শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ২:৪০
Home / দেশ-বিদেশ / মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী পাঠানো : জেনেশুনে বিষপান

মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী পাঠানো : জেনেশুনে বিষপান

জি. মুনীর :

খুকুমণি। নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর ঘরে ছিলেন আড়াই বছর। এরপর পান তালাক। খুকুমণি এরপর এক সময় গৃহকর্মীর চাকরি নিয়ে চলে যান ওমানে। চোখে ছিল নতুন সুখের স্বপ্ন। হ্যাঁ, মাসে ২০ হাজার টাকার বেতন নিশ্চয় তার অনিশ্চিত জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারত এক অনাবিল সুখ। কিন্তু সে সুখের কপাল যে খুকুমণির নেই। ওমানে যাওয়ার মাত্র দু-মাসের মধেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হলো কফিনে বন্দী লাশ হয়ে।
এখন তার ৬০ বছর বয়েসী মা মরিয়ম বেগম দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন, তার মেয়ের প্রতি এই অন্যায় অবিচারের প্রতিকার চেয়ে। খুকুর রেখে যাওয়া তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে মরিয়ম বেগম এখন দিশেহারা। তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে নতুন জীবনের আশায় ওমান গিয়ে সেখানে শিকার হন অধিকতর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, তাকে শিকার হতে হলো গৃহস্বামীর যৌন নির্যাতনের।
বিয়ে বিচ্ছেদের পর ২০১৪ সালের প্রথম দিকে ২৭ বছর বয়েসী খুকু কাজ করতেন গজারিয়ার একটি কারখানায়। তখন এক আত্মীয় তাকে আরব দেশে চাকরি নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন, যেখানে মাসে বেতন মিলবে ২০ হাজার টাকা করে। তার দূরসম্পর্কিত আত্মীয় আবদুল কাদের কাজ করেন ওমানে। তিনি ফকিরেরপুলের একটি এজেন্সির মাধ্যমে তাকে ওমান যাওয়ার কাগজপত্র করে দেন। আবদুল কাদের খুকুকে নিশ্চিত করেছিলেন, গৃহস্বামী খুব ভালো লোক। অথচ তা ভুল প্রমাণিত হলো খুকুর ওমানের রাজধানী মাস্কাট পৌঁছার দু-এক দিন পরই। গত বছর ২৭ নভেম্বর তার গৃহস্বামী গভীর রাতে তাকে ধর্ষণ করেছে। খুকু তার মা মরিয়ম বেগমকে ফোন করে একথা জানান। এ ব্যাপারে খুকু গৃহকর্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এ অভিযোগ করলে গৃহকর্ত্রী উল্টো তাকে মারধর করেন। খুকুকে সেখানে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। শুধু তাই নয়, কিছু দূরে থাকা দুই আত্মীয়ের বাসায়ও কাজ করার জন্য তাকে পাঠানো হতো।
খুকুর মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে তাকে ফোন করে বলত, তাকে প্রায়ই মারধর করা হতো; তাই তাকে যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যখন তার লাশ বাংলাদেশে এলো, তখন পুলিশের দেয়া ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল, সে ২৫ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লিখিত তথ্য মতে, গৃহকর্তা খালফান খামিস এই লাশ বাংলাদেশে পাঠান। কিন্তু খুকুর মা মরিয়ম বেগমের সুদৃঢ় উচ্চারণ- আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি তা বিশ্বাস করি না।’ তিনি জানান, খুকু যখন তার সাথে টেলিফোনে কথা বলতেন, তখন তার কথাবার্তায় এমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
খুকুর জীবনের এ মর্মান্তিক জীবনকাহিনী গত ২৮ জানুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। খুকুর মা মরিয়ম বেগম এই পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, তিনি এখন পর্যন্ত এ ঘটনার ব্যাপারে কোনো মামলা দায়ের করতে পারেননি। তিনি মেয়ের ময়নাতদন্ত রিপোর্টও পাননি। মতিঝিল থানা তার কাছে খুকুর সাথে নেয়া ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট চেয়েছে। খুকুর মা এ ব্যাপারে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবেন, সে ব্যাপারে সন্দেহ পোষণের যথেষ্ট অবকাশ আছে, যদি না সরকারের তরফ থেকে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়। সরকার পক্ষ তেমনটি করবে, সে ব্যাপারেও সংশয় প্রবল।
