এতো প্রাণপ্রাচুর্যময় অনুষ্টান, এতো উপস্থিতি, এতো ভালোবাসা! একটি বইয়ের সম্মানে গোটা সিলেটের আত্মার ভাষা উচ্চারিত হল আজ। মুসা আল-হাফিজ
সাইফ রাহমান: সিলেট গ্রেটার উপাধীতে ভূষিত হলেন কবি মুসা আল-হাফিজ
কবি মুসা আল হাফিজ। আমাদের ঐতিহ্য। প্রেরণার বাতিঘর। বাংলা সাহিত্য অবদানের মূল উৎস। যা যুগ যুগান্তরে থাকবে। ইতিহাস হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্য। মুখ উঁচু করে কথা বলতে পারবে আমাদের পরবর্তীরা।
ঈভের হৃদের মাছ, মহাকাব্যের কোকিল, মরমী মহারাজ, প্রাচ্যবিদদের দাঁতের দাগ সহ মোট নয়টি বই লিখে বাংলা সাহিত্যে যে অবদান রেখেছেন, ইসলামী ঐতিহ্যের স্লোগান ফুটে তুলেছেন, নির্দ্বিধায় বলা যায় তা একদিন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। কবি’র গবেষণাগ্রন্থ নতুন বই প্রাচ্যবিদদের দাঁতের দাগ’র প্রকাশনা উৎসব ও সাহিত্য পদক অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত হতে পেরেছিলাম। গুণিজনরা আলোচনা করলেন। শুনলাম। ভাবলাম এমন একজন মানুষ আমাদেরও আছে! মনে প্রশ্ন জাগলো। অথচ তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন আমরা করতে পারছিনা
মূল্যায়ন করতেছেন সাবেক বিচারপতি আব্দুর রউফ, কাজী নজরুল দৌহিত্র সুবর্ণ কাজী, কবি ফরহাদ মজহার, অধ্যক্ষ মাসউদ খান সহ দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গরা। কী আশ্চর্য মানুষ আমরা! কাছে পেয়েও বিজয়ের খ্যাত সন্তান কবি মুসা আল হাফিজ’কে চিনতে পারছিনা।
যাহোক! গুণিজনরা/দেশের শীর্ষস্থানীয় কবি-সাহিত্যিকরা আজ সিলেটে এসে কবি মুসা আল হাফিজ’কে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিসরূপ “সিলেট গ্রেটার” পদকে ভূষিত করলেন। আলহামদুলিল্লাহ
হ্যাঁ, এটার সাথে সাথে আমি স্বপ্ন দেখছি, স্বপ্নের জাল বুনন করছি একদিন ‘বাংলাদেশ গ্রেটার’ উপাধীতে ভূষিত হবেন আমাদের হাতিয়ার কবি মুসা আল হাফিজ। সেই প্রতিক্ষায় সেদিন আর বেশী দূরে নয়। ইনশাআল্লাহ ।
মুসা আল হাফিজ আমাদের জাতীয় সম্পদ, তাকে পৃষ্টপোষকতা করতে হবে : সাবেক বিচারপতি আব্দুর রউফ
কমাশিসা রিপোর্ট: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন, পশ্চিমারা বুঝে না বুঝে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। হেকমতের সাথে তাদের নিকট ইসলামের সঠিক আহবান তুলে ধরা আমাদের উচিত। তিনি বলেন, মুসা আল হাফিজ আমাদের জাতীয় সম্পদ, তাই তাকে সার্বিক ভাবে পৃষ্টপোষকতা করতে হবে। তার মেধার যথাযথ মুল্যায়ন করা উচিত। সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেন, পাশ্চাত্যের সিঙহ ভাগ অমুসলিম র্দাশনিকদের ইসলামের প্রতি অহেতুক শ্যেনদৃষ্টি প্রর্দশনের বিষয়টি লেখক তার গ্রন্থে তুলে ধরে আমাদেরকে অনেক গভীর নিযেগেছেন। কবি গবেষক ও কথাশিল্পী মুসা আল হাফিজ এর সদ্যপ্রকাশিত-”প্রাচ্যবিদদের দাঁতের দাগ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্টিত অনুষ্টানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক একেএম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্র রাখেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নাতি কলকাতা থেকে আগত সুবর্ণ কাজী।
মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন, ড. মো: রিজাউল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্রালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.তাহের মানজুর, লে.কর্নেল (অব) এম আতাউর রহমান পীর, কবি কালাম আজাদ, সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। কবি আব্দুল মুকিত অপি ও আবু তালেব মুরাদ ও পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় পবিত্র কোর আন থেকে তেলাওয়াত করেন, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব। কবিতা আবৃত্তি করেন, শরীফ বায়জিদ মাহমুদ। গ্রন্থাকারের পরিচিতি পাঠ করেন নাজমুল আনসারী। অনুষ্টানে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব, পুষ্পকরি সাহিত্য সংঘ সিলেট সহ আরো কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুসা আল হাফিজকে ক্রেষ্ট ও ফুলেল শুভেচ্চা জানানো হয়।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী মুহাম্মদ বশির উদ্দীন, লে.কর্নেল (অব) সৈয়দ আলী আহমদ, গল্পকার সেলিম আউয়াল,কবি বাসিত ইবনে হাবিব, মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী, মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির, শাহিদ হাতিমী প্রমুখ।
সুর্বণ কাজী তার বক্তব্যে বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তার শেষ আহবান ছিলো ’মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই’। তিনি বলেন, আমি কলকাতায় হিন্দুদের নিকট মহানবী (সা) এর সঠিক আর্দশ মাঝে মধ্যে তুলে ধরি, তখন তারা আনন্দিত হয়।
সুত্র: সিলেট রিপোর্ট