শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৯:৩২
Home / অনুসন্ধান / সংস্কার, স্বীকৃতি এবং কমাশিসা, ত্রৈমাত্রিক ঐকান্তিকতাই পারে পথ দেখাতে

সংস্কার, স্বীকৃতি এবং কমাশিসা, ত্রৈমাত্রিক ঐকান্তিকতাই পারে পথ দেখাতে

রশীদ জামীল:

Rashid Jamil_Komashishaপ্রশ্ন অনেক। সংশয়ও বলা যায়। কেউ বলেন দরকার ছিল। কেউ বলেন বকওয়াস। কেউ ভাবেন কাজ হবে কেউ এখতিয়ার করেন খান্দানি ভাষা। ফেইসবুকে কমাশিসা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক লেখায় কেউ কেউ আমাকে ম্যানশন করে অবস্থান বা মতামত জানতে চান। কমাশিসার বিভিন্ন প্রকাশনার কোনায়-কানায় আমার নাম থাকে বলে অনেকেই ইনবক্সে নক করেন; ‘কমাশিসার সাথে কি আপনি আছেন’? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমার জবাব হয় ভাববাচ্যে। প্রশ্নকারী নিশ্চিত হতে পারেন না আমি কি আছি নাকি নেই! খোলাসা করে দেয়া দরকার।

স্পৃহা

ছোট ছিলাম যখন, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে ‘জ্বারাবা যায়দুন আমরান’ পড়তাম আর ‘আমর’ ছেলেটার জন্য দু:খ করতাম! আহা বেচারা! জন্মের পর থেকেই মার খাচ্ছে।

একটু বড় হলাম। একটু বুঝতে শিখলাম। তখন মনেহল, ‘আমর’ ছেলেটাকে মাফ করলেও করা যেতো। ‘তারকীব’ই তো শেখানো হবে। তাহলে ‘ক্বালাল্লাহ’ বললেও হতো। ‘ক্বালা’ ফেইল, ‘আল্লাহ’ ফাইল। ফেইল ফাইল মিলে যা হওয়া দরকার, তাতো হতই। উদাহরণের তো অভাব ছিল না কোরআনে!

কিন্তু মুখ খোলার সাহস করতে পারতাম না ফারসি ভয়ে।
– বেয়াদব মাহরুম গশত আজ ফজলে খোদা!
– খাতায়ে বুযুরগা গিরিফতন খাতা’আস্ত!
– ইলমেরা হরগিজ না-ইয়াবি তানা ইয়াবি শশ খেসাল!

ভাবতাম, থাক। ‘বেয়াদব’ ছাড়াও এই জগতে নামের সাথে ঝোটানোর মতো অনেক খেতাব আছে। কী দরকার!

যেভাবে শুরু

ঊনিশ’শ ছিয়ানব্বই। মাদরাসা শিক্ষায় ট্রেডিশনাল টাইমলাইন শেষ হয়েছে। ফারসির ভয়ও কাটিয়ে ওঠেছি কিছুটা। নি:স্বাসের মগ্নতলার পরিধি বেড়েছে। এখন হারিয়ে যাওয়া যায়। ইচ্ছে হলেই ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। জমাটবাধা ক্ষোভ আর স্বপ্নকে ছুঁতে না পারার গলিত কষ্টকে কালিত করে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বরূপ প্রকৃতি ও প্রয়োগ রীতি’ শিরোনামে লম্ভা-চওড়া আর্টিক্যাল লিখে ফেললাম একটা। তারপর কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে টুকটাক লিখেছি অনেক। প্রশংসা পেয়েছি। তিরোস্কার পেয়েছি। গালিও মাশাল্লাহ কম খাইনি!

আমরা যখন কওমি মাদরাসার বর্তমান-ভবিষ্যত নিয়ে কান্নাকাটি টাইপের লেখালেখি করছিলাম আর গালমন্দ কুড়াচ্ছিলাম, আজ যারা ফেইসবুকে ‘স্বকীয়তা স্বকীয়তা’ বলে দমাদম মাস্ত কলন্দর, তাদের অনেকের জন্মই হয়নি তখন। যাদের হয়েছিল, তারা তখনো হাতের উলটা পিঠ দিয়ে নাকের সর্দি মোছার বয়সে। অবশ্য যারা তাদের চিন্তার পরিধিকে মোহহীন করতে পেরেছিলেন, পাশে ছিলেন তাঁরা। তখনো ছিলেন, এখনো আছেন।
সুতরাং কথা বলুন। প্রতিবাদ করুন।
সুন্দর ভাষায় বলুন।

