বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:০৮
Home / অনুসন্ধান / ক্ষমা করো বেফাক; তোমার উপর জাতি আর ভরসা রাখতে পারছেনা!

ক্ষমা করো বেফাক; তোমার উপর জাতি আর ভরসা রাখতে পারছেনা!

brken-hartকমাশিসা অনুসন্ধান রিপোর্ট: আমরা দিনেরপর দিন বেফাকের অভ্যন্তরীন অনিয়ম দুর্নীতির খবর পাচ্ছি আর অবাক হচ্ছি। এদেশের হাজার হাজার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সরল বিশ্বাসে পকেট উজাড় করে বেফাককে লালন করেছেন। বুকে আশা বেঁধেছিলেন যে অন্ততঃ এই একটি প্লাটফর্ম আমাদের সমালোচনার উর্দ্ধে থাকুক। দলমত নির্বিশেষে উম্মাহর কল্যাণে কাজ করে যাক। সদস্য ফী পরীক্ষা ফী সনদ ফী সহ কিসিস কিসিম ফী দিয়ে বেফাককে তারা টইটুম্বুর করে তুলেন। অব্যবস্থাপনার কারণে বস্তির মতো হলেও নিজস্ব অফিস হয়েছে ঢাকায়।নিম্নমানের বই ছাপিয়ে কাড়ি কাড়ি আয় করছেন। সবাই মুখ বুজে মেনে নিয়েছেন যে ঠিক আছে আস্তে আস্তে উন্নত হবে। সরল ও নরম এই বিশ্বাসের কি মর্যাদা দিয়েছে বর্তমান মেনেজমেন্ট? মহাসচিব হলেন মাতা ও পিতা উভয় পদের মালিক। আমরা জানি ইবলিছ শয়তান নারী পুরুষ উভয়টির এক্টিং একাই করে। তার প্রজনন হয় নিজ উরুদ্বয়ের মিলনে।কিন্তু বেফাকতো আল্লামা ও ওলী আল্লাহ গৌস কুতুবগণ পরিচালনা করেন বলে সুর আছে। আসলে তা কতটুকু সত্য? আমাদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে ভয়াবহ খবর। একটা বোর্ডকে নিজের আজ্ঞাবহ করে পংগু করে রাখতে যা যা করণীয় সবই সেরে ফেলেছেন আল্লামা জাহানাবাদী।

যখন যেখানে যে বুলির দরাকার সেই বুলি তিনি সেখানে আওড়ান। ভুল কি শু্দ্ধ তার কোন বালাই নেই। এখন তিনি নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে যত কৌশল দরকার সবই প্রয়োগ করছেন। দেখা যায় বেফাকের নিয়মতি বৈঠকে পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপুর্ণ সদস্য, যারা তিনির আজ্ঞাবহ তাদের বেছে বেছে দাওয়াত দেন। মজলিসে আমেলার গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিত্ব আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী মুফতি মনসুরুল হ্ক সহ এমন অনেক আছেন যাদের নিয়মিত মিটিংগে দাওয়াত না দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনুপস্থিতি রেখে ক্রমান্বয়ে সাইজ করে করে একদিন স্থায়ীভাবে অফিসিয়ালি বিদায় জানিয়ে দেন। এভাবে ছলচাতুরির মাধ্যমে অভিজ্ঞ উলামাদের তিনি বিদায় করে দিচ্ছেন।

যারা হক্ব কথা বলেন মহাসচিবের ভুল ধরেন বা তিনির ধুর্তামি ধরে ফেলেন তাদের উপর তিনি নিয়মতান্ত্রিক খড়গ ঢালেন! সর্বশেষ নিয়োগ বাণিজ্যে দেখা যায় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকে ডেকে এনে সেই দলের অযোগ্য লোকদের বেছে বেছে নিয়োগ দিয়ে আরেক কালো অধ্যায় রচনা করলেন। এভাবে বেফাক এখন তলফিবাহকদের আড্ডাখানায় রূপান্তরীত হযেগেছে। দেশব্যাপী সদস্যদের ফী আর নিম্নমানের বইর বাজার দিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার দিন এখন ফুরিয়ে এসেছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় ক্রমাগত সিরিয়াল দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। এখন তিনি পুরোপুরি রাজনীতি নির্ভর হয়ে পড়েছেন, আশ্রয় নিতে চাইছেন কথিত দলের বগল তলে আপন গদি টিকিয়ে রাখতে। এমনি করে একজন ব্যক্তির খেয়াল খুশিতে জাতীয় একটি বোর্ড বিনাশ হয়ে যাওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

আমরা আমাদের সম্মানিত মাদারিস কর্তৃপক্ষ বরাবরে বিনীত নিবেদন করবো যে দয়া করে বেফাকের এইসমস্ত অনিয়মের খবর নিন। ফীস দেয়া বন্ধ করুন। নিম্নমানের বই কেনা বাতিল করুন। যথাযথ স্বচ্ছতা অবলম্ব না করা পর্যন্ত কোন আর্থিক লেনদেন করবেন না। মনে রাখবেন ওরা আপনার উপর নির্ভরশীল আপনি তাদের উপর নয়। আপনার শানিত উদ্যোগ একটি ডুবন্ত জাহাজ কিনারা লাগা নির্ভর করছে। আসুন সকলে মিলে বেফাককে কলূষ মুক্ত করে আবার জাগিয়ে তুলি, সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...