আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কুফফার ও তাগুতমিডিয়ার সুত্রে প্রকাশিত হয়েছে যে, আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি দাতব্য হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৯জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরো অনেক। যাদের মধ্যে বিদেশী নাগরিকও আছেন।
এ হলো কুফফার মিডিয়ার সূত্রে পাওয়া সংবাদ। আর যদি সত্য মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হই তাহলে না জানি নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে।
এ হামলার দ্বারা বিশ্বশান্তির ধ্বজাধারী, মানবতার শ্লোগানধারী আমেরিকা, ইউরোপ ও জাতিসংঘের প্রকৃত চেহারা আবার দিগম্বর হলো।
শান্তির নামে, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আমেরিকা একটি দেশে কী পরিমাণ খুন, হত্যা ও অপরাধের রাজ্য কায়েম করতে পারে তার সামান্য নমুনা হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যস্থল হাসপাতালে বোমা হামলা।
নিম্নে আমরা শুধু কুন্দুজ প্রদেশে পশ্চিমা মিডিয়ার আলোকেই তালেবান বনাম আমেরিকার যুদ্ধনীতি তুলে ধরছি।
আমেরিকা আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ করে কী পরিমাণ অপরাধ করে যাচ্ছে, তাতো আজকের ঘটনার বোঝা গেলো। এবার তালেবানের দিকটা দেখি।
গত মঙ্গলবার তালেবান মুজাহিদরা কাকডাকা ভোরে কুন্দুজ প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এরপর আমি বিভিন্ন মিডিয়ায় এজন্য চোখ রেখেছিলাম যে, দেখি শহরটি তালেবানের দখলে যাওয়ার পর স্থানীয় মানুষের অবস্থা কী হয়? সে হিসেবে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকি?
১- তালেবান কি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে মেরেছে?
২- তালেবান কি কোনো নারীর ইজ্জত হরণ করেছে?
৩- তালেবান কি কারো দোকান-পাট বা সম্পদ লুণ্ঠন করেছে?
৪- স্থানীয় বাসিন্দা কি তালেবানের ভয়ে পালিয়েছে?
৫- তারা কি তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করেছে?
কিন্তু আমেরিকা, তার দালাল এবং মুনাফিকদের জন্যে দুঃখজনক সংবাদ হলেও সত্য হচ্ছে, আমি এসব প্রশ্নের কোনোটির উত্তরে ‘হ্যাঁ’ পাই নি। আমাকে গর্বের সাথে ‘না’কেই বেছে নিতে হয়েছে। এমনকি কুফফার-তাগুত-মুনাফিক মিডিয়ার মাধ্যমেই ‘হ্যাঁ’র স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাই নি।
তাহলে আমি কী পেয়েছি?
১- আমি পেয়েছি, তালেবান মুজাহিদদের কাঁধে জড়িয়ে স্থানীয় জনতার সেলফি উঠাতে!
২- আমি পেয়েছি, স্থানীয় জনতারা
তালেবানের পক্ষে মিছিল করতে!
৩- সানন্দে এই মুজাহিদদের বুকে বরণ করতে!
আচ্ছা একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠির প্রতি মানুষের আচরণ কি এমন হয়? যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করে না, মানুষের সম্পদ লুঠ করে না। লোকেরা যাদেরকে বুক পেতে কাছে টেনে নেয়, যাদের কাছে আসলে ইভান রেডলির মতো পশ্চিমা নারী মুসলমান হয়ে যায়, তারা নাকি সন্ত্রাসী? তারা নাকি বিশ্বশান্তির জন্যে হুমকি?
আর যারা হাসপাতালে বোমা বর্ষণ করে, যাদের বিরুদ্ধে সারাবিশ্ব থুথু দেয়, যারা সামান্য স্বার্থের জন্যে একটি দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেয়, তারা নাকি বিশ্বশান্তির ধ্বজাধারী!!
ওয়াহ! ওয়াহ!!!
যেমনিভাবে একজন পুলিশ চোর-ডাকাতদের জন্যে সন্ত্রাস হয়, তেমনিভাবে তালেবান এবং গ্লোবাল মুজাহিদরা হচ্ছেন এই আমেরিকা ও তার দোসর চোর-ডাকাতদের জন্যে সন্ত্রাস!!
হ্যাঁ, হ্যাঁ…. তাই!!
লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক