কমাশিসা ডেস্ক: বিদেশী স্টুডেন্টদের ভর্তির ক্ষেত্রে আরো কঠিন নীতির মুখে পড়ছে ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইমিগ্রেশন বা নেট মাইগ্র্যান্টের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন যে ভাষণ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিদেশী স্টুডেন্ট ভিসায় আরো কঠোর কড়াকড়ির মাধ্যমে ইউকের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী স্টুডেন্ট ভর্তির কফিনে পেরেক মারতে যাচ্ছে হোম অফিস। এ মন্তব্য করেছেন ইউকে কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের প্রধান ডমেনিকি স্কট। স্টুডেন্ট ভিসায় ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজের উপর আরো বেশি কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে হোম অফিস। আর তা বাস্তবায়িত হলে ইউকেতে বিদেশী স্টুডেন্টের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউকের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীরা দেশের মেধার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখেন। বিদেশী স্টুডেন্টরা বৃটিশ অর্থনীতিতে প্রতি বছর অন্তত ৭ বিলিয়ন পাউন্ড যোগান দেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থা। কিন্তু স্টুডেন্ড ভিসায় হোম অফিসের প্রস্তাবিত কঠোর নিয়মাবলীর কারণে আগামীতে ইউতেকে পড়তে আসা বিদেশী স্টুডেন্টের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইউকে কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স। আগামীতে স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ রিকোয়ারমেন্টসহ অন্যান্য বিষয়ে আরো কঠোর করার প্রস্তাব করেছে হোম অফিস। এর মাধ্যমে মূলত সরকার ইউকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশী স্টুডেন্ট ভর্তির কফিনে শেষ পেরেক মারার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন দ্যা ইউকে কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের প্রধান ডমিনিক স্কট। ইমিগ্রেশন নীতি কঠোর করতে গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই বক্তব্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই স্টুডেন্ট ভিসায় আরো কঠোর নীতি আনার প্রস্তাব করেছে হোম অফিসফ।
বিদেশী স্টুডেন্টদের মাইগ্রেশনের লক্ষ্য থেকে দূরে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতোমধ্যে মন্ত্রীদের সঙ্গে লবিং শুরু করেছে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে নতুন এবং কঠোর ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত নীতি কার্যকরি হলে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বছরে অন্তত ১৫ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ডমিনিক স্কট। সরকারের প্রস্তাবিত ল্যাঙ্গুয়েজ রিকোয়ারমেন্ট খুব কঠিন বলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন বলেও জানান তিনি। একটি কনসালটান্সি রিপোর্টে দেখা গেছে, বিদেশী স্টুডেন্টদের জন্য বর্তমান কঠোর নীতির কারণে অতিরিক্ত প্রায় ৮০ হাজার চাকুরীর সুযোগ নষ্ট হয়েছে ইউকেতে।
সুত্র: অনলাইন পত্রিকা