কমাশিসার জন্ম

দু’হাজার আট। আমার দ্বিতীয় বই ‘নষ্ট রাজনীতি’ প্রকাশিত হল। বইটির সুবাধে বসা হল তাজুল ভাই’র সাথে। তিনি বললেন, ”অনেক দিন থেকে আমি অন্তঃদহনে পুড়ছি। কওমি নুন খেয়ে বড় হয়েছি। নুনের হক্ব আদায় করা দরকার। সামনে অনেক কঠিন দিন আসবে। তখন যদি আমাদের এই আঙিনা সময়ের সাথে পাল্লা দিতে না পারে, তাহলে অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে পারে। আপনি তো এ নিয়ে লেখালেখি করছেন। চলুন কিছু করি”।
– বললাম, কী করতে চান?
– একটা কিছু। এমন কিছু যে, মূল ঠিক থাকবে আবার সময়ের সাথেও চলা যাবে।

ইন্টারনাল ভাবনার আদান-প্রদান চলল দুই বছর। দু’হাজার দশ সালে এসে তৈরি হল একটা কিছু। সেই কিছু একটার নাম ঠিক করা হল, ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন, (কমাশিসা)।

কমাশিসা কী?

এখানে দু’টি ব্যাপার ক্লিয়ার করে দেয়া দরকার। ব্যাপার দু’টির স্বাতন্ত্রিকতা সম্বন্ধে পরিচ্ছন্ন ধারণা না দেয়া বা না থাকায় অনেকেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। খান্দানি ভাষা প্রয়োগের জৌলোস দেখান!

প্রথম কথা হল, কমাশিসা মানে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন’। কওমি মাদরাসার শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন’ নয়। শব্দটি ‘মাদরাসা’, ‘মাদরাসার’ নয়। ‘র’ নেই। তারমানে, কমাশিসার মানে, একটি শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন, নেতৃত্ব দেবে কওমি মাদরাসা। কমাশিসার জন্ম শুধু কওমি মাদরাসার শিক্ষা সংস্কারের জন্য নয়। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারও কমাশিসার এজেন্ডাভুক্ত। কমাশিসা যেমন কওমি শিক্ষাব্যবস্থায় সম-সাময়িক চাহিদার অন্তর্ভুক্তি চায়, একইভাবে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায়ও দ্বীনিয়াতের অন্তর্ভুক্তি চায়। এটাই মূল কথা। এটাই মৌলিক কথা।

নেতা কে?

কোনো সংগঠনই নেতাবিহীন চলে না। তাহলে কমাশিসার নেতা কে? অথবা নেতৃত্বে কারা?
_____________এখানেই কমাশিসার স্বাতন্ত্র। কমাশিসার কোনো নেতা নাই। সংগঠন হলে না নেতা লাগবে। কমাশিসা তো কোনো সংগঠনই নয়। কমাশিসা একটি চেতনার নাম। সংগঠনের জন্য নেতা লাগে, চেতনার বাস্তবায়নে নেতা লাগে না।

এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন, তিন থেকে পাঁচ, পাঁচ থেকে আট, আট থেকে তেরো… আসলে কমাশিসা চেতনার বিস্তৃতিটা হয়েছে
১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪ তথা ফিবোনাক্কি স্টাইলে। মনে রাখা উচিত অধিকারের আওয়াজ কখনো দমিয়ে রাখা যায় না।

অবশ্য যে কোনো কাজ কাউকে না কাউকে তো শুরু করতেই হয়। এই অর্থে, শুরুর কথা মাথায় রাখলে কমাশিসা নামে আহবানটা এসেছিল খতিব তাজুল ইসলাম’র কাছ থেকে। সেই অর্থে তাঁকে কমাশিসার প্রতিষ্ঠাতা বলা যায়। এখন পর্যন্ত তিনিই কমাশিসার প্রাণ সঞ্চালক। সাথে আমরা অনেকেই আছি আবার কেউ নেই। (এই শেষ লাইনের তরজমা লেখার শেষের দিকে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।)

কমাশিসার মূলনীতি

প্রথম দিন ঠিক করে নেয়া কমাশিসার মৌলনীতি
১. কমাশিসার সকল কাজ হবে শিক্ষা সংক্রান্ত। বিশেষতঃ কওমি স্বার্থে, পরামর্শের ভিত্তিতে। সাধারণ শিক্ষা ও মৌলিক শিক্ষার মৌলিক তত্ত্ব কথা ও কাজে লালিত হবে।

২. পূর্ববর্তী কোনো আলেম-উলামাকে দোষারোপ করা হবে না এবং সমকালীন উলামায়ে কেরাম ভুল বুঝে রেগে গিয়ে কিছু বললে নীরবে হজম করে ফেলা হবে। তাদের কথার বিরূপ জবাব দেয়া হবে না।

৩. লক্ষ লক্ষ কওমি সন্তানের ভাগ্যকে নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তা তিনি যেই হোন।

কমাশিসা কী চায়?

