মুহাম্মদ এ সবুর
এক লোক রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীকে বলল, খোদার কসম! যতক্ষণ তুমি কথা না বলবে ততক্ষণ আমি তোমার সাথে কোন কথা বলব না। এদিকে তার স্ত্রীও ক্ষিপ্ত ছিল। সেও বলল, আল্লাহর কসম! যতক্ষণ তুমি আমার সাথে কোন কথা না বলবে আমিও তোমার সাথে কোন কথা বলব না। রাগ নেমে যাওয়ার পর স্বামী স্ত্রী উভয়েই বিপদে পড়ে গেল। এখন যেই আগে কথা বলবে কসম ভাংগার কারণে তার উপর বিরাট কাফফারা আরোপিত হবে। আর যদি কথা না বলে তাহলে তো আরো বড় বিপদ। সারা জীবন অতিবাহিত করবে কী করে? বেচারা গরিব মানুষ। দ্রুত সমাধান লাভের জন্য যামানার অন্যতম ইমাম সুফিয়ান ছাওরি রহ,এর নিকট মাসআলাটি জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, যেই কথা বলবে তাকেই কাফফারা দিতে হবে। কসম ভাংগার কাফফারা। এছাড়া দ্বিতীয় কোন সুরত নেই।
এরপর লোকটি অসহায় হয়ে ইমাম আযমের নিকট আসল। শেষ চেষ্টা। কোন সহজ রাস্তা বের হয় কি না! ইমাম আযম পুরা ঘটনা শুনে বললেন, যাও তুমি গিয়ে তোমার বিবির সাথে কথা বলো। কারো উপর কোন কাফফারা আসবে না। এ জবাব সুফিয়ান ছাওরির নিকট পৌঁছতেই তিনি বেশ ক্রুদ্ধ হলেন। ইমাম আযমের নিকট এসে বললেন, আপনি তো মানুষকে গলত মাসআলা বলে বেড়াচ্ছেন! ইমাম সাহেব ঐ লোককে ডেকে এনে বললেন, তুমি আবার পুরা ঘটনাটা বলো তো। সে শোনাল।
তখন সুফিয়ান ছাওরিকে ইমাম আযম আবার বললেন, আমি আমার মতের উপর এখনো অটল আছি। সুফিয়ান ছাওরি বললেন, কেন? ইমাম আযম বললেন, দেখুন, যখন স্বামীর কসমের পর স্ত্রী কসম খেয়েছে তখন তো স্ত্রী কথা বলেছে। স্ত্রী যেহেতু স্বামীকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছে তাহলে আর স্বামীর কসম বাকি থাকল কই?
পরম বিস্ময় প্রকাশ করে সুফিয়ান ছাওরি বললেন, যে কথা আপনি সহসাই বুঝে ফেলেন সেদিকে আমাদের চিন্তাই কাজ করে না।