—————————————————————————————————————————

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজগতের মালিক। সালাম ও দরুদ তাঁর মহান রাসুল সা. এর উপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের উপর এবং যারা তাঁকে কিয়ামত পর্যন্ত সর্বোত্তম পন্থায় অনুসরণ করবেন তাদের উপর। আমি ১৯৭৪ সালে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের ব্যবস্থাপনায় মসজিদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আমার আব্বা আল্লামা, শাইখ এবং মুফতি মুহাম্মাদ শফীর (আল্লাহর তাঁর উপর রহম করুন) সাথে পবিত্র দুই মসজিদ সফর করেছিলাম। আমরা মক্কার মসজিদুল হারামের পাশে একটি হোটেলে উঠি। একদিন হোটেল থেকে মসজিদুল হারামের দিকে যাচ্ছিলাম।

এলিভেটরে উঠার সময় একজন মর্যাদাসম্পন্ন চেহারার ব্যক্তিকে দেখলাম। তাঁর ভিতর হতে আত্মমর্যাদা এবং আত্মসম্মানবোধের নিশান ঠিকরে বের হচ্ছে যা কেবল গভীর জ্ঞান থেকেই উৎসরিত হতে পারে। তিনি তাঁর আলোকদীপ্ত চেহারা নিয়ে আমার দিকে তাকালেন। আমি তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট হওয়া স্বত্ত্বেও তিনিই প্রথম আমাকে সালাম দিলেন। আমি তাঁর সালামের জবাব দিলে, তিনি আমাকে আমার দেশ এবং  মক্কায় আসার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। প্রশ্নগুলো আমাকে খুব আশ্চর্য করলো, কেননা আমাদের আরব ভাইদের অভিজাত লোকদের মধ্যে যে জিনিসটি আমি প্রায়শই লক্ষ্য করেছি তা হলো, প্রথমে সালাম দেওয়া কিংবা খোঁজ-খবর নেওয়া তো দূরে থাক তারা অনারবদের ততোটা পাত্তাই দেয় না। কিন্তু এই মহান ব্যক্তিটি আমার সাথে কোনো রকম জড়তা ছাড়াই কথা বলছেন, যদিও তিনি বয়সে আমার চেয়ে বড়।

বস্তুত তাঁর নাম, ইলমী মর্যাদা অথবা তাঁর ব্যবহারিক অর্জনের সাথে পরিচিত না হয়েও তাঁর এই গুণটিই আমাকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট হতে, তাঁর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে ও তাঁর মহৎ চরিত্র এবং বিশুদ্ধ ও উন্নত আত্মার সঠিক মূল্যায়ন করতে অনুপ্রাণিত করে। যখন আমি তাকে বললাম যে, আমি আমার আব্বা শাইখ মুফতি মুহাম্মদ শফি সাহেবের সাথে এই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছি, তিনি জানালেন যে, তিনি আমার আব্বাকে তাঁর কিছু লেখার মাধ্যমে চেনেন। এ লেখাগুলোর মধ্যে “ইসলামী অর্থনীতিতে সম্পদের বন্টন” বিষয়ে আমার আব্বার লেখা গবেষণা পত্রের কথা তিনি উল্লেখ করেন, যা তিনি আল বা’থ আল ইসলামীতে পড়েছিলেন। তিনি এ লেখা দ্বারা চমৎকৃত হয়েছিলেন, কেননা এই গবেষণায় অত্যন্ত সহজ ভাষায় অভিনব কিছু চিন্তা সামনে আনা হয়েছে। এতে আমার কাছে এটি পরিস্কার হয়ে গেলো যে, এই ব্যক্তি আলেম এবং জ্ঞানপিপাসুদের একজন যাঁর ইলমী দিগন্ত জাতীয় এবং মহাদেশীয় সীমানা অতিক্রম করেছে। এতে তাঁর প্রতি আমার ভালোবাসা বৃদ্ধি পেলো। আমি তাঁর মহান নামটি জানতে চাইলাম এবং তিনি উত্তর দিলেন “ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ী”।