গত ২৪ জানুয়ারি আরেকটি জাতীয় দৈনিকের খবরে জানা যায় গাজীপুরের কাপাসিয়ার মালেকের স্ত্রী হনুফা বেগমের (প্রকৃত নাম নয়) কথা। তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই সংসারের হাল ধরতে হয় স্ত্রী হনুফাকেই। তিন ছেলে আর দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে যান। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, অমানুষিক পরিশ্রম আর নির্যাতন প্রতিদিন অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। দিনে ১৫ ঘণ্টা কাজ শেষে রাতে বিশ্রামের সুযোগ নেই। চলে পাশবিক নির্যাতনও। চার মাস বেতন পেলেও এক বছর ধরে তাও বন্ধ। দেশে ফেরত আসার জন্য প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ফোন করাও। প্রবাসে নির্যাতনের শিকার এই বোনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার ছোট বোন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বোনের আকুতি- ‘জামাইডা পাগল, শিকলে বাইন্দা রাখতে হয়, বড় পোলাডাও প্রতিবন্ধী। আট মাসের ছোট বাচ্চা রাইখ্যা বোন গেছে বিদেশে, বোনের বাচ্চাগো মুখের কিছু খাওয়ার জোগাড়ের লাইগ্যা। আজ সেই বোনের ওপর বিদেশে নির্যাতন হইতেছে। দুই সপ্তাহ ধরে বোনের খোঁজ নাই। দয়া কইরা আমার বোনডারে একটু ফিরাইয়া আইন্না দেন।’
একই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে এমনি আরো কয়েকজন বাঙালি নারী গৃহকর্মীর ওপর প্রায় একই ধাঁচের নানামাত্রিক করুণ নির্যাতনের কাহিনী। এর মধ্যে আছেন নারায়ণগঞ্জের ভাগ্যহত এক নারী, যিনি সাত মাস আগে গৃহকর্মীর ভিসায় বিদেশে গেলেও তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। সেখানে তার ওপর চলে রাতদিন নির্যাতন। সে নির্যাতন সইতে না পেরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে অন্যস্থানে আশ্রয় নেন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক নারী সাত মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবের রিয়াদে। বেতন ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হলেও সেখানে যাওয়ার পর বেতন পাওয়া তো দূরের কথা, ঠিকমতো খাবারই দেয়া হতো না। দিনভর ঘরের কাজ করানোর পর রাতে চলতো পাশবিক নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে এখন তার ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের শেল্টার হোমে। আড়াই মাস ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন।
আমরা মাঝে মধ্যেই গণমাধ্যম সূত্রে সরকারি দলের নেতানেত্রীদের গদগদ ভাষায় গর্বের সাথে বলতে শুনিÑ আমরা এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের এসব নারী বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন। তারা বলেন, সরকারের নারী-উন্নয়ন নীতিমালার কারণেই এমনটি সম্ভব হচ্ছে। আমাদের নারীরা এখন সব খাতে পুরুষের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে নানাবিধ কর্মে নিয়োজিত হচ্ছেন।
আসলে খুকু বা হনুফা কিংবা ভিন্ন কোনো নামের নারী গৃহকর্মীদের মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠানোর নামে আমরা কার্যত জেনেশুনে তাদের বিষপানের পথটাকেই উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আমরা তাদের সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছি, কিংবা পাঠাতে উৎসাহিত করছি। আর এই কাজটিকে সরকারপক্ষ তাদের সাফল্যের এক বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে। সুযোগ পেলেই বিষয়টিকে সাফল্যের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরছে। কিন্তু আসলে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে কিংবা আরো ভালো থাকার আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে। নানা ধরনের নির্যাতনসহ যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের এসব নারী গৃহশ্রমিক। এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে শুধু ২০১৬ সালেই দেশে ফিরে এসেছেন ৫০০ নারীকর্মী। কতজন আটকা পড়ে আছেন আমাদের জানার বাইরে, তার হিসাব নেই। তারা মূলত বাসাবাড়িতে কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে। পত্রপত্রিকার খবর