মুফতি মুহাম্মদ তক্বী উসমানী (দা.বা.) ::
অনূদিত চম্বুকাংশ-১
মৃত্যু নিশ্চিত; এতে কোনো সংশয়-সন্দেহ নেই। মৃত্যুর ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কারো দ্বিমত নেই। মৃত্যুর পাকড়াওকে কেউ অস্বীকার করে নি। অস্বীকারকারীরা আল্লাহর অস্তিত্ব ও নবী-রাসুলদের অস্বীকার করেছে, কিন্তু মৃত্যুকে না। সবাই একথা স্বীকার করে যে, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে এসেছে; সে নিশ্চিত একদিন মৃত্যুমুখে পতিত হবে। আর এব্যাপারেও সবাই ঐক্যমত যে, মৃত্যুর নির্দিষ্ট কোনো সময় জানা নেই। হতে পারে এখনি মৃত্যু এসে যাবে কিংবা এক মিনিট পর, এক ঘন্ঠা, এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছর পরও আসতে পারে। কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নতি সাধিত হয়ে বিজ্ঞান আজ কোথায় পর্যন্ত পৌঁছেছে; অথচ তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞান একথা বলতে পারে না যে, মানুষ কখন মারা যাবে।
অনূদিত চম্বুকাংশ-২
তাকদীরে বিশ্বাস’ একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। যা আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ঈমানদারকে দিয়েছেন। এই বিশ্বাসকে ভালো করে না বুঝার কারণে মানুষ বিভিন্ন ভুলের সম্মুখিন হয়। এজন্য এখানে দুটি বিষয় বুঝে রাখা দরকার।
১. কোনো পরিস্থিতি আসার পূর্বে ‘তাকদীরের বিশ্বাস’ মানুষকে যেন কর্মহীন না করে। উদাহরণস্বরূপ, এক ব্যক্তি তাকদীরে বিশ্বাসের বাহানা করে হাত গুটিয়ে বসে রইল। বলল, তাকদীরে যা লেখা আছে তা তো হবেই; আমি কিছু করবো না। এই কর্মপন্থা রাসুল (স.) এর শিক্ষার বিপরীত। বরং নির্দেশ হলো, যে অর্জনে যত কর্মকৌশল আছে সব অবলম্বন করো, এতে কোনো ত্রুটি করো না।
২. তাকদীরে বিশ্বাসের মূল আমল শুরু হয় কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার পর। অর্থাৎ, কোনো পরিস্থিতি সামনে এলো, তখন একজন মুমিনের কাজ হলো, সে একথা ভাববে যে- আমার সাধ্যের ভেতর যা কিছু করার আমি তা করেছি; এখন চাহিদাবিরুদ্ধ যে পরিস্থিতি এসেছে, তা আমার তাকদীর; আল্লাহর ফায়সালা। আমার কোনো অসন্তুষ্টি নেই। সুতরাং চিন্তা-পেরেশানী কিংবা মনোকষ্টের কিছু নাই। হায়-হোতাশ করা বা একথা বলা যে, যদি এই করতাম; তাহলে এই হতো, তাকদীরে বিশ্বাসের পরিপন্থী।
.
অনুবাদ : আবু তাহের মিনহাজ