কুতায়বা আহসান:
জাযিরাতুল আরব থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে ইহুদি জাতিকে। এদের অপরাধের কোনো সীমা নেই। ইসলামের শুরু থেকেই তাদের শত্রুতা। এই পাপিষ্ট জাতি প্রিয় নবী সা.কে তাদের কেল্লায় দাওয়াত দিয়ে উপর থেকে পাথর ছুড়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে। খাবারে বিঁষ মিশিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। বার বার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ইসলামের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়েছে। বদর যুদ্ধে মক্কার কুরায়েশদের করুণ পরিণতিতে কুরাইশরা যে টুকু না মর্মাহত হয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশী মর্মাহত হয়েছে ইহুদিরা। বদরের পরিণতির পর কাব বিন আশরাফের মতো কুখ্যাত ইহুদি কবি অহর্ণিশ উস্কিয়ে গেছে কুরাইশদের। এরই পরিণতিতে সংঘটিত হয় উহুদ যুদ্ধ। খন্দকের যুদ্ধের সময়ও তারা ওয়াদাভঙ্গ করেছে। পরিণতিতে তাদেরকে প্রথমে মদীনা থেকে বিতাড়িত করা হয়। তারা আস্তানা গাড়ে খায়বারে। কিন্তু অভ্যাস তাদের পাল্টায়নি এতোটুকুন। ইসলামের ক্ষতিসাধনে তারা একটি মুহুর্তও বাদ দেয়নি। শেষ পর্যন্ত খলিফায়ে সানী হযরত উমর রাযি. তাদেরকে জাযিরাতুল আরব থেকেই উচ্ছেদ করে দেন।
কিন্তু তারপরও ইয়েমেনের সানায় থেকে যায় বনেদী ও শিক্ষা দীক্ষায় অগ্রসর ক’টা পরিবার। এমনিতেই জাতি হিসেবে ইহুদিরা হয়ে থাকে শিক্ষিত। বলা হয়ে থাকে ছোট্ট এই জাতির উপর ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে যে সব দুর্যোগ এসেছিল এতে অনেক আগেই এরা ধরা পৃষ্ট থেকে বিলীন হবার কথা। কিন্তু তিনটি বস্তু এদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে সকল দুর্যোগের পরও। তিনটি বস্তুর একটি হচ্ছে শিক্ষা, দ্বিতীয়টি অর্থনৈতিক শক্তি, (সুদের মাধ্যমে) তৃতীয়টি হচ্ছে প্রবল জাত্যানুভূতি। সানার এই ইহুদি পরিবারগুলোর ছিল আলাদা বৈশিষ্ট। পুরো ইহুদি জগৎ এদেরকে সম্ভ্রমের চোখে দেখতো। সেই পরিবারগুলোর একটি পরিবারের এক যুবক, নাম ছিল আব্দুল্লাহ। অত্যন্ত ধীমান এ যুবকটি তার যৌবনের শুরুতেই নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছিল তার জাতির জন্য। সমবয়সী ছেলেরা যখন খেলাধুলা আর শিকার নিয়ে ব্যস্ত থাকতো তখন ঐ যুবকটি তাদের উপাসনালয়ের লাইব্রেরিতে বুঁদ হয়ে থাকতো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই নিয়ে।
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কমাশিসা সম্পাদক বা কমাশিসা পরিবারের নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল/অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কমাশিসা কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এটা একান্তুই লেখকের নিজস্ব ব্যাপার।