মতে, সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের শেল্টার হোমে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের ৩৫০ জন নারীকর্মী। নির্যাতনের শিকার এসব নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলা হচ্ছে। শুধু সৌদি আরবেই নয়, এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমই) সূত্র মতে, নারীকর্মী পাঠানোর ব্যাপারে আমাদের দেশের বড় কয়েকটি বাজার হচ্ছে- আরব আমিরাত, জর্দান, সৌদি আরব, ওমান, লেবানন ও কাতার। তবে চলতি বছরে এ বাজারগুলোর মধ্যে শুধু সৌদি আরবে নারীকর্মী যাওয়ার হার বেড়েছে। অন্য দিকে, কয়েক মাসে জর্দান, ওমান, লেবানন ও কাতারে নারীকর্মী যাওয়ার হার কমে গেছে। জানা গেছে, গত এক বছরে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী গেছেন ৬৪ হাজার ২৮৬ জন, জর্দানে গেছেন ২২ হাজার ৬৮৯ জন, ওমানে ১২ হাজার ৮৯৭ জন, কাতারে ৫ হাজার ৩৮৫ জন এবং আরব আমিরাতে গেছেন ৫ হাজার ১৫১ জন। আর ১৯৯১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিদেশে নারীকর্মী পাঠানো হয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫ জন।
বিদেশে নারীকর্মী পাঠানের এসব তথ্য পরিসংখ্যান দেখে আমাদের স্বস্তি বাড়ে বৈকি। কারণ, আমরা ধরেই নিয়েছি এরা কাঁড়ি কাঁড়ি বিদেশী মুদ্রা আমাদের জন্য উপার্জন করে দেশে পাঠাচ্ছে। কিন্তু বিদেশে গিয়ে এসব নারীকর্মী কী অবস্থায় আছে, তার খোঁজ আমরা কতটুকু রাখি? গণমাধ্যমের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদ আর জেদ্দার কোনো না কোনো এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই প্রবাসী বাংলাদেশী নারীকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদের অনেকেই পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা শেল্টার হোমে আশ্রয় নিচ্ছেন। সৌদি দূতাবাস সূত্র মতে- শুধু ২০১৬ সালেই ৫০০ নারী গৃহকর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরা সবাই যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার। নির্যাতিত ৩০০ নারী শেল্টার হোমে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসলে এসব নির্যাতিত নারীকর্মীর সংখ্যা প্রকাশিত তথ্যপরিসংখ্যানের তুলনায় অনেক বেশি বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন। বিদেশে যাওয়া নারী শ্রমিকদের অনেকেই কোরিয়া-বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ শেষে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে কাজের অভিজ্ঞতা তাদের আছে। তারা জানিয়েছেন, সেখানে তাদেরকে গৃহস্থালি কাজের জন্য দীর্ঘসময় ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়া ঠিকমতো খাবারও দেয়া হয় না। দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন নিয়ে যেসব বাংলাদেশী নারীকর্মী মধ্যপ্রাচ্যে যান, তাদের বেশির ভাগকেই গৃহস্থালির কাজ করতে হয়। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- অভাবগ্রস্ত, নিপীড়িত, অশিক্ষিত, আধা শিক্ষিত নারীকর্মীরা বিদেশে গিয়ে নতুন করে আবার নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অথচ ভালো আচরণ ও মুসলমান হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মীদের ব্যাপক চাহিদা।
নারী শ্রমিকদের ওপর উল্লিখিত নির্যাতন চালানোর কারণে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে উল্লেখ করতে হয়- আমরা মুসলমানেরা যারা মা বোনদের ইজ্জত ও সম্ভ্রম রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি, যৌন উন্মাদনা ও নিপীড়নকে সবচেয়ে ঘৃণার চোখে দেখি, তারা সামান্য কিছু বিদেশী মুদ্রা অর্জনের লোভ সামলাতে না পেরে আমাদের মা-বোনদের নিপীড়কদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমাদের হাতে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে, আমাদের নারী শ্রমিকেরা কয়েকটি দেশে যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো আমরা নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করছি না।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...