রাজাগঞ্জ থেকে ইমরান হুসাইন চৌধুরী :
————————————-
গতকাল ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ইসায়ী রোজ শুক্রবার পবিত্র আশুরার দিন। ইসলাম ও মুসলমানদের মাঝে দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ঘটেছিল অজস্র অগনীত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। রয়েছে এই দিনে নবীগণের গৌরবগাথা ইতিহাস ও ত্যাগ-বিসর্জনের হাজার স্মৃতি। যার বদৌলতে দিনটি ইসলাম ধর্মে অনুপম মর্যাদার স্থান অর্জন করেছে।
সেই পবিত্র আশুরার রজনীতে গানের আয়োজন করা হয়েছিল সিলেট জেলার কানাইঘাট
থানাধীন রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামের কিছু নরপশু। সেই কুকর্মের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তৌহিদী জনতার কর্ণকূহরে।
তৌহিদী জনতা এমন অপকর্মের সংবাদ শুনে ঘরে বসে থাকেনি। মসজিদে মসজিদে মাইকিং করার পর তৌহিদী জনতা জড়ো হয় মইনা জামে মসজিদে। সিদ্ধান্তে উপনীত হন তাঁরা গানের আয়োজন পণ্ড করে দিতে।
মইনা গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী জনাব ওলীউর রাহমান, মাওলানা আব্দুল জলিল, মাওলানা শিব্বীর আহমদ, মাওলানা আলীম উদ্দীন, মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা হারুনুর রশীদ ও সুহেল আহমেদ প্রমুখদের অগ্রণী ভূমিকায় তৌহিদী জনতা ঈমানী চেতনা নিয়ে রাত ১১.৩০ মিনিটে মইনা গ্রামের পশ্চিম দিকে গানের আসরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। আল্লাহু আকবার ধবনীতে মুখরিত হয় রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া।
রাত ১২ ১৫ মিনিটে গানের মাঠে তৌহিদী জনতা পৌছার ফলে গানের আয়োজকরা গানের আসর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তৌহিদী জনতা গানের মাঠে বসে ওয়াজ -নসিহত, তেলাওয়াত ইসলামী তারানা, জিকির-আজকার ও জিহাদী ভাষণের মাধ্যমে যুবসমাজকে অনৈসলামিক কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান!
পরিশেষে রাত ৩ ঘটিকায় আল্লাহর জিকির ও হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলামের বিদায়ী দোয়ার মাধ্যমে নিজ নিজ বাসভবনে সকল প্রকার অপকর্মের মোকাবেলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ফিরে আসেন!