দ্বীনের উপর (ইস্তেকামত) অটল থাকার উজ্জল দৃষ্টান্ত হলেন উলামায়ে দেওবন্দ– ১৯২১ সালের কথা, হাকীম আজমল খানের বাড়ী থেকে মাহমুদ হাসান দেওবন্দীর ( রাহঃ) লাশ আনা হলো দেওবন্দে, গোসলের জন্য লাশ রাখা হলো চৌকিতে, কোমর থেকে কাপড় সরানো হলো, দেখা গেলো কোমরে কতগুলো হাড় ছাড়া আর কিছুই নেই, কোন গোশত নেই (মনে হয় যেন গোশ্তগুলো পুরিয়ে পুরিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছে , সরাসরি চামড়ার নিচে ই শুধুহাড় দেখা যাচ্ছে)। উপস্থিত সবাই এ দৃশ্যে ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো। হোসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ কলকাতা থেকে যখন পৌঁছলেন, জনতা বললো, হযরত! শাইখুল হিন্দের কোমরে কেবলই কতোগুলো হাড় ছিলো, কোনো গোশত ছিলোনা! শুনে মাওলানা মাদানী রাহঃ কেঁদে উঠলেন। বললেন, শাইখুল হিন্দ রাহঃ আমাকে এই তথ্য প্রকাশ করতে বারণ করেছিলেন। মাল্টার জেলে ইংরেজরা আমার উস্তাদকে একটি পাতাল কক্ষে নিয়ে যেতো, ওখানে লোহার গরম শলাকা দ্বারা তার কোমরে ছ্যাকা দিতো আর বলতো, ইংরেজদের পক্ষে ফতোয়া দাও; তাহলে আমরা তোমাকে ছেড়ে দেবো! এই নির্যাতনের পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন, তারপর জ্ঞান ফিরে এলে বলতেন, ইংরেজ আমার দেহটাকে গলিয়ে ফেলতে পারে, কিন্তু আমি হযরত বিলালের উত্তরসূরী! তোমরা আমার গায়ের চামড়া ছিলে ফেলতে পারো, আমি তোমাদের পক্ষে ফতোয়া দেবোনা!! আল্লাহু আকবার!! আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তাদেরই সন্তান।