খুবই সিম্পল চাওয়া। আপনি যদি কওমিবান্ধব চিন্তার লালক হন, এই চাওয়া আপনারও হবে। যদি না হয়, তাহলে আপনি আপনার মতই থাকুন। আপনি আমাদের দোস্ত নন, দুশমনও না।

কমাশিসার মৌলিক দাবি মাত্র দু’টি।
সংস্কার এবং স্বীকৃতি।
সংস্কার নিজস্ব ব্যাপার। স্বীকৃতি দ্বিপাক্ষিক। ভাবতে হবে প্রকৃতপক্ষ হয়ে। ভাবনাকে আগাতে হবে নির্মোহ মমতা নিয়ে।

সংস্কারঃ
কওমি সিনিয়ার আলেমদের সম্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা। তাঁরা সবদিক নজরে রেখে কাজ করবেন। কওমি ঐতিহ্য ঠিকটাক রেখে যেটুকু যা দরকার, করবেন। আমরা কি বলছি, ‘আমাদের হাতে ছেড়ে দিন, আমরা সংস্কার করে দিচ্ছি?’ তাহলে আমরা কী বলি আর সুর বাজে কী?

স্বীকৃতিঃ
ঐ সময়ের জন্য এটা এই সময়ের দাবি। কোনো বিকল্প নেই। তবে আগাতে হবে সতর্কতার সাথে। আবেগের উর্ধে থেকে। দৃষ্টির দৈন্যতা ছাড়িয়ে। চোখ-কান খোলা কওমি মুরব্বীদের সমন্বয়ে একটি সাব কমিটি করা যায়। তাঁরা কওমির মৌলিকত্ব মাথায় রেখে সরকারের সাথে দেন-দরবার করবেন। স্বীকৃতির নামে সরকার যদি কওমি মাদরাসাকে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চায়, তেমন স্বীকৃতি নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। এই দাবিকে যাদের কাছে ভাল না লাগে, খোঁজ নেয়া দরকার তিনি কোন পাতালের তারকা!

আজকাল ‘স্বকীয়তা’ শব্দটি এতবেশি উচ্চারিত হতে শুনছি যে, ভাবনায় পড়ে যাচ্ছি এটা না আবার কোনো ‘তসবীহ হয়ে যায়! স্বকীয়তা স্বকীয়তা বলে যারা হাইজাম্প মারছেন, তাদের একশ’জনকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কওমির স্বকীয়তাটা কী, নব্বইজনই বলতে পারবে কিনা, সন্দেহ। অথচ…

আচ্ছা, এই যে দাবি দু’টি, কোন অ্যাঙ্গেল থেকে এগুলোকে কওমির মৌলিক চেতনার বিপরীত মনেহচ্ছে? দুটোই কি স্বকীয়তার স্বক্রিয় বাস্তবতার আলোকে নয়? এগুলো কি কওমি স্বার্থে অবিকল্প নয়? তাহলে ব্যক্তিভাষা বা পরিভাষার কারণে চেতনার কফিনে পেরেক ঠুকা হয় কোন আক্কেলে?

কমাশিসায় কারা আছেন?

আপনি যদি ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে উঠে কওমি ভালোবাসায় কিছু বলেন বা করেন, তাহলে আপনিও কমাশিসার একজন। যদি কওমি স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কাজ করেন, তাহলে আপনি কমাশিসার কেউ না। কিন্তু সমস্যা হল, কে ভুল কে সঠিক, মাপকাঠি কী হবে? নিজের হাতে সবাই পাক্কা সাড়ে তিনহাত। এক ইঞ্চিও কম না।

এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। কিন্তু মুশকিল তো সেখানেও। পক্ষ হলে তো কথা ছিল। পক্ষসমূহ থেকে কে কার কথা শুনবে?

এখন উপায় কী?
উপায় হল, যার যার অবস্থান থেকে কর্তৃপক্ষসমূহের কাছে দাবি জানানো। চাপ প্রয়োগ করা।

যারা গালির ভাষায় কথা বলেন

আমি জানি না গালির সবক আপনারা কোথায় নিয়েছেন। কওমিতে তো অবশ্যই নয়। আমার জানামতে কওমি মাদরাসাগুলোতে গালিগালাজের কোনো চর্চা হয় না। তাহলে কোন কাননের ফুল আপনারা?

