কমাশিসা ডেস্ক :: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাংক ‘ছলনা করে’ তাঁকে ঋণখেলাপি সাব্যস্ত করেছে। এর মাধ্যমে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন। আজ সোমবার বিকেলে মতিঝিলে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কাদের সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যেদিন আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি, তার পরদিন পর্যন্ত ব্যাংকের কাগজপত্রে ঋণখেলাপি নই। কিন্তু এরপরও অগ্রণী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখা ঋণখেলাপি বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি চিঠি দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে সে চিঠি দেয়। এভাবে আমার ও আমার স্ত্রীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত।
প্রার্থিতা বাতিল হবে, তা জেনেশুনেই কি দল থেকে চারজনের মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু হতে পারে, আমাদের মনে সন্দেহ ছিল। এ জন্য চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। সাবধানতা অবলম্বন করেই চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।’ তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমেও যদি তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিল হয়, তারপরও তাঁর দল (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) নির্বাচনে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।