সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক মো. আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
পলাতক কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়।
কামরুলকে সৌদি আরব থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে কামরুলকে বহন করা ফ্লাইটটি বেলা তিনটার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল চারটার দিকে কামরুলকে নিয়ে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। সিলেটে নেওয়ার পর তাঁকে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে রাখা হয়।
গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত। তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়েন একজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে যান। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁকে ধরে পুলিশে দেন।
দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের সহায়তায় কামরুলকে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আনা হয়।
কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত সোমবার পুলিশের তিন কর্মকর্তা সৌদি আরবে যান। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পুলিশের সদস্যদের হাতে কামরুলকে তুলে দেন সৌদি পুলিশের সদস্যরা।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে গতকাল এই হত্যা মামলায় আরও ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।
রাজন হত্যা মামলায় কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ।
এ মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হলে বিচারকাজ শুরু হয়।
সূত্র : প্রথম আলো