এটা ছিল অত্যন্ত বড়মাপের একজন আলেম, ইসলামের একজন মহান দা’য়ী ড. শায়খ ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ীর সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। তাঁর কিছু  গুরুত্বপূর্ণ লেখার মাধ্যমে তাঁর সাথে আগেই আমার পরিচয় ঘটেছিল এবং এখন আমি তাঁর উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, বিশুদ্ধ ইসলামী চরিত্র এবং উচ্চমাত্রার বিনয়ের সাথে পরিচিত হলাম। এই প্রাথমিক সাক্ষাৎ কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী ছিলো না; এর মধ্যেই আমরা নিচ তলায় পৌঁছলাম এবং মসজিদে হারামের দিকে হাটতে লাগলাম। কিন্ত এই সাক্ষাৎ পরবর্তী সব সাক্ষাৎগুলোর একটি সুন্দর সূচনার সূত্রপাত করলো এবং এর ফল আমি বিভিন্ন ইসলামী বিশ্বে সম্মেলন, আলোচনা সভা এবং আলেমদের জমায়েতে লাভ করেছি।

কাতার তাঁর ইলমী এবং ইসলামী কাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। তাঁর পাকিস্তান সফর ও আমার কাতার সফর এবং ধারাবাহিক কিছু সমাবেশে সাক্ষাতের ফলে আমাদের মাঝে এমন সম্পর্ক তৈরি হয় যেন আমরা একই পরিবারের সদস্য। যেহেতু আমি তাঁর নৈকট্য ও সান্নিধ্য পেয়ে ধন্য হয়েছি, এই পরিচিতি তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতি আমার ভালোবাসা, তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞানভান্ডারের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁর সৎকাজের প্রতি সম্মান এবং ইসলামী উম্মাহর বিভিন্ন বিভাগে তাঁর সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি আমার বিস্ময় বাড়িয়েছে।

কিছু ভাইয়েরা আমাকে এই মহান আলেমের ব্যাপারে কয়েক কলম লিখতে অনুরোধ করেন যা তাঁর গবেষণালব্ধ প্রকাশনা, দাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কার্যকরী অংশগ্রহণ, তাঁর পঠন-পাঠন ও গবেষণার পর্যালোচনায় প্রণীত একটি বইয়ের অংশ হবে। উদ্যোগটি আমার কাছে প্রশংসাযোগ্য মনে হয়েছে। তবে আমার চারপাশের সামষ্টিক পূর্বানুমান তাঁর লেখার বিশ্লেষণমূলক পাঠ থেকে আমাকে বিরত রেখেছে। বিশ্লেষণমূলক পাঠের পরিবর্তে তাই আমি সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর ব্যাপারে আমার কিছু অভিমত প্রকাশ করবো। কেননা যা সামগ্রিকভাবে তুলে আনা যাবে না তা সামগ্রিকভাবে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আশা করছি অন্যরা বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনার কাজটি করবে।

প্রকৃতপক্ষে, সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ কলেবরের প্রায় শতাধিক গ্রন্থের প্রণেতা ড. ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ী তাঁর লিখনীর মাধ্যমে ইসলামী সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। এটা বলা হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে সমসাময়িক মুসলিম জীবনের এমন কোনো অংশ নেই যা তিনি তাঁর কোন লেখায়, খুতবায় অথবা লেকচারে আলোচনা করেননি। কেবল অল্প সংখ্যক সমকালীন লেখক এবং দাঈয়ের ক্ষেত্রেই এ দাবি করা চলে।

তাঁর বিশাল সম্ভার থেকে যে বইটি আমি প্রথম পুরোটা পড়ি, তা হলো “ফ্বিকহ আল-যাকাত”। এই তথ্যসমৃদ্ধ, বিশ্বকোষসদৃশ বই থেকে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি, যার মাধ্যমে লেখক উম্মাহর আজকের দিনের প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ব্যক্তিক এবং সামষ্টিক পর্যায়ে যাকাত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। বস্তুত এই কাজটি লেখকের মেধা এবং তাঁর উদ্ভাবনী পদ্ধতির পরিচায়ক; কেবল যাকাত সংক্রান্ত বিষয়ের স্বচ্ছকরণ ও তাদের সংকলনই নয়, বরঞ্চ ফ্বিকহের নীতি এবং উসুলে ফিক্বহের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সমসাময়িক বিষয় যেগুলোর ওপরে পূর্বে কেউ হাত দেয়নি, সেগুলোর ওপর গবেষণার ক্ষেত্রেও তিনি উজ্জীবকের ভূমিকা পালন করেছেন।

এই বই সম্পর্কে যে দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করবো তা হলোঃ প্রথমত, এই বইয়ের লেখকই হলো প্রথম লেখক যিনি বিশদ ও সুক্ষ্ণভাবে যাকাতের সমকালীন বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। কোরআন-সুন্নাহ, সালফে-সালেহীন এবং মুজতাহিদ ইমামদের প্রায়োগিক দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে তিনি যেভাবে ফতোয়া দিয়েছেন তেমনটি আর কোনো আধুনিক বিষয়ের ক্ষেত্রে কল্পনা করা যায় না।

দ্বিতীয়ত, যদিও এই বইটির বিষয়বস্তু যাকাত সংশ্লিষ্ট বিষয়েই সীমাবদ্ধ, তবুও তাঁর উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা সমসাময়িক ফিক্বহী বিষয়াদি নিয়ে লিখতে চান তাদের জন্য বইটি আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করবে কেননা ফিক্বহের গবেষকদের জন্য এই বইটি একটি উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বইটি ব্যবহারিকভাবে তাদের কাছে ব্যাখ্যা করে কীভাবে ইসলামের ফিকহী মহাসাগর থেকে কাঙ্খিত মুক্তা বের করে আনা যায়; কীভাবে সমসাময়িক সমস্যার সমাধানে অতীত সূত্রগুলোকে কাজে লাগানো যায়; এবং কীভাবে নতুন ইস্যুর পর্যালোচনায় ক্লাসিক্যাল বই থেকে একই বিষয়ে উপকৃত হওয়া যায়।

আমি উপরে উল্লেখ করেছি, ড. ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ী সমসাময়িক আলেমদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সবচেয়ে বেশি অগ্রগামীদের একজন। একটি বিশেষ ক্ষেত্রে এই অগ্রগামীতা তাঁর মতো অনেকেরই আছে, কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভাল দিকটি হল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি মাড়ানো পথে পা বাড়াননি। কেননা পুরানো বিষয়ে লেখার ক্ষেত্রে লেখক যদি নতুন কোনো চিন্তা না আনতে পারেন তাহলে ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের লেখকদের মধ্যে নাম অন্তর্ভূক্তকরণ ছাড়া আর কোনো উপকারই হয় না।  প্রকৃতপক্ষে, ঐ লেখাগুলোই উপকারী যাতে লেখক তাঁর লেখনির মাধ্যমে নতুন কিছু আনেন যা কোনো বিষয়ে জ্ঞানের শূণ্যস্থান পূরণ করে অথবা যা দ্বারা পুরানো বিষয়ের অস্বচ্ছ ধারণা আলোকিত হয়, অথবা যার মাধ্যমে চিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয় কিংবা যা পাঠকের জ্ঞান বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করে।

আমরা ড. ক্বারাদাওয়ীর কাজে নতুন সুফল দানকারী দৃষ্টান্তের অভাব দেখি না। প্রায়শই তিনি তাঁর লেখার ক্ষেত্রে এমন বিষয় নির্বাচন করেন যেগুলোর ক্ষেত্রে তাঁর পূর্বে কোন লেখকই দৃষ্টিপাত করেননি। উদাহরণস্বরুপ তাঁর লিখিত “অগ্রাধিকারের ফ্বিকহ” (On the Fiqh of Priorities) বিবেচনা করুন। এতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইসলামী মূলনীতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন যা অনেকেই এড়িয়ে গিয়েছেন, এমনকি ইসলামী পন্ডিত আর দা’ঈরাও। এটি এড়িয়ে যাওয়ার ফলে মুসলমানদের মাঝে বিরাট ফিতনা সৃষ্টি হয়েছে এবং তা স্বত্বেও কোন লেখকই এই বিষয়ের ওপর স্বাধীন কোনো কাজ করেননি। যখন কোন ব্যক্তি এ ধরণের কোনো বই পড়েন, তাঁর মনে হতে থাকে লেখক এমন বিষয়ে চিন্তাধারা ব্যক্ত করছেন যা আলেমদের মনে দীর্ঘদিন সুপ্তাবস্থায় বিরাজ করছিল। লেখক যেন এ বিষয়টিকে একটি ভাষা দিয়েছেন এবং এটিকে এমনভাবে সংকলন করেছেন ও যথার্থতা দান করেছেন যাতে এর উপকার আরো বেশি সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।

অনেক সময়ই তিনি পুরনো একটি বিষয়কে বেছে নেন কিন্তু এটিকে নতুন দৃষ্টিভংগি দিয়ে যাচাই করেন এবং অভিনব উপায়ে বিষয়টি অধ্যয়ন করেন। উদাহরণস্বরুপ তাঁর লিখিত “সুন্নাহ: জ্ঞান এবং সভ্যতার উৎস” বইটি বিবেচনা করুন। এই বইয়ে তিনি রাসুল সা. এর সুন্নাহসমূহের মূল্যবান সংকলন করেছেন; সুন্নাহর কিতাব ও অনুচ্ছেদসমূহ থেকে বিভিন্ন মূল্যবান বিষয় তুলে এনেছেন এবং এগুলোকে নতুন শিরোনামের অধীনে এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে আমাদের সামনে এটি পরিষ্কার হয়ে উঠে যে রাসুল সা. এর সুন্নাহ আমাদের জীবনের সমস্ত বিষয়ের জন্যই আদর্শ, এমনকি  আধুনিক সভ্যতার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদির ক্ষেত্রেও।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে ইসলামী ফিক্বহের একজন নগন্য ছাত্র হিসেবে আমি ড. ক্বারাদাওয়ীর বইগুলো থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছি এবং তাঁর অধিকাংশ কাজের প্রতি আমার চরম বিস্ময় রয়েছে। তবে কিছু কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে তিনি যে সিদ্ধান্ত টেনেছেন তার সাথে আমি একমত নই। কিন্তু এই ধরণের মতপার্থক্য (ইখতিলাফ) ইজতিহাদী বিচারে স্বাভাবিক যা কখনোই কোন লেখককে বিচার করার জন্য [একমাত্র] ভিত্তি হতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আলেমরা এরূপ মতব্যক্তকারী ব্যক্তিকে বুদ্ধিবৃত্তিক অথবা দ্বীনের ক্ষেত্রে দুর্বল সাব্যস্ত করেন অথবা এই ইখতিলাফ জ্ঞান ও দাওয়ার ক্ষেত্রে এইসব বইয়ের গুরুত্ব ও মূল্য বিন্দুমাত্র না কমায়।

প্রকৃতপক্ষে, ড. ক্বারাদাওয়ী ইসলামী সাহিত্য সম্ভারকে সমৃদ্ধ করেছেন যা গবেষকদের তৃষ্ণা মিটিয়েছে, ইসলামের দাঈ ও তালেবে ইলমদের প্রয়োজন পূরণ করেছে এবং চিন্তাশীলদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাই দোয়া করি আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা যেন তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন এবং উদারভাবে তাঁকে পুরস্কৃত করেন।

অতঃপর এ কথা বলতেই হয় যে, পূর্বে উল্লিখিত বই ও কাজগুলো দ্বারা আমি যতটা প্রভাবিত হয়েছি তার চাইতেও অনেক বেশি প্রভাবিত হয়েছি ড. ক্বারাদাওয়ীর ব্যক্তিত্ব দ্বারা।

দূর্ভাগ্যবশত আজকের দিনে দেখা যায়, যে সমস্ত ব্যক্তি তাদের লিখনিতে উঁচুমাত্রার চিন্তাধারা তুলে আনেন এবং তাদের বক্তৃতা ও লেকচারসমূহে উৎকৃষ্ট মানের তত্ত্ব বর্ণনা করেন প্রায়শ তারা ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ মানুষের পর্যায়েও পৌছাতে পারেন না; এমনকি মাঝে মাঝে তাদের চাইতেও নিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করেন।

আর ড. ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ীর কথা বলতে গেলে, আল্লাহ আমাকে অনেকবার তাঁর সাথে একত্রে সফর করার ও সাথে থাকার এবং ধারাবাহিক ও দীর্ঘ বৈঠকে তাঁর সাথে বসার ও কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আমি তাঁর ব্যক্তিত্বে অনুসরণীয় ইসলামী গুণাবলীর প্রতিফলন দেখেছি কেননা একজন মুসলিম হওয়ার পূর্বে তিনি একজন মানুষ, একজন দাঈ হওয়ার আগে তিনি একজন পরহেজগার মুসলিম এবং একজন আলেম ও ফ্বকীহ হওয়ার পূর্বে তিনি একজন দাঈ।

আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা তাঁর নেক হায়াত দীর্ঘায়িত করুন এবং ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য তাঁকে একটি সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করুন এবং তাঁর খেদমত দ্বারা আল্লাহর বান্দা ও জমিনকে  রহম করুন।

শুরু এবং শেষ সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা জানাই।

সূত্রঃ VirtualMosque.com