিজয় দাস’। এরপর আগস্টে হত্যা করা হল নীলাদ্রি চট্রোপধ্যায়কে। এবং সর্বশেষ পরশু (৩১অক্টোবর) হামলা করা হয় দুই প্রকাশককে। এর মধ্যে নিহত হন দিপন। তাদের মধ্যে প্রায় সকলই ছিল ধর্মদ্রোহী। বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষকারী।
ব্লগার হত্যার পর কিছুটা আনন্দের আবাস দেখা যায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম পাড়ায়। হতে পারে এটি তাদের ইসলামের প্রতি আবেগ ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মানের জায়গা থেকে। বাঙালী জাতির মধ্যেই রয়েছে হুজুগী মনোভাব, তা প্রমান হয়েছে অনেকবার। কিন্তু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ব্লগার হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসিনতা। কি যেন লুকোচুরি খেলায় মত্ত্ব ওরা। হাস্যকর হলেও সেটি ভাবি সময়ের জন্য বড়ই মারাত্মক ক্যান্সারজনিত রোগের আবির্ভাব।
রাজীবকে হত্যার পর দোষ স্বীকার করে নিল আনসারুল্লাহ নামি একটি সংগঠন। বড়ই পরিতাপের বিষয় আজ অবধি সেই বিচারের কোন নমুনাই দেখা যাচ্ছে না। একে একে সব দোষ শিকার করে নিল তারা (আনসারুল্লাহ)।
কিন্তু তিনি যেভাবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে সম্মাননা পেয়েছিলেন অন্য কারোর বেলায় সে ভাগ্যটুকু জুটেনি। আর দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় শহীদ বানানোরও প্রয়োজন পড়েনি। এরপর চলতি বছরেই খুন হন মার্কিন প্রবাসী ব্লগার, মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। অভিজিৎ হত্যার এক মাসের মাথায় আবার খুন হন ওয়াশিকুর রাহমান। এই ঘটনার দুমাস পর ঢাকার বাহিরে সিলেটে প্রথম খুন হন ব্যাংকার ব্লগার ‘অনন্ত বিজয় দাস’। এরপর আগস্টে হত্যা করা হল নীলাদ্রি চট্রোপধ্যায়কে। এবং সর্বশেষ পরশু (৩১অক্টোবর) হামলা করা হয় দুই প্রকাশককে। এর মধ্যে নিহত হন দিপন। তাদের মধ্যে প্রায় সকলই ছিল ধর্মদ্রোহী। বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষকারী।
ব্লগার হত্যার পর কিছুটা আনন্দের আবাস দেখা যায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম পাড়ায়। হতে পারে এটি তাদের ইসলামের প্রতি আবেগ ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মানের জায়গা থেকে। বাঙালী জাতির মধ্যেই রয়েছে হুজুগী মনোভাব, তা প্রমান হয়েছে অনেকবার। কিন্তু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ব্লগার হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসিনতা। কি যেন লুকোচুরি খেলায় মত্ত্ব ওরা। হাস্যকর হলেও সেটি ভাবি সময়ের জন্য বড়ই মারাত্মক ক্যান্সারজনিত রোগের আবির্ভাব।
রাজীবকে হত্যার পর দোষ স্বীকার করে নিল আনসারুল্লাহ নামি একটি সংগঠন। বড়ই পরিতাপের বিষয় আজ অবধি সেই বিচারের কোন নমুনাই দেখা যাচ্ছে না। একে একে সব দোষ শিকার করে নিল তারা (আনসারুল্লাহ)।
ব্লগার হত্যাকাণ্ডে ইসলামের সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ইসলাম কি সমর্থন করে সে হত্যাকাণ্ডকে। বা যদি কেউ সত্যিকারের ধর্মদ্রোহী হয় তাহলে ইসলাম কিভাবে তার শাস্তি নির্ধারণ করে। ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে যদি কারো উপর এমন অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে বিচারক তার সেই অবমাননাকর বক্তব্য পরিহার করার সুযোগ দিয়ে বলবেন যে, আপনি আপনার বক্তব্য পরিহার করে ইসলামের সুশীতল ছায়ার নিচে আবার ফিরে আসেন এবং তাকে সময় দিবেন তিন দিন। সে যদি তার বক্তব্য পরিহার করে নেয় তাহলে শাস্তির প্রশ্নই আসে না তখন। কিন্তু যদি সে তার বক্তব্য পরিহার করতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে বিচারকের নির্দেশেই থাকে হত্যা করা হবে।
