আবু সাঈদ মুহাম্মাদ উমর
‘আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী’ পড়ছিলাম গতরাত্রে। অনেক আগে পড়েছি, গতকাল নেতানিয়াহুর বয়ানের সংবাদ পড়ে বইটি আবার পড়ার ইচ্ছে হলো। অর্ধেক পড়ে বাতি নিভিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
“হঠাৎ দরজার কড়া নাড়ার শব্দ হলো। ভাবলাম মনের ভুল তাই পাত্তা দিলাম না। কিন্তু না, আবারো কড়া নাড়ার শব্দ হলো! নিশ্চয় কেউ নাড়ছে। এতো রাত্রে কোন হিটলার এলো ঘুম নষ্ট করতে! বিরক্ত ভাবনিয়ে বিছানা ছেড়ে দরজা খুলতেই দেখি সত্যি সত্যি-ই ‘এডলফ হিটলার’ সামনে দাড়ানো।
: আরে হিটলার সাহেব যে! আসুন ভিতরে আসুন।
ভিতরে আসার পর আলোয় মুখ দেখে বুঝলাম উনি প্রচণ্ড রেগে আছেন। রাগের কারনে তার ব্যতিক্রমী মুচ দাড়িয়ে গেছে।
: জনাব! কী কারনে এতো রেগে আছেন?
– তোমরা হুজুররা আমাকেও ছাড়লে না!
: জনাব! আমরা নিরীহ হুজুররা আবার কী করলাম!
– বিশ্বের যেখানেই হামলা হোক, কাউকে হুমকি ধমকি দেয়া হোক, কাউকে কিডন্যাপ করা হোক, সবসময় সবজায়গায় অধুনিক যুগের মানবতাবাদীরা তোমাদের-ই কৃতিত্ব দেয়ে। তাই বলে যা আমার একার কৃতিত্বে, তাতে তোমরা হুজুররা ভাগ বসাবে কেনো!
.
: আমি হিটলারের হাতে একগ্লাস পানি দিয়ে বললাম- ঘটনা কী, একটু বুঝিয়ে বলুন।
– পানি পানকরে গলা ঝেড়ে হিটলার বলতে লাগলেন- দেখেন হুজুর সাহেব, আমি হলাম এডলফ হিটলার। ভালো করে শুনেন, হ্যাঁ আমি হিটলার ১৯২৩ইংরেজি সনে ইহুদী নিধন শুরু করি। এবং ১৯৪১ইংরেজিতে এসে একজন মুফতি হুজুরের সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু এখন নাকি লোকেরা বলতেছে যে, আমি যে ছয়লক্ষ ইহুদী হত্যা করেছি এর সকল কৃতিত্ব সেই মুফতি হুজুরের! আচ্ছা, হুজুর আপনি বলুন আমি কি আবার আসবো, আমাকে কি আবারো কয়েক লক্ষ ইহুদী হত্যা করে প্রমাণ করতে হবে আমি-ই তাদের হত্যা করেছি।
: আসলে আসতে পারেন, খারাপ হবে না।
– ঠিকাছে, এখন তাহলে যাই।”
হিটলারকে বিদায় দিতে দাঁড়াতেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো
★ছবির বামপাশের মানুষটাই হলেন সেই মুফতি হুজুর। যিনি ছিলেন তৎকালিন বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রধান মুফতি। তাঁর নাম ছিলো আমীন হুসাইনি। আর ডানপাশের লোকটা হলো বেচারা এডলফ হিটলার।
সুত্র: অনলাইন মিডিয়া