বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৫৮
Home / কওমি অঙ্গন / বর্তমান যুগ চাহিদায় মহিলা মাদরাসার প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান যুগ চাহিদায় মহিলা মাদরাসার প্রয়োজনীয়তা

্িা্িইসমাঈল আলী ::

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যাতে আছে নৈতিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক, বিষয়সহ জীবনের সব কিছুর পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। কুরআন ও হাদীস দ্বারা এটা নিশ্চিত জানা যায়, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ সুন্দর, ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় মুসলিম নর-নারী উভয়েরই দায়িত্ব। মুমিন ও মুমিনা সমাজে শান্তি ও ন্যায়-প্রতিষ্ঠায় বন্ধু এবং অভিভাবকের মত  একে অপরকে সহযোগিতা করবে। এ প্রসঙ্গে আল কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন- “মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পর বন্ধু ও সাথী। তারা যাবতীয় ভাল কাজের নির্দেশ দেন, সব অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয়, আল্লাহ ও তার রাসূলের সা. অনুগত্য করে। এরা এমন লোক যাদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব বিজয়ী, সুবিজ্ঞ ও জ্ঞানী। (সূরা তাওবা-৭১)
পুরুষের মতো প্রত্যেক নারী ও এই পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা। পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তার উপরও সমানভাবে আছে। এই অনুভূতি নিয়েই সকলের কাজ করা উচিৎ। দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তি পেতে হলে পুরুষে যেমন চেষ্টা করতে হবে তেমনি চেষ্টা করতে হবে নারীকেও আর চেষ্টার মাধ্যমে সে পারিবারিক বা সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জনের জন্য অবদান রাখতে পারে। সুতরাং নারীরা ইসলামী ধ্যান ধারণা এবং কোরআন ও হাদীসের শিক্ষা দ্বারা নিজ জীবনকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। দ্বীনের ইলম শিক্ষা করা প্রতিটি নারী পুরুসের উপর ফরজ কেননা দ্বীন সম্পর্কে না জানলে মানবে কি। মানতে হলে জানতে হবে, একথাটিই বাস্তব। আগে শুধু পুরুষের শিক্ষার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পুরুষের ন্যায় নারীদের কোন ভিন্ন ব্যবস্থা ছিল না। সেহেতু সমাজের অধিকাংশ নারীরা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল। নারীরাও দ্বীনের ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে হবে এ ধারণাই ছিল মনোনীত। অনেক দিন পরে হলেও এ ধারণা সমাজ থেকে কিছুটা হলেও দুরীভূত হয়েছে। সমাজের লোক বুঝতে ভূল করে না যে সুশিক্ষার জন্য মহিলা মাদরাসার প্রয়োজন নেই বলে। বর্তমান জমানায় সচেতন মানুষের অভাব নেই। সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে মুসলিম নারীর সব চেয়ে বড় কর্মক্ষেত্র হচ্ছে পরিবার। কন্যা, বধু, মাতা এ তিন ভাবেই নারী পরিবারের মধ্যে ভূমিকা রাখতে পারে। মা, কন্যা, বধু ওদের মধ্যে যদি দ্বীনদারী থাকে তাহলে পরিবারের সকলের প্রতি ওদের মেহনতের ফলে অতি সহজেই একটি পরিবার ও সমাজে ইসলামের বিধান মতে চলা স্বাভাবিকভাবেই আরাম দায়ক হয়ে যায়।
সাধারণত দেখা যায় সন্তানের মধ্যে মাতৃভক্তি বেশি থাকে। একজন মা যদি মহিলা মাদরাসায় পড়ে পূর্ণ আসনে জিন্দেগী পরিচালনা করতে পারে, তাহলে এই যুগেই মাতৃকোলে একজন সু সন্তান জন্মের ফলে ২য় খলিফা হযরত উমরের যুকার মতো শান্তির সুকতায় বয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই শিক্ষা পর্যন্ত পরিমাণে অনুপস্থিত। আমাদের উচিৎ চোখের পাতা খুলে একবার মহিলাদের সু-শিক্ষায়র জন্য মহিলা মাদরাসাদের দিকে থাকানো। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় যুগের চাহিদায় মহিলাদের শিক্ষা এবং দীক্ষার জন্য নবীজির সা. উত্তরসী আলিম উলামারা মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে মা-বোনদেরকে দ্বীনের ইলম এর তরবিয়তের ব্যবস্থা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের দোয়ারা থানার অন্তর্গত দোহালিয়া ইউনিয়নের বঙ্গ বন্ধু বাজারের সন্নিকটে খাতুনে জান্নাত রা. মহিলা মাদরাসা ফিহজ জমির উদ্দিন সাহেবকে মুহতামিম এর দায়িত্ব দিয়ে মাওলানা আব্দুল কাহার নিয়ামতপুরীর পরিচালনায় সু-দক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকার মাধ্যমে অত্যন্ত নিবিড়, পরিবেশে আজ থেকে ৫ বছর আগ থেকে দ্বীনি শিক্ষায় আঞ্জাম দিয়ে আসছে। দেশ বিদেশি ভাই-বোনদের অত্যন্ত দান খয়রাতে ভাল ভাবেই মাদরাসা চলতেছে।
সুতরাং এলাকার মুসলমান ভাই বোনদের প্রতি অনুরোধ যুগ চাহিদায় মহিলা মাদরাসায় প্রয়োজন মনে করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি সদয় দৃষ্টি দান করা।

লেখক : শিক্ষক, খাতুনে জান্নাত রা. মহিলা মাদরাসা।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...