ওয়ালী উল্লাহ আরমান:
শিয়াদের অন্যতম মৌলিক আকীদা হচ্ছে ‘ইমামত’৷ এর অর্থ, নবীগণ যেভাবে প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত, ইমামদের ব্যাপারেও শিয়াদের এই আকীদাই রাখতে হবে যে, ইমামের নিকট ফেরেশতা অবতরণ করেন৷ ওহি নিয়ে আসেন৷
এই বিশ্বাস খতমে নবুওয়াতের উপর ঈমানের পরিপন্থি৷ যেরুপ, কাদিয়ানীরা তাদের ধর্মীয় নেতাকে নবী নামে অভিহিত করে, শিয়ারা তাকেই বলে ‘ইমাম’৷ (সূত্র: শিয়াদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যাগ্রন্থ উসূলে কাফি, পৃ; ৪৮২-৪৮৪)
তৃতীয় আকীদা;
‘তাকিয়া’ তথা, অন্তরে এক কথা, মুখে আরেক কথা বলা ও প্রতারণা করা৷
মিথ্যা বলাকে পূণ্যের কাজ মনে করা৷
এই নীতিতেই তারা কুরআন পড়ে৷ যদিও তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তা মূল কুরআন নয়৷
তাদের ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে, “যে তাকিয়া করবে না, সে মুমিন নয়৷” সূত্র: পূর্বোক্ত৷
কোনো শিয়া যদি বলে, আমরা কুরআনকে অশুদ্ধ গ্রন্থ বলি না৷ এ বলা হবে, তাকিয়া নীতির অনুসরণেই৷
ইসনা আশারিয়াদের ধর্মীয় নেতা তাবরিসী মুসলমানদের কুরআনে বিকৃতি প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমাদের তাকিয়া নীতি তা বিস্তারিত বলা থেকে বারণ করেছে”৷ (সূত্র: এহতেজাজে তাবরিসী, পৃ ১২৮)৷
শিয়াদের ৪র্থ মৌলিক বিষয় হলো, সম্মতিক্রমে যিনা৷ এটি আকীদা না হলেও আমলটি জীবনে একবার হলেও তাদের করতেই হয়৷ আর একে অবৈধ বলার কোনো সুযোগই নেই, বরং এটি তাদের নিকট পরম পুণ্যের কাজ৷
শিয়াদের কিতাবে একে বলা হয়, ‘মুতায়া’৷ তাদের অনুসৃত ফিকহে জাফরীতেই এই বিধান রয়েছে৷
শিয়া ধর্মমত, অদ্ভুত এক ধর্মবিশ্বাসের নাম৷ কতো পবিত্র ফিকাহ! তাদের আলেম ও মুজতাহিদরা তৈরী করে দিয়েছেন ভাবতেও লজ্জা লাগে৷
যিনা, প্রতারণা ও মিথ্যা বলা পুণ্যের কাজ, অন্য কোনো কাফের সম্প্রদায় এমনকি নাস্তিকরাও বলে না৷ ইসলামের উপর কলঙ্ক লেপনকারী শিয়ারাই বলে৷
সংকলন: হজরতুল আল্লামা মুফতী তাজুল ইসলাম দাঃবাঃ
শায়খুল হাদীস ও প্রধান মুফতী, জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ৷