আচ্ছা, যেই কাননেরই হোন, আপনারা আপনাদের আঙিনায় যান। কথা বলুন। কোনো গালিবাজ কওমি প্রজন্ম ছিল না। হতেও পারে না। আমরা আমাদের কথা বলছি। ভালো লাগলে ভালো। না লাগলে আপনি আপনার মতামত লিখুন। আপনি আপনার মত লেখালেখি করুন। কেউ তো বারণ করেনি। গালিগালাজ করে বংশ মর্যাদা জানান দেয়ার তো দরকার নেই।

খতিব তাজুল ইসলাম কমাশিসার প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু উনার অনেক বক্তব্যের সাথে আমি একমত নাও হতে পারি, আবার আমার অনেক লেখার সাথে উনি একমত নাও হতে পারেন, সেটা ভিন্নকথা। কমাশিসা নিয়ে যখন যারাই লেখালেখি করেছেন, তাদের সকলের সকল কথায় সকলেই যে একমত, এটাও সঠিক নয়। কারণ, চেতনার চৈতন্য চিন্তার নিজস্বতায় বিকশিত হয়। তারমানে কি মূল চেতনা থেকে সরে যেতে হবে?

খতিব তাজুল ইসলাম সাধারণ একজন মানুষ। মানুষই ভুল-ত্রুটির উর্ধে না। উনার কোনো বক্তব্য বা কমাশিসার চেতনায় যে কারো যে কোনো বক্তব্য আপনার কাছে অঠিক মনেহলে কেনো অঠিক, ব্যাখ্যা করতে পারেন। পালটা বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। কিন্তু চৌদ্ধগোষ্ঠী উদ্ধার করা, এটা কোন ক্যাটাগরির ভদ্রতা?

আসলে খতিব সাহেবের অনেক ভালো বক্তব্যও উনার কঠিন উপস্থাপন ভঙ্গির কারণে অনেকের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। কারো কারো কাছে বিরুদ্ধাচারণ মত লাগে! কিন্তু অন্তঃনিহনে ডুব দিলে দেখা যেত কওমির প্রতি পচণ্ড আবেগ আর মায়া থেকেই এই ক্ষোব্ধ-কাঠিন্যের জন্ম।

আমি তখন তাঁর উপর অন্যদের মত প্রকাশ্যে হামলে পড়ি না। কারণ, ছয় বছর থেকে এই লোকটা কওমি কওমি বলে চিৎকার করতে গিয়ে অনেক কিছুই হারিয়েছেন! এ পর্যন্ত আমার জানামতে একটি টাকাও অন্য কারো কাছ থেকে নেননি। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বছরের পর বছর গালি খাওয়া কোনো লোক এর আগে আমি আর দেখিনি।

তারমানে যেমন খুশি বললেও প্রতিবাদ করা যাবে না?

অবশ্যই যাবে। করাই উচিত। তবে প্রতিবাদের ভাষাটা শালীন হওয়া দরকার। খতিব হন আর যেই হন, যে কোনো কথার পালটা কথা খাড়া করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু কথা তো কথার ভাষায় হওয়া দরকার। তাই না?

খোলাসাতুল কালাম

কমাশিসা কোনো সংগঠন নয়। কমাশিসার কোনো নেতা নেই। কমাশিসা একটি চেতনার নাম। কওমি বান্ধব চেতনা। এই চেতনার সাথী যারা, তাঁরাই কমাশিসা। এই চেতনায় যারা লেখালেখি করেন, সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন। সবাই নিজ নিজ বক্তব্যের জন্য এককভাবে দায়বদ্ধ। কারণ-
কারণ-
— কারণ কমাশিসা একটি চেতনার নাম।

জরুরি না যে, আমার এই লেখাতেও সবাইকে একমত হতে হবে। ভিন্নমত উপস্থাপনের যৌক্তিক অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক ত্যানা পেছানো যাদের স্বভাব, আপনি দয়াকরে দূরেই থাকুন আর ভালো থাকুন।

কমাশিসার চেতনায় অনেকেই জড়িয়েছেন। এখনো জড়িয়ে আছেন মায়ার টানে। এ মায়া কওমি মায়া। কিছু একটা হবে বলে। আমি কারো নামই ম্যানশন করলাম না। তাদের নগদ মনোভাব জানা দরকার। এটা এই লেখায় তাদের মন্তব্যের মাধ্যমে হতে পারে অথবা অন্যভাবে, ভিন্ন মাধ্যমে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই।

ফেইসবুকের অনেকগুলো পরিচয়ের মধ্যে একটা হল ‘বেয়াদব তৈরির কারখানা’, এটা জানি। কিন্তু আদব-আখলাকই তো কওমির মূল সম্পদ। এটাও যদি বিসর্জন দেয়া হয়ে গেল, তাহলে আর বাকি থাকলো কী!

যুক্তিতে না পারলে শক্তিতে দেখে নেব, এটা তো বর্বর নীতি।
অন্ধ হলেই কি আর প্রলয় বন্ধ হয়ে যায়?

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...