ইসলামে ব্লগারদের প্রচলিত সিস্টেমে হত্যার ব্যাপার কতটা সমর্থিত তা বুঝে নিলাম। এই জন্য হেফাজতের আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছিল। হেফাজত থেকে এমন দাবিই করা হয়েছিল যে, ধর্মবিদ্ধেষী ব্লগারদের ব্যাপারে সংবিধানে আইন করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে বন্য পশু-পাখি থেকে নিয়ে সবার নিরাপত্তার জন্য আইন থাকলে, এক শেখ মুজিবের সম্মানের জন্য সংবিধানে আইন করতে দেখা গেলেও, নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে সেই দাবির সাথে আন্তরিকতা পোষণ করে নি সরকার। মুল্যায়ন করা হয় নি মুসলমানদের এই দাবিকে। কিন্তু ক্রমাগত ব্লগার হত্যায় সরকারের বিচারিক তৎপরতা তেমন না থাকায় দেশ-জাতি আগামীতে গভীর সংকটকাল অতিক্রম করতে হবে।
নতুন করে আইএস সমাচার তেমন ভালো ফল বহন করবে না দেশের সার্বভৌমত্বে ও গণতন্ত্রে। এখন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে, পশ্চিমারা আমাদের নিয়ে নতুন জাল বুনছে। এদিকে কিছুদিন আগে নগ্ন উল্লাস, বৈরি ইতিহাস তৈরি করল কিছু দাড়িওয়ালারা। যাদের মুখে দাড়ি, মাথায় লম্বা চুল। প্রেসক্লাবের সামনে জংগি প্রতিরোধ কর্মসুচি পালন করতে উপহার দিল তাদের চুলাচুলি স্টাইল। আবিষ্কার করল এক নতুন তথ্য। এতদিন যাবত আনসারুল্লাহ নামি যে মেইল থেকে স্বীকার করা হত ব্লগার হত্যার দায়, সেটি উলামালীগের একাংশের।
ইসলামে ব্লগারদের প্রচলিত সিস্টেমে হত্যার ব্যাপার কতটা সমর্থিত তা বুঝে নিলাম। এই জন্য হেফাজতের আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছিল। হেফাজত থেকে এমন দাবিই করা হয়েছিল যে, ধর্মবিদ্ধেষী ব্লগারদের ব্যাপারে সংবিধানে আইন করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে বন্য পশু-পাখি থেকে নিয়ে সবার নিরাপত্তার জন্য আইন থাকলে, এক শেখ মুজিবের সম্মানের জন্য সংবিধানে আইন করতে দেখা গেলেও, নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে সেই দাবির সাথে আন্তরিকতা পোষণ করে নি সরকার। মুল্যায়ন করা হয় নি মুসলমানদের এই দাবিকে। কিন্তু ক্রমাগত ব্লগার হত্যায় সরকারের বিচারিক তৎপরতা তেমন না থাকায় দেশ-জাতি আগামীতে গভীর সংকটকাল অতিক্রম করতে হবে।
নতুন করে আইএস সমাচার তেমন ভালো ফল বহন করবে না দেশের সার্বভৌমত্বে ও গণতন্ত্রে। এখন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে, পশ্চিমারা আমাদের নিয়ে নতুন জাল বুনছে। এদিকে কিছুদিন আগে নগ্ন উল্লাস, বৈরি ইতিহাস তৈরি করল কিছু দাড়িওয়ালারা। যাদের মুখে দাড়ি, মাথায় লম্বা চুল। প্রেসক্লাবের সামনে জংগি প্রতিরোধ কর্মসুচি পালন করতে উপহার দিল তাদের চুলাচুলি স্টাইল। আবিষ্কার করল এক নতুন তথ্য। এতদিন যাবত আনসারুল্লাহ নামি যে মেইল থেকে স্বীকার করা হত ব্লগার হত্যার দায়, সেটি উলামালীগের একাংশের।
উলামালীগ কি আওয়ামীদের অংগ সংগঠন নয়? তাহলে কি বুজবে জাতি। ব্লগার হত্যায় কি সরকার জড়িত? হলে কেন? কার প্রতি ঢিল ছুড়বে সরকার ব্লগারদের বলির পাটা বানিয়ে। এমন না হলে এখনো কেন ধরাছোয়ার বাহিরে ব্লগার হত্যাকারীরা। সবকটি হত্যার সিস্টেম এক থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে যে, ব্লগারদের হত্যাকারীরা সেই আনসারুল্লাহ।
আমরা বিচার চাই। ব্লগার হত্যার রহস্য উন্মোচিত হোক। সাথে আইন ও বিচার চাই ধর্মদ্রোহীদের ব্যাপারে। নিরাপদ চাই ইসলাম ও আমাদের নবী মোহাম্মাদ সা.কেও।
আমরা বিচার চাই। ব্লগার হত্যার রহস্য উন্মোচিত হোক। সাথে আইন ও বিচার চাই ধর্মদ্রোহীদের ব্যাপারে। নিরাপদ চাই ইসলাম ও আমাদের নবী মোহাম্মাদ সা.কেও।