এসব কিসের আলামত !! দেশটি কি কুফুরী মতবাদের শিকার ?
রশীদ আহমদ : শান্তির ধর্ম ইসলামের বিধান অনুযায়ী নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢাকা ফরজ। নারীর পর্দা সম্পর্কে যেখানে রাসুল (সাঃ) বলেছেন,আল্লাহ তা’য়ালার অভিশাপ ঐ সমস্ত নারীদের উপর যারা কাপড় পড়েও উলঙ্গ থাকে।
এছাড়াও কুরআন-সুন্নাহর অনেক জায়গায় পর্দা এবং সুন্নাতী পোষাকের ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে।সেখানে কেমন করে IUBAT ভার্সিটিতে ছাত্রদেরকে সুন্নাতী পোষাক আর ছাত্রীদের কে ফরজ পর্দা রক্ষার জন্য বোরকা এবং নেকাব পরার অপরাধে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিচ্ছেন না।ইতিপূর্বে একই ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত “ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড এগ্রিকালচার টেকনোলজি” (IUBAT) এর ভিসি এম,আলিমুল্লাহ মিয়ান কর্তৃক উক্ত প্রতিষ্ঠানে ইসলামী পোষাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন।ছেলেদের দাঁড়ি,টুপি আর পায়জামা-পান্জাবী এবং মেয়েদের বোরকা-নিকাব ওয়ালা কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
আমার প্রশ্ন হলো বিশ্বের বিভিন্ন অমুসলিম দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপকরা যেখানে ইসলামের সুমহান বাণী (কুরআন) ও রাসুল (সা.) হাদীস চর্চা করে দিন দিন ইসলামের পতাকা তলে সমবেত হচ্ছে।সেখানে কি করে একটি মুসলিম দেশের একজন ভিসি/প্রভাষক ইসলামী পোষাক পরাকে নিষিদ্ধ করতে চায়। একটি মুসলিম দেশের কলেজ,ভার্সিটির ছাত্র/ছাত্রীরা যদি স্বাধীন ভাবে ইসলামী ও ফরজকৃত পোষাক না পড়তে পারে,তাহলে তারা কিসের আশায় দেশকে ভালবাসবে।কিভাবে তারা একজন ভিসি/ শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে ? কিভাবে ছাত্রসমাজ তাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে ?
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই সব ঘটনা আমাদের দেশে অহরহ ঘটলেও দেশের সোস্যাল মিডিয়ার কর্ণধাররা এখনও নিরবতা ভুমিকা পালন করছেন কেন ? আপনাদের কি হক্ব কথা বলার সাহস নাই ? প্লীজ লিখুন আর শ্লোগান তোলুন। গর্জে উঠো তাওহিদী জনতা।আওয়াজ তুলো সুন্নাতী পোষাক আর পর্দার পক্ষে। রুখে দাড়াও ঐ নির্লজ্জ,বেহায়া,বেয়াদব ভিসি আর প্রভাষকদের বিরুদ্ধে।
লেখক : কমাশিসা নিউিইয়র্ক প্রতিনিধি