যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে নিয়মিত পেটাতেন তাঁর স্ত্রী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। মার্কিন রাজনৈতিক পরামর্শক রজার স্টোন তাঁর আত্মজীবনী ‘ওয়্যার অন ওম্যান’ বইতে এই কথা লিখেছেন। রজার স্টোন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেস সচিবও ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে বইটি বাজারে এনেছে গ্যারি বুক পাবলিসার্স। বইটিতে স্টোন লিখেছেন, ‘কেবল রিপাবলিকানরা যে তাঁকে ভয় পায় তা কিন্তু নয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টও তাঁর ভয়ে কাঁপতেন।’ নতুন বইয়ে প্রেসিডেন্টের সাবেক প্রেস সচিবের দাবি, হিলারি ও ক্লিনটনের মধ্যে হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে প্রায়ই ক্লিনটনকে মারতেন হিলারি। ক্লিনটনকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন হিলারি- এমন ঘটনাও রয়েছে।
স্টোন অবশ্য জানিয়েছেন, এই ঘটনাগুলো বেশ আগের। ক্লিনটন যখন আরকানসাসের গভর্নর ছিলেন- তখন এসব ব্যাপার প্রায়ই ঘটত বলে দাবি তাঁর। ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও হিলারি মাঝেমধ্যেই তাঁর ওপর চটে যেতেন, শারীরিক আক্রমণও করতেন। স্টোন লিখেছেন, ক্লিনটনের সঙ্গে মনিকার সম্পর্কের ঘটনা নিয়ে যখন সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে তখন নিজের ঘরে বড় বেশি অসুখী ছিলেন ক্লিনটন। ওই সময় প্রথম কোনো শক্ত বস্তু দিয়ে ক্লিনটনকে আক্রমণ করেন হিলারি। এতে তাঁর হাত কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। স্টোনের দাবি, হিলারি শক্ত মনোভাবের একজন মানুষ। স্বামীকে পেটানো ছাড়াও একটু বেচাল হলেই বিভিন্ন মানসিক নির্যাতনও চালাতেন তিনি! এই মার্কিন পরামর্শকের মন্তব্য, ‘শুধু তাই নয়, পররাষ্টমন্ত্রী থাকাকালে তার কর্মচারীদের সন্ত্রাসী মনোভাবের করে ফেলেনে তিনি।’
স্টোনের বইয়ে হিলারি সম্পর্কে লেখা মন্তব্যের ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্লিন্টন এই বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নিজ দলের অন্যদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিলারি। এরই মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। সর্বশেষ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল ব্যক্তিগত সার্ভারে রাখার অভিযোগ রয়েছে হিলারির বিরুদ্ধে। এসব ইমেইলের কিছু কিছু সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।উৎসঃ এনটিভি